ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

লকডাউনেও যানজট -বিভিন্ন যানবাহন চলছে স্বাভাবিক ভাবে ই!

বিশেষ প্রতিনিধি।।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন নগরীর সড়কগুলোতে যানজট দেখা গেছে। সোমবারের (৫ এপ্রিল) তুলনায় আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) যানবাহনের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। শুধু গণপরিবহন ছাড়া সবই চলতে দেখা গেছে।

অফিসগামী চাকরিজীবীরা জানান, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের বাহন গণপরিবহন ছাড়া সব পরিবহনই চলাচল করছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। সোমবার যেখানে রিকশাও পাওয়া যাইনি আজ সেখানে চালকরা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রতিটি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

সকাল ৯টায় রাজারবাগ মোড়ে দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের মতো যানজট। প্রতিটি সিগন্যালে ৮-১০ মিনিটের মতো করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গতকাল এই সিগন্যালে কোনও ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিত ছিলেন না।

কাকরাইল মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে যানজট। ট্রাফিক পুলিশ হাতের ইশারায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করছেন। একই চিত্র দেখা গেছে ফকিরাপুল, কামরাইল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, কাওরান বাজার, পান্থপথসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে।

মোটরসাইকে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও বাহনটিতে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে পাঠাওয়ের চালক নাফিজুল হক বলেন, ‘সব কিছু চলছে। দোকান পাট খোলা। তাহলে আমরা যাত্রী পরিবহন করলে সমস্যা কোথায়? সরকার যদি সব কিছুতে কড়াকড়ি করে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। একটা চলবে আরেকটা চলবে না তা তো হতে পারে না।’

রিকশাচালক সমির আলী বলেন, ‘এটা কিসের লকডাউন? লকডাউনে কী যানজট থাকে? শুধু গরীব মানুষের বাহন গণপরিবহন ছাড়া সব কিছু চলছে। যে অবস্থা মনে হচ্ছে কাল থেকে বাসও নেমে যাবে।’

পল্টনের একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন আসগর আলী। তিনি বলেন, গতকাল অনেক সময় অপেক্ষা করে একটি রিকশা পেয়েছি। আজ দেখছি যাত্রীর জন্য রিকশা ওয়ালারা অপেক্ষা করছে। সিগন্যালে সিগন্যালে যানজট। তাহলে লকডাউন হলো কীভাবে?

ফকিরাপুলে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আরমান বলেন, গতকালের চেয়ে আজ যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। সড়ক মোড়গুলোতে সিগন্যালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লকডাউনেও যানজট -বিভিন্ন যানবাহন চলছে স্বাভাবিক ভাবে ই!

আপডেট টাইম : ০৭:১০:২০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি।।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন নগরীর সড়কগুলোতে যানজট দেখা গেছে। সোমবারের (৫ এপ্রিল) তুলনায় আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) যানবাহনের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। শুধু গণপরিবহন ছাড়া সবই চলতে দেখা গেছে।

অফিসগামী চাকরিজীবীরা জানান, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের বাহন গণপরিবহন ছাড়া সব পরিবহনই চলাচল করছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। সোমবার যেখানে রিকশাও পাওয়া যাইনি আজ সেখানে চালকরা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রতিটি মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

সকাল ৯টায় রাজারবাগ মোড়ে দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের মতো যানজট। প্রতিটি সিগন্যালে ৮-১০ মিনিটের মতো করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গতকাল এই সিগন্যালে কোনও ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিত ছিলেন না।

কাকরাইল মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে যানজট। ট্রাফিক পুলিশ হাতের ইশারায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করছেন। একই চিত্র দেখা গেছে ফকিরাপুল, কামরাইল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, কাওরান বাজার, পান্থপথসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে।

মোটরসাইকে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও বাহনটিতে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে পাঠাওয়ের চালক নাফিজুল হক বলেন, ‘সব কিছু চলছে। দোকান পাট খোলা। তাহলে আমরা যাত্রী পরিবহন করলে সমস্যা কোথায়? সরকার যদি সব কিছুতে কড়াকড়ি করে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। একটা চলবে আরেকটা চলবে না তা তো হতে পারে না।’

রিকশাচালক সমির আলী বলেন, ‘এটা কিসের লকডাউন? লকডাউনে কী যানজট থাকে? শুধু গরীব মানুষের বাহন গণপরিবহন ছাড়া সব কিছু চলছে। যে অবস্থা মনে হচ্ছে কাল থেকে বাসও নেমে যাবে।’

পল্টনের একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন আসগর আলী। তিনি বলেন, গতকাল অনেক সময় অপেক্ষা করে একটি রিকশা পেয়েছি। আজ দেখছি যাত্রীর জন্য রিকশা ওয়ালারা অপেক্ষা করছে। সিগন্যালে সিগন্যালে যানজট। তাহলে লকডাউন হলো কীভাবে?

ফকিরাপুলে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আরমান বলেন, গতকালের চেয়ে আজ যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। সড়ক মোড়গুলোতে সিগন্যালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।