ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপু বিশ্বাসকে যা বলেন শাকিব খান পাথরঘাটায় জামায়াতের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত বিধ্বস্তের আগে সাহায্য চেয়ে পাইলটের বার্তা, এরপর সব নিস্তব্ধ ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলল ইসলামী আন্দোলন ১৪৫ বছরে যা হয়নি, লর্ডস দেখেছে সেই কীর্তি কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন

আটঘাট বেঁধে জামায়াতের সিরিজ কর্মসূচি

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০২ ১৫০.০০০ বার পাঠক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং কূটনৈতিক তৎপরতায় নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক কোণঠাসা অবস্থানে থাকা জামায়াত এখন নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। সারাদেশে দলকে মজবুত করতে বহুমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে জামায়াত।

সম্প্রতি দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে ১০ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা ঘোষণা করেছে, যেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া, আইন, বিচারব্যবস্থা, এবং সংসদীয় প্রতিনিধিত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পাশাপাশি, দলটি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপরও জোর দিচ্ছে। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেছে জামায়াত। ইতিমধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূতসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এর পাশাপাশি, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে জামায়াত। এটি হবে শেখ হাসিনার পতনের পর দলটির প্রথম বড় ধরনের সমাবেশ।

দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের আক্রমণে জামায়াতের নেতাকর্মীরা হতাহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, গত ৭ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়। এরপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এই কার্যক্রম আরও বেগবান হয়। দলটি দেশব্যাপী মহানগর থেকে শুরু করে থানা ও উপজেলা পর্যায়ে রুকন (সদস্য) সম্মেলন আয়োজন করে। পাশাপাশি নবাগত ও অগ্রসর কর্মীদের জন্য শিক্ষাশিবির, সহযোগী সদস্যদের সভা এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও নির্বাহী পরিষদের একাধিক সভা এবং বিশেষ রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড এখনো বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত রয়েছে, যেখানে দলের শীর্ষ নেতারা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে উদ্বুদ্ধ করছেন।

দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জামায়াত এখন জাপান, চীন, ইরানসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ভবিষ্যতের জন্য কৌশল নির্ধারণ করছে।

সার্বিক বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গণমাধ্যমে বলেন, আমরা পরিকল্পিতভাবে কর্মকাণ্ড করছি। মিছিল, সভা-সমাবেশ, সংগঠন সম্প্রসারণ, আমাদের জনশক্তির মানোন্নয়ন, দেশ গড়ার জন্য জনগণকে সচেতন করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করা—এগুলোই তো আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আটঘাট বেঁধে জামায়াতের সিরিজ কর্মসূচি

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং কূটনৈতিক তৎপরতায় নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক কোণঠাসা অবস্থানে থাকা জামায়াত এখন নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। সারাদেশে দলকে মজবুত করতে বহুমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে জামায়াত।

সম্প্রতি দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে ১০ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা ঘোষণা করেছে, যেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া, আইন, বিচারব্যবস্থা, এবং সংসদীয় প্রতিনিধিত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পাশাপাশি, দলটি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপরও জোর দিচ্ছে। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেছে জামায়াত। ইতিমধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূতসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এর পাশাপাশি, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে জামায়াত। এটি হবে শেখ হাসিনার পতনের পর দলটির প্রথম বড় ধরনের সমাবেশ।

দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের আক্রমণে জামায়াতের নেতাকর্মীরা হতাহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, গত ৭ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়। এরপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এই কার্যক্রম আরও বেগবান হয়। দলটি দেশব্যাপী মহানগর থেকে শুরু করে থানা ও উপজেলা পর্যায়ে রুকন (সদস্য) সম্মেলন আয়োজন করে। পাশাপাশি নবাগত ও অগ্রসর কর্মীদের জন্য শিক্ষাশিবির, সহযোগী সদস্যদের সভা এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও নির্বাহী পরিষদের একাধিক সভা এবং বিশেষ রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড এখনো বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত রয়েছে, যেখানে দলের শীর্ষ নেতারা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে উদ্বুদ্ধ করছেন।

দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জামায়াত এখন জাপান, চীন, ইরানসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ভবিষ্যতের জন্য কৌশল নির্ধারণ করছে।

সার্বিক বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গণমাধ্যমে বলেন, আমরা পরিকল্পিতভাবে কর্মকাণ্ড করছি। মিছিল, সভা-সমাবেশ, সংগঠন সম্প্রসারণ, আমাদের জনশক্তির মানোন্নয়ন, দেশ গড়ার জন্য জনগণকে সচেতন করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করা—এগুলোই তো আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।