ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ পাঠায়নি কানাডা নিজের গুম নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ টাঙ্গাইলের মহাসড়কে ঝরলো বাবা ও দুই ছেলের প্রাণ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আপেল মাহমুদকে প্রমাণ দিতে হলো তিনি মুক্তিযোদ্ধা নাসিরনগরে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন বিরলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সি,এইচ,সি,পি (CHCP) রাজনৈতিক মামলার আসামি। ঘুমন্ত শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা: নাটক সাজিয়ে বিচার চাইলেন মা নগরভবন কবে খুলবে জানে না কেউ, ঈদে বর্জ্য অপসারণ বড় চ্যালেঞ্জ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন ২ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রীকে মক্কায় প্রবেশ করতে দেয়নি সৌদি

মহানবী (সা:) কে কটুক্তির প্রতিবাদে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে বিক্ষোভ

পটুয়াখালী, প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৯৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ভারতে হিন্দু পুরোহিত কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে গালি ও কটুক্তি এবং বিজিপির এক নেতা নেতার সমর্থনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুমার নামাজ আদায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে একত্রিত হন শিক্ষার্থীরা। পরে একটি র‌্যালি বের হয়ে ক্যাম্পাসের মুক্ত বাংলা চত্বর হয়ে ফাস্ট গেইট থেকে প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে সমাবেশ করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ভারত সরকারের প্রতি এ ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান।

এসময় ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার, নবীর দুশমনের গালে গালে, ‘জুতা মারো তালে তালে’, ‘সাবিলুনা কাবিলুনা, আল জিহাদ, আল জিহাদ, বিশ্বনবীর অপমান, ‘সইবে না রে মুসলমানসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বিশ্বনবী আমার প্রাণ, তাইতো আমি মুসলমান‘, আল্লাহর এই দুনিয়ায়, ‘শাতিমে রাসুলের (সা) ঠাঁই নাই,’ ‘নবীর আদেশে চলবো, সব জুলুমাত রুখবে এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিশ্ব নবীকে কটূক্তির নিন্দা জানিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, মানবতার শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (স:) কে অপমান করার মধ্যে দিয়ে মানবতার আদর্শকে অপমান করা হয়। রাসূল (সাঃ) এর শত্রুরা তার পিছনে সমসময় পড়ে থাকতো ভুল খুঁজে বের করতে পারতো না। একজন মুসলমান কখনো তার রাসূলের প্রতি অবমাননা মেনে নেবে না। পৃথিবীর কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কটূক্তি করতে শেখায় না। যারা এসব করে তারা উগ্র। এসব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান। তিনি বলেন রাসূল সাঃ এর চরিত্র ছিলো পবিত্র তাকে নিয়ে অবমাননা ও কটুক্তি কখনই বাংলার মুসলমান মেনে নেবে না। এক ধর্মের হয়ে অন্য ধর্মের কটুক্তি করার কখনোই অধিকার রাখে না। পুরোহিত ও বিজিপির পদ থেকে সরিয়ে তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শের চরিত্র। কুরাআনে আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুকরণ করতে আদেশ করেছেন। আমাদের যদি নূন্যতম ঈমান থাকে আমাদের উচিৎ রাসূলের অবমাননারকারীদের ঘৃণা ও প্রতিবাদ করা।।#

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহানবী (সা:) কে কটুক্তির প্রতিবাদে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে বিক্ষোভ

আপডেট টাইম : ০৩:০৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

ভারতে হিন্দু পুরোহিত কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে গালি ও কটুক্তি এবং বিজিপির এক নেতা নেতার সমর্থনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুমার নামাজ আদায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে একত্রিত হন শিক্ষার্থীরা। পরে একটি র‌্যালি বের হয়ে ক্যাম্পাসের মুক্ত বাংলা চত্বর হয়ে ফাস্ট গেইট থেকে প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে সমাবেশ করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ভারত সরকারের প্রতি এ ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান।

এসময় ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার, নবীর দুশমনের গালে গালে, ‘জুতা মারো তালে তালে’, ‘সাবিলুনা কাবিলুনা, আল জিহাদ, আল জিহাদ, বিশ্বনবীর অপমান, ‘সইবে না রে মুসলমানসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বিশ্বনবী আমার প্রাণ, তাইতো আমি মুসলমান‘, আল্লাহর এই দুনিয়ায়, ‘শাতিমে রাসুলের (সা) ঠাঁই নাই,’ ‘নবীর আদেশে চলবো, সব জুলুমাত রুখবে এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিশ্ব নবীকে কটূক্তির নিন্দা জানিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, মানবতার শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (স:) কে অপমান করার মধ্যে দিয়ে মানবতার আদর্শকে অপমান করা হয়। রাসূল (সাঃ) এর শত্রুরা তার পিছনে সমসময় পড়ে থাকতো ভুল খুঁজে বের করতে পারতো না। একজন মুসলমান কখনো তার রাসূলের প্রতি অবমাননা মেনে নেবে না। পৃথিবীর কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কটূক্তি করতে শেখায় না। যারা এসব করে তারা উগ্র। এসব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান। তিনি বলেন রাসূল সাঃ এর চরিত্র ছিলো পবিত্র তাকে নিয়ে অবমাননা ও কটুক্তি কখনই বাংলার মুসলমান মেনে নেবে না। এক ধর্মের হয়ে অন্য ধর্মের কটুক্তি করার কখনোই অধিকার রাখে না। পুরোহিত ও বিজিপির পদ থেকে সরিয়ে তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শের চরিত্র। কুরাআনে আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুকরণ করতে আদেশ করেছেন। আমাদের যদি নূন্যতম ঈমান থাকে আমাদের উচিৎ রাসূলের অবমাননারকারীদের ঘৃণা ও প্রতিবাদ করা।।#