ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দশ মাইল গ্রামের মোঃ রিফাত হোসেন, পিতা- মোঃ লিটন মিয়া, মাতা- শারমিন আক্তার এর সঙ্গে আয়শা খাতুনের গত ২০১৫ সালে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

পরে সুখে শান্তিতে সংসার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নগদ অর্থ উপার্জনের জন্য গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকায় একে পোশাক কারখানায় উভয়ে চাকরি করতেন। এভাবেই তাদের সংসার জীবন স্বাচ্ছন্দময় হতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের কোলজুড়ে একটি সন্তান আসে। এতে তাদের পরিবার আরো সুখময় হয়ে ওঠে। এর দুই বছর পর আবারও আরেকটি সন্তানের মা হন আয়েশা খাতুন। এভাবেই তাদের সুখময় দিনগুলো অতবাহিত হতে থাকে।

স্ত্রী আয়েশা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, এরই মধ্যে গত ২২ সালের দিকে আমার স্বামী রিফাত সংসার সন্তানের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে দেখা যায়, রিফাত অন্য নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। কিন্তু সংসার জীবন সুষ্ঠু রাখতে রিফাতকে আয়েশা খাতুন কোন কঠোর প্রতিবাদ করেন না বলে জানান।

এক পর্যায়ে গত ২১-৮-২০২৪ ইং তারিখ হতে রিফাত স্ত্রী আয়েশা ও শিশু দুই সন্তানের সাথে যোগাযোগ না রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
রিফাতকে বিভিন্ন সময় ফোন দিলে ফোন ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে জানিয়েছেন আইশা খাতুন।
এমনকি প্রাণনাশের হুমকি উ দিয়েছেন বলে জানান আয়েশা খাতুন।

রিফাত ফোনে তার স্ত্রীকে একেক সময় একেক জায়গায় আছেন বলে জানান। এমন পরিস্থিতিতে দুই সন্তান নিয়ে স্ত্রী আয়েশা খাতুন অসহায় জীবন যাপন করতেছেন বলে জানা গেছে।
তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। প্রতারক রিফাতকে দ্রুত আইনের আয়তায় এনে সুবিচারের দাবী জানিয়েছেন স্ত্রী আয়েশা খাতুন।
তিনি বলেন, দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে পোশাক কারখানায় কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এদিকে আয়েশার শশুর মোঃ লিটন মিয়ার কাছে গিয়ে বিস্তারিত বললেও কোন সাড়া আসেনি। উল্টো লিটন মিয়া পুত্রবধূ আয়েশা খাতুনকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে জানিয়েছেন আয়েশা খাতুন