ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে বিএনপি’র ভোটারা মেনে নেবে না: একথা সাধারণ জনগণ বলছে

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৬:০৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

ডিআরইউ মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ তা মেনে নেবে না। 

পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘একটি জরিপে বলেছে ৮০ শতাংশ লোক চায় যে যতদিন খুশি এই সরকার থাকবে। আমি জানি না এই কথা তারা কোথা থেকে পেল, কীভাবে পেল। কিন্তু জনগণ এটা কোনোদিনই মেনে নেবে না।’

রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

ওই জরিপের প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি পত্রিকার নাম বলছি না একটা জরিপের বরাত দিয়ে লিখেছে। এই জরিপ কারা করেছে আমি ঠিক বলতে পারব না। এ ধরনের কথা, রিপোর্ট করা থেকে আমার মনে হয় ভেবেচিন্তে করা উচিত যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সেই বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কিছু সংগঠন, গোষ্ঠী তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন যে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখা হোক। তারা একেবারেই পরিবর্তন করে দেবে। সব সংস্কার তারাই করে দেবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নাই, পার্লামেন্টের দরকার নাই।

আরও

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কাজে হাত দিয়েছে, তাদের কাজ করতে দিন: মির্জা ফখরুল

ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এবং নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও অবাধ। এখন নিরপেক্ষ সরকার আছে। নির্বাচনের পরেই যারা নির্বাচিত হবেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে কোন কোন পরিবর্তনগুলো দরকার।’

‘শুধু কি পরিবর্তন, নাকি নতুন করে লিখতে হবে। নতুন করে লিখতে হবে নাকি বাতিল করে দিয়ে সংবিধান আনতে হবে। এটা পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে,’ যোগ করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে যে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে দেশের জনগণের জন্য, সেটাকে নস্যাৎ করার জন্য, নষ্ট করার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আমি অত্যন্ত অবাক হই যখন দেখি আমাদের শিক্ষিত মানুষেরা, সমাজে যাদের গুরুত্ব আছে, তারা যখন বিভিন্ন রকম কথা বলে যা বিভ্রান্তিমূলক।’

‘যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, এই সরকার যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যেই অনেকেই যখন বলেন যে নতুন দল তৈরি করতে হবে, তখন বিস্মিত হই। এই এখতিজয়ার উনাকে কে দিয়েছে? উনি এই দায়িত্ব পেলেন কোথায় যে নতুন দল তৈরি করতে হবে?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

অবিলম্বে নির্বাচন দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে হলে ন্যূনতম যে পরিবর্তনগুলো দরকার, ব্যবস্থা দরকার সেটা করতে হবে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের যে সংস্কার করা দরকার সেটা করতে হবে। প্রশাসনিক কাঠামো, জুডিশিয়ারি সংস্কার, পরিবর্তন যেটা দরকার করতে হবে। এসব করে অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আরও বেশকিছু দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। বলেন, আমি আহ্বান জানাচ্ছি অবিলম্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, হয়রানি মূলক ও গায়েবি মামলা, যার সংখ্যা এক লাখ ৪৫ হাজার, অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত-আহত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এখনো আপনার প্রশাসনে সেই সব ব্যক্তিরা রয়ে গেছেন, যারা ফ্যাসিবাদ সরকারের রেজিমকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কাজ করেছেন। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে সরানো করা হোক।’

ঐক্য অটুট রাখতে হবে, চক্রান্তে পা দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল।উনার আরো মনে অনেক কথা আছে যাহা ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বলতে পারেন নাই চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে বিএনপি’র ভোটারা মেনে নেবে না: একথা সাধারণ জনগণ বলছে

আপডেট টাইম : ০২:৫৬:০৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডিআরইউ মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশিদিন থাকলে জনগণ তা মেনে নেবে না। 

পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘একটি জরিপে বলেছে ৮০ শতাংশ লোক চায় যে যতদিন খুশি এই সরকার থাকবে। আমি জানি না এই কথা তারা কোথা থেকে পেল, কীভাবে পেল। কিন্তু জনগণ এটা কোনোদিনই মেনে নেবে না।’

রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

ওই জরিপের প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি পত্রিকার নাম বলছি না একটা জরিপের বরাত দিয়ে লিখেছে। এই জরিপ কারা করেছে আমি ঠিক বলতে পারব না। এ ধরনের কথা, রিপোর্ট করা থেকে আমার মনে হয় ভেবেচিন্তে করা উচিত যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সেই বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কিছু সংগঠন, গোষ্ঠী তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন যে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখা হোক। তারা একেবারেই পরিবর্তন করে দেবে। সব সংস্কার তারাই করে দেবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নাই, পার্লামেন্টের দরকার নাই।

আরও

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কাজে হাত দিয়েছে, তাদের কাজ করতে দিন: মির্জা ফখরুল

ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এবং নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও অবাধ। এখন নিরপেক্ষ সরকার আছে। নির্বাচনের পরেই যারা নির্বাচিত হবেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে কোন কোন পরিবর্তনগুলো দরকার।’

‘শুধু কি পরিবর্তন, নাকি নতুন করে লিখতে হবে। নতুন করে লিখতে হবে নাকি বাতিল করে দিয়ে সংবিধান আনতে হবে। এটা পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে,’ যোগ করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে যে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে দেশের জনগণের জন্য, সেটাকে নস্যাৎ করার জন্য, নষ্ট করার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আমি অত্যন্ত অবাক হই যখন দেখি আমাদের শিক্ষিত মানুষেরা, সমাজে যাদের গুরুত্ব আছে, তারা যখন বিভিন্ন রকম কথা বলে যা বিভ্রান্তিমূলক।’

‘যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, এই সরকার যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যেই অনেকেই যখন বলেন যে নতুন দল তৈরি করতে হবে, তখন বিস্মিত হই। এই এখতিজয়ার উনাকে কে দিয়েছে? উনি এই দায়িত্ব পেলেন কোথায় যে নতুন দল তৈরি করতে হবে?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

অবিলম্বে নির্বাচন দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে হলে ন্যূনতম যে পরিবর্তনগুলো দরকার, ব্যবস্থা দরকার সেটা করতে হবে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের যে সংস্কার করা দরকার সেটা করতে হবে। প্রশাসনিক কাঠামো, জুডিশিয়ারি সংস্কার, পরিবর্তন যেটা দরকার করতে হবে। এসব করে অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আরও বেশকিছু দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। বলেন, আমি আহ্বান জানাচ্ছি অবিলম্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, হয়রানি মূলক ও গায়েবি মামলা, যার সংখ্যা এক লাখ ৪৫ হাজার, অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত-আহত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এখনো আপনার প্রশাসনে সেই সব ব্যক্তিরা রয়ে গেছেন, যারা ফ্যাসিবাদ সরকারের রেজিমকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কাজ করেছেন। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে সরানো করা হোক।’

ঐক্য অটুট রাখতে হবে, চক্রান্তে পা দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল।উনার আরো মনে অনেক কথা আছে যাহা ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বলতে পারেন নাই চোখ রাখুন