হাসিনার মতোই সাম্প্রতিক সময়ে চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান
- আপডেট টাইম : ১০:০৬:২৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ আগস্ট ২০২৪
- / ৬৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে বলে জানিয়েছেন দেশের সেনাপ্রধান। সোমবার শেখ হাসিনা গণভবন ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে দুপুরেই ঢাকার গণভবন দখল করে নেয় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর চলে, বঙ্গবন্ধুর মূর্তিও ভাঙা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে মেয়াদ পূরণের আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন কোন কোন দেশের শীর্ষ রাষ্ট্রপ্রধান একনজরে দেখে নিন।
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট
দলীয় নীতি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। তাই মেয়াদ পূরণের আগেই চলতি বছরের মার্চ মাসে পদত্যাগ করেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং। তার কর্মকাণ্ডের কারণে জনমতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দলের পাশাপাশি দেশ ও তার নিজেরও সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বলে জানা গিয়েছিল। চাপের মুখে পদত্যাগ করেন থুং।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকর
মার্চ মাসে পদত্যাগ করেন আয়ারল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকর। ভারাদকরের উপলব্ধি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার যোগ্যতা নেই তার। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ও তার দল ফাইন গেইলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন ভারাদকর। তার পর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের সরকারি ভবন থেকে বিবৃতি প্রকাশ করেন তিনি।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী
চাপের মুখে পড়ে হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ইস্তফা দেন তিনি। সেই সময় ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশটিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ক্রমেই উত্তাল হচ্ছিল দেশ। সেই আবহে পদত্যাগ করেন হেনরি।
হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জনরোষের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেন হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ক্যাটালিন নোভাক। একাধিক শিশুকে যৌন নিগ্রহ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তির সাজা মওকুফ করেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল ক্যাটালিনকে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মেয়াদ পূরণের আগেই পদত্যাগ করেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন। মন্ত্রিসভায় রদবদলের আঁচ করে পদত্যাগ করেন তিনি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এলিজাবেথকে নিযুক্ত করেন প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাঁক্রো।