ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে সিগারেটের দাম বাড়ানোর আহবান কাজী ফিরোজ রশিদ এমপির”

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
  • / ৪৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।। 

একজন ধূমপায়ী নিজেই কেবল ক্ষতিগ্রস্থ হন না। তার দ্বারা পরোক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন হন আশেপাশের মানুষজন। একারণে ধূমপায়ী ব্যক্তি যাতে সিগারেট ছাড়তে বাধ্য হন সেজন্য সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে সিগারেটের দাম বাড়ানো উচিত। এছাড়া ট্যাক্স বাড়ালে সরকারেরও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে অভিমত দিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।
২৭ মার্চ শনিবার রাজধানীর কলাবাগানে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী। প্রতিনিধি দল কাজী ফিরোজ রশিদ, এমপিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সিগারেটের ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব হলো, সকল সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫%) মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা। নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩২.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। মধ্যম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৭০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। উচ্চ স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১১০ টাকা নির্ধারণ করে ৭১.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক করা এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৯১ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া মধ্যমেয়াদে (২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬) সিগারেটের ব্রান্ডসমূহের মধ্যে দাম ও করহারের ব্যবধান কমিয়ে মূল্যস্তরের সংখ্যা ৪টি থেকে ২টিতে নামিয়ে আনা।
রেজাউর রহমান রিজভী বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে ব্যবহার কমবে, জীবন বাঁচবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। এছাড়া সিগারেটের ব্যবহার প্রতি বছর ১% হারে কমবে। প্রায় ১১ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে এবং ৮ লক্ষাধিক তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে; দীর্ঘমেয়াদে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার বর্তমান ধূমপায়ী এবং ৪ লাখ তরুণের অকাল মৃত্যুরোধ করা সম্ভব হবে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের চেয়ে সম্পূরক শুল্ক, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ এবং ভ্যাট বাবদ ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। এছাড়া নিম্ন স্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলক স্বল্প আয়ের মানুষকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করবে এবং একইসাথে উচ্চ স্তরে সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে ধূমপায়ীদের সস্তা ব্রান্ড পছন্দের সামর্থ্য সীমিত হবে এবং বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে এবং একইসাথে সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে কাজী ফিরোজ রশিদ, এমপির সমর্থন চান। কাজী ফিরোজ রশিদ, এমপি প্রতিনিধি দলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধুবাদ জানান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে সিগারেটের দাম বাড়ানোর আহবান কাজী ফিরোজ রশিদ এমপির”

আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।। 

একজন ধূমপায়ী নিজেই কেবল ক্ষতিগ্রস্থ হন না। তার দ্বারা পরোক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন হন আশেপাশের মানুষজন। একারণে ধূমপায়ী ব্যক্তি যাতে সিগারেট ছাড়তে বাধ্য হন সেজন্য সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে সিগারেটের দাম বাড়ানো উচিত। এছাড়া ট্যাক্স বাড়ালে সরকারেরও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে অভিমত দিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।
২৭ মার্চ শনিবার রাজধানীর কলাবাগানে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী। প্রতিনিধি দল কাজী ফিরোজ রশিদ, এমপিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সিগারেটের ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব হলো, সকল সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫%) মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা। নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩২.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। মধ্যম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৭০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। উচ্চ স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১১০ টাকা নির্ধারণ করে ৭১.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক করা এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৯১ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া মধ্যমেয়াদে (২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬) সিগারেটের ব্রান্ডসমূহের মধ্যে দাম ও করহারের ব্যবধান কমিয়ে মূল্যস্তরের সংখ্যা ৪টি থেকে ২টিতে নামিয়ে আনা।
রেজাউর রহমান রিজভী বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে ব্যবহার কমবে, জীবন বাঁচবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। এছাড়া সিগারেটের ব্যবহার প্রতি বছর ১% হারে কমবে। প্রায় ১১ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে এবং ৮ লক্ষাধিক তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে; দীর্ঘমেয়াদে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার বর্তমান ধূমপায়ী এবং ৪ লাখ তরুণের অকাল মৃত্যুরোধ করা সম্ভব হবে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের চেয়ে সম্পূরক শুল্ক, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ এবং ভ্যাট বাবদ ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। এছাড়া নিম্ন স্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলক স্বল্প আয়ের মানুষকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করবে এবং একইসাথে উচ্চ স্তরে সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে ধূমপায়ীদের সস্তা ব্রান্ড পছন্দের সামর্থ্য সীমিত হবে এবং বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে এবং একইসাথে সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে কাজী ফিরোজ রশিদ, এমপির সমর্থন চান। কাজী ফিরোজ রশিদ, এমপি প্রতিনিধি দলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধুবাদ জানান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।