ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

হাইকোর্টের রায় মোতাবেক অধ্যক্ষ আলাউদ্দিনকেই চায় ছাত্রছাত্রী ও সচেতন জনতা

শোয়েব হোসেন (ঢাকা) --
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / ৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন পেশায় সকলে আসেন বলেই দেশ ও জাতীর ধারণা।অথচ, যে প্রতিষ্ঠানে আইন শেখানো হচ্ছে, সেখানেই আবার হচ্ছে বেআইনি কাজ কারবার!এমনই একটি আপত্তিকর,পৈশাচিক, ভয়াবহ,উদ্ভট, অসামাজিক ও চরম মানবাধিকার লংঘন জনিত ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর মিরপুর ল’কলেজে! গত ৩০শে মে হাইকোর্টের একটি আদেশের কপি নিয়েও নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারলেন না মিরপুর ল’কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে সুস্থ-সুন্দর জাতি গড়ার প্রত্যাশায় এবং দেশ ও দশের প্রতি স্মরণীয় অবদান রাখার লক্ষ্যে হাইকোর্টের একজন সম্মানিত আইনজীবী হওয়া সত্বেও বিনা বেতনে ১৯৯৩ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত মিরপুর ল’কলেজে শিক্ষকতা শুরু করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্বাক্ষর রাখেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মিরপুর ল’ কলেজের অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন তিনি সততা এবং নিষ্ঠার যোগ্যতা স্বরূপ। হঠাৎ রহস্যময় ভাবে বিগত ০৯/০৫/২০২৪ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি প্রেরণ করেন তার অব্যাহতির প্রসঙ্গে। চিঠিতে উল্লেখ থাকে ৬১ বছর হওয়ায় আপনি আর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

তারপর গত ১৫/০৫/২০২৪ তারিখে উপাধ্যক্ষ খন্দকার মোদারেস এলাহী তিরুর নেতৃত্বে শিক্ষক সোহেল মল্লিক, পাল বৃত্তাংশ নন্দন, খন্দকার ফারহান এলাহি ও কলেজের কর্মচারী বাদশা মোল্লা, তারেক রহমান, জসীমউদ্দীন, জামাল আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদের বাসায় এসে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে কলেজের কাগজপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই আদেশের আইনে বিভিন্ন ফাঁক রয়েছে।আমি মহামান্য হাইকোর্টে আবেদন করবো। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনারা একটু অপেক্ষা করুন।যদি মহামান্য হাইকোর্ট আমাকে অব্যাহতি দেন তাহলে আমি চলে যাব।” তখন অমনি উপাধ্যক্ষ সহ তার সাথে থাকা শিক্ষক ও কর্মচারীরা বাসার মধ্যেই সন্ত্রাসী দের মতো তুমুল হট্টগোল করে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদকে অপমান অপদস্থ করে হুমকি দিয়ে যান যে,”আপনাকে কেউ এই চেয়ারে বসাতে পারবেনা, আমাদের পক্ষে স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী নেতা রয়েছে!”

পরবর্তীতে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। ফলে ২০/০৫/২০২৪ইং তারিখে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আদেশকে স্থগিত করে রায়ে উল্লেখ করেন, “যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের আইন কে সংশোধন করে ৬৭ বছরে উন্নিত করেছেন সেজন্য অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে ৬৭ বছর পর্যন্ত মিরপুর ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তার দায়িত্ব পালনে আর কোন আইনগত বাঁধা থাকবে না”।

বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০/০৫/২০২৪ তারিখে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন এবং ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি তার হাতে এসেছে এবং তিনি তার দায়িত্বে বসবেন।তবে তিনি আশঙ্কা করছেন, কলেজে ঢোকা মাত্র তার জীবন হুমকির মুখে বা যেকোনো ধরনের আক্রমণ তার উপরে হতে পারে। তখন পল্লবী থানার পক্ষ থেকে তাকে আশ্বাস দেওয়া হয় এবং তার নিরাপত্তার জন্য এসআই তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দলের সাথে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী নিয়ে ভোরের বাংলা নিউজ এর সম্পাদক শেখ ফয়সাল আহমেদ সহ অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ ও তার সহধর্মিনী নাজমুন নাহার এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম কলেজ গেইটে উপস্থিত হলে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হয় তালা খুলে দেওয়ার জন্য কিন্তু কেউই তালা খুলতে নারাজ। যদিও প্রশাসন, মানবাধিকার ও মিডিয়াকর্মীদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় আমরা এসেছি একটি সমঝোতার মাধ্যমে। যেহেতু, উনি মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি নিয়ে এসেছেন তাই আমরা বসে এ বিষয়টা সমাধান করবো।যেহেতু রায়ের মাধ্যমে তাকে তার দায়িত্বে পূর্ণ বহাল করা হয়েছে আপনারা গেট খুলে দিন।আপনারা কোন ভাবে আইন অমান্য করতে পারেন না এবং মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করা দণ্ডনীয় অপরাধ।কিন্তু, কুচক্রী উপাধ্যাক্ষের নির্দেশে কোন অবস্থাতেই তালা খোলা হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও ভুল বোঝানো হয় এবং অনেক ছাত্র ক্লাস করার জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘক্ষন।বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী জানান, আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে, আমরা যতটুকু জানি আলাউদ্দিন আহমেদই আমাদের অধ্যক্ষ।গেইট না খোলায় আমরা ক্লাসও করতে পারছি না।

সেদিন কোন অবস্থাতেই উপাধ্যাক্ষ কোন কথায় কর্ণপাত করেননি এবং তালাও খুলেননি।তবে উক্ত সময়ে নানান অজুহাতে উপস্থিত হওয়া বিভিন্ন ব্যাক্তির সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যম কর্মীরা সংগ্রহ করেন।একপর্যায়ে অদৃশ্য অপশক্তির ঈশারায় বেশ কিছু রাজনীতিবিদ ও বহিরাগত বিভিন্ন লোকজন আক্রমনাত্মক উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করলে বাধ্য হয়ে প্রশাসন, মানবাধিকার ও মিডিয়াকর্মীদের পরামর্শে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়।প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি এবং এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাইকোর্টের রায় মোতাবেক অধ্যক্ষ আলাউদ্দিনকেই চায় ছাত্রছাত্রী ও সচেতন জনতা

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

রাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন পেশায় সকলে আসেন বলেই দেশ ও জাতীর ধারণা।অথচ, যে প্রতিষ্ঠানে আইন শেখানো হচ্ছে, সেখানেই আবার হচ্ছে বেআইনি কাজ কারবার!এমনই একটি আপত্তিকর,পৈশাচিক, ভয়াবহ,উদ্ভট, অসামাজিক ও চরম মানবাধিকার লংঘন জনিত ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর মিরপুর ল’কলেজে! গত ৩০শে মে হাইকোর্টের একটি আদেশের কপি নিয়েও নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারলেন না মিরপুর ল’কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে সুস্থ-সুন্দর জাতি গড়ার প্রত্যাশায় এবং দেশ ও দশের প্রতি স্মরণীয় অবদান রাখার লক্ষ্যে হাইকোর্টের একজন সম্মানিত আইনজীবী হওয়া সত্বেও বিনা বেতনে ১৯৯৩ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত মিরপুর ল’কলেজে শিক্ষকতা শুরু করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্বাক্ষর রাখেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মিরপুর ল’ কলেজের অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন তিনি সততা এবং নিষ্ঠার যোগ্যতা স্বরূপ। হঠাৎ রহস্যময় ভাবে বিগত ০৯/০৫/২০২৪ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি প্রেরণ করেন তার অব্যাহতির প্রসঙ্গে। চিঠিতে উল্লেখ থাকে ৬১ বছর হওয়ায় আপনি আর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

তারপর গত ১৫/০৫/২০২৪ তারিখে উপাধ্যক্ষ খন্দকার মোদারেস এলাহী তিরুর নেতৃত্বে শিক্ষক সোহেল মল্লিক, পাল বৃত্তাংশ নন্দন, খন্দকার ফারহান এলাহি ও কলেজের কর্মচারী বাদশা মোল্লা, তারেক রহমান, জসীমউদ্দীন, জামাল আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদের বাসায় এসে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে কলেজের কাগজপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই আদেশের আইনে বিভিন্ন ফাঁক রয়েছে।আমি মহামান্য হাইকোর্টে আবেদন করবো। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনারা একটু অপেক্ষা করুন।যদি মহামান্য হাইকোর্ট আমাকে অব্যাহতি দেন তাহলে আমি চলে যাব।” তখন অমনি উপাধ্যক্ষ সহ তার সাথে থাকা শিক্ষক ও কর্মচারীরা বাসার মধ্যেই সন্ত্রাসী দের মতো তুমুল হট্টগোল করে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদকে অপমান অপদস্থ করে হুমকি দিয়ে যান যে,”আপনাকে কেউ এই চেয়ারে বসাতে পারবেনা, আমাদের পক্ষে স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী নেতা রয়েছে!”

পরবর্তীতে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। ফলে ২০/০৫/২০২৪ইং তারিখে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আদেশকে স্থগিত করে রায়ে উল্লেখ করেন, “যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের আইন কে সংশোধন করে ৬৭ বছরে উন্নিত করেছেন সেজন্য অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে ৬৭ বছর পর্যন্ত মিরপুর ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তার দায়িত্ব পালনে আর কোন আইনগত বাঁধা থাকবে না”।

বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০/০৫/২০২৪ তারিখে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন এবং ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি তার হাতে এসেছে এবং তিনি তার দায়িত্বে বসবেন।তবে তিনি আশঙ্কা করছেন, কলেজে ঢোকা মাত্র তার জীবন হুমকির মুখে বা যেকোনো ধরনের আক্রমণ তার উপরে হতে পারে। তখন পল্লবী থানার পক্ষ থেকে তাকে আশ্বাস দেওয়া হয় এবং তার নিরাপত্তার জন্য এসআই তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দলের সাথে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী নিয়ে ভোরের বাংলা নিউজ এর সম্পাদক শেখ ফয়সাল আহমেদ সহ অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ ও তার সহধর্মিনী নাজমুন নাহার এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম কলেজ গেইটে উপস্থিত হলে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হয় তালা খুলে দেওয়ার জন্য কিন্তু কেউই তালা খুলতে নারাজ। যদিও প্রশাসন, মানবাধিকার ও মিডিয়াকর্মীদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় আমরা এসেছি একটি সমঝোতার মাধ্যমে। যেহেতু, উনি মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের কপি নিয়ে এসেছেন তাই আমরা বসে এ বিষয়টা সমাধান করবো।যেহেতু রায়ের মাধ্যমে তাকে তার দায়িত্বে পূর্ণ বহাল করা হয়েছে আপনারা গেট খুলে দিন।আপনারা কোন ভাবে আইন অমান্য করতে পারেন না এবং মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করা দণ্ডনীয় অপরাধ।কিন্তু, কুচক্রী উপাধ্যাক্ষের নির্দেশে কোন অবস্থাতেই তালা খোলা হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও ভুল বোঝানো হয় এবং অনেক ছাত্র ক্লাস করার জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘক্ষন।বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী জানান, আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে, আমরা যতটুকু জানি আলাউদ্দিন আহমেদই আমাদের অধ্যক্ষ।গেইট না খোলায় আমরা ক্লাসও করতে পারছি না।

সেদিন কোন অবস্থাতেই উপাধ্যাক্ষ কোন কথায় কর্ণপাত করেননি এবং তালাও খুলেননি।তবে উক্ত সময়ে নানান অজুহাতে উপস্থিত হওয়া বিভিন্ন ব্যাক্তির সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যম কর্মীরা সংগ্রহ করেন।একপর্যায়ে অদৃশ্য অপশক্তির ঈশারায় বেশ কিছু রাজনীতিবিদ ও বহিরাগত বিভিন্ন লোকজন আক্রমনাত্মক উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করলে বাধ্য হয়ে প্রশাসন, মানবাধিকার ও মিডিয়াকর্মীদের পরামর্শে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়।প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি এবং এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।