ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ ও তার পরিবারের উপর বর্বর হামলা: প্রাণনাশের হুমকি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছেন। বাড়িয়ালা ময়না বেগম নেতৃত্বে  পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক

দুদকে যারা চাকরি করে, তারা অন্য কোথাও থেকে আসেনি : দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০১:২১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / ৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

টাকা পাচারের অপরাধে প্রণীত মানি লন্ডারিং আইনের ২৯ টি ধারার মধ্যে মাত্র একটি ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবস্থা নিতে পারে। বাকি ২৮ টি ধারায় অপরাধ সংগঠিত হলেও দুদকের কিছুই করার নেই।

আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দুর্নীতি দমনে নাগরিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।

হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানি লন্ডারিং যে অপরাধ বাংলাদেশে আছে, এর ২৯ টি অপরাধের মধ্যে শুধু একটিমাত্র ধারার অপরাধ দুর্নীতি দমন কমিশনের দেখার দায়িত্ব। বাকি ২৮ টি অপরাধ হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছুই করার নেই। মানিলন্ডারিং হলেই দুর্নীতি দমন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। সরকারি কর্মচারী যদি মানিলন্ডারিং করে, তাহলে সেটা দেখতে পারে। বাকি ক্ষেত্রে যে মানিলন্ডারিং হচ্ছে, সেটার দায়িত্ব দেখার দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে সুযোগ তেমন একটা নাই’।
তিনি বলেন, সাধারণ লোকজন যেসব দপ্তরে যায়, সেখানকার দুর্নীতি প্রকাশ পায়। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিষয়ে কেউ জানেও না এবং মিডিয়াতেও দেখি না।

কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে উইন উইন সিচুয়েশনে দুর্নীতি হয়। সেখানে নিজে দশ কোটি টাকা লাভ করবে, সরকারের কর্মচারী হয়তো ১০, ২০ লাখ টাকা। সেখানে কোনো অভিযোগ আসে না, মিডিয়াও আসেনা, প্রমাণও থাকে না। আর যদি প্রমাণও আসে, দুর্নীতি দমন কমিশন এগুলোর প্রমাণ (নথি) পায় না এবং আপনারা ভাবেন যে দুর্নীতি দমন কমিশন দায় মুক্তি দিয়েছে।

চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে যারা চাকরি করে, তারা ভিন্ন গ্রহ থেকে আসেনি। তারাও ভালো-মন্দ সব জায়গায় আছে। গত দুই বছরে দুদকের ৩০ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। কারও চাকরি গেছে, কাউকে নিচের পদে নামিয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কার্যক্রম চলছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, এটিএন নিউজ টিভির প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ. ই মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুদকে যারা চাকরি করে, তারা অন্য কোথাও থেকে আসেনি : দুদক চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০১:২১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

টাকা পাচারের অপরাধে প্রণীত মানি লন্ডারিং আইনের ২৯ টি ধারার মধ্যে মাত্র একটি ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবস্থা নিতে পারে। বাকি ২৮ টি ধারায় অপরাধ সংগঠিত হলেও দুদকের কিছুই করার নেই।

আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দুর্নীতি দমনে নাগরিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।

হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানি লন্ডারিং যে অপরাধ বাংলাদেশে আছে, এর ২৯ টি অপরাধের মধ্যে শুধু একটিমাত্র ধারার অপরাধ দুর্নীতি দমন কমিশনের দেখার দায়িত্ব। বাকি ২৮ টি অপরাধ হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছুই করার নেই। মানিলন্ডারিং হলেই দুর্নীতি দমন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। সরকারি কর্মচারী যদি মানিলন্ডারিং করে, তাহলে সেটা দেখতে পারে। বাকি ক্ষেত্রে যে মানিলন্ডারিং হচ্ছে, সেটার দায়িত্ব দেখার দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে সুযোগ তেমন একটা নাই’।
তিনি বলেন, সাধারণ লোকজন যেসব দপ্তরে যায়, সেখানকার দুর্নীতি প্রকাশ পায়। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিষয়ে কেউ জানেও না এবং মিডিয়াতেও দেখি না।

কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে উইন উইন সিচুয়েশনে দুর্নীতি হয়। সেখানে নিজে দশ কোটি টাকা লাভ করবে, সরকারের কর্মচারী হয়তো ১০, ২০ লাখ টাকা। সেখানে কোনো অভিযোগ আসে না, মিডিয়াও আসেনা, প্রমাণও থাকে না। আর যদি প্রমাণও আসে, দুর্নীতি দমন কমিশন এগুলোর প্রমাণ (নথি) পায় না এবং আপনারা ভাবেন যে দুর্নীতি দমন কমিশন দায় মুক্তি দিয়েছে।

চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে যারা চাকরি করে, তারা ভিন্ন গ্রহ থেকে আসেনি। তারাও ভালো-মন্দ সব জায়গায় আছে। গত দুই বছরে দুদকের ৩০ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। কারও চাকরি গেছে, কাউকে নিচের পদে নামিয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কার্যক্রম চলছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, এটিএন নিউজ টিভির প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ. ই মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।