মোংলায় অন্যের ভোগ দখলীয় জমি ও হোটেল দখলের অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ১১:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
- / ১১০ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোংলা বাস স্ট্যান্ডের পাশে লোভের বশবর্তী হয়ে অন্যের ভোগ দখলীয় জমি ও সাগরিকা হোটেল দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অভিযোগকারী খতেজা খাতুন বলেন, আমার শশুরের নামে বরাদ্দকৃত ও তার ক্রয়কৃত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মবক এর প্লট নং ১ ও ২ জমির উপরে তার স্বামী দীর্ঘকাল যাবৎ সাগরিকা হোটেল পরিচালনা করে ভোগদখলে ছিলেন। কিন্তু তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মোতালেবের ছেলে মোঃ রাসেল (৩৫), মৃত: মোসলেম খানের ছেলে মোঃ মহিদুল ইসলাম (৪৭)সহ অহিদুল,মোতালেব, ফেরদৌস প্রিন্সরা জমি ও সাগরিকা হোটেল দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। এ বিষয় জানতে পেরে তারা খুলনা সিটি মেয়র ও মোংলা পোর্ট পৌর সভার মেয়রের মাধ্যমে সালিশীর ব্যবস্থা করেন। সালিশ চালমান অবস্থায় গত ০৯- ০৩ -২০২৪ইং তারিখে রাতের আঁধারে হোটেলের তালা, সার্টার ও দেয়াল ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে বিবাদীরা তাদের ভোগদখলীয় জমি ও হোটেলের মাঝখান দিয়া হাডবোট দ্বারা ঘেরা – বেড়া দিয়া দখল করে। উল্লেখ যে, ০১-০৩-২০২৪ ইং তারিখ রাতে হোটেলে তান্ডব চালায় এবং হোটেলের মালামাল রাস্তায় নামিয়ে রাখেন। এ বিষয়ে তাদের নামে মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে খতেজা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মবক এর প্রদত্ত দোকান নং-০২, স্মারক নং-মবক -ব্য(প্র:)-স(ম)- ১৫-১২-০৫-৮৮০,জমি -১০’×১৫’ জায়গায় গত ২০-১০-২০১১ ইং তারিখ মোতালেবের ছেলে দাতা মো: রাসেল এর নিকট হইতে খরিদ করিয়া মো: নুর মোহাম্মদ আলী ভোগ দখল করিয়া ব্যবসা করিয়া আসিতেছিলেন। কিন্তু গত ২৪-০৬-২০২১ইং তারিখ নুর মোহাম্মদ আলী মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যু কালে তিনি তিন পুত্র ও দুই কন্যা ওয়ারেশ হিসাবে রেখে যান। পরে নুর মোহাম্মদ আলী এর ওয়ারেশগন বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারে যে কে বা কাহারা মরহুম নুর মোহাম্মদ আলী এর স্বাক্ষর জাল – জালিয়াতি করিয়া প্লট হস্তান্তর চুক্তিপত্র দেখাইয়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসনের নিকট একটি ভূয়া ও বানোয়াট আবেদন করেন। কিন্তু মৃত : নুর মোহাম্মদ আলীর জীবদ্দশায় কোথাও কোন প্লট হস্তান্তর বা বিক্রয় করেননি বলে জানাযায়। আরো উল্লেখ্য যে, মৃত: নুর মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন না। তার জাতীয় পরিচয় পত্রেও বৃদ্ধ আঙ্গুলের টিপ দেওয়া রয়েছে। কোন স্থাবর/অস্হাবর সম্পত্তি বিক্রয় হইলে তিনি টিপ দিয়া হস্তান্তর করিতেন। এ বিষয়ে তার ছেলে আবুল কালাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বাবা নুর মোহাম্মদ আলী এর খরিদকৃত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মবক এর প্রদত্ত দোকান নং -০২, স্মারক নং-মবক -ব্য(প্র:)-স(ম)- ১৫-১২-০৫-৮৮০,জমি -১০’×১৫’ জায়গাতে যাতে কেউ প্রতারনা করে প্লট হস্তান্তর চুক্তিপত্রের নাম পরিবর্তন না করতে পারে সেই বিষয়ে মৃত: মো: নুর মোহাম্মদ আলী এর ছেলে মো: আবুল কালাম মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট একটি আবেদন করেছিলেন।