ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে

ইবিতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

ইবি প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৩:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ১০০ ৫০০০.০ বার পাঠক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের অফিসের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় অর্ধশত কর্মচারী তাঁদের বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলেন।

পরে তাদের প্রতিনিধিরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উপাচার্য আসন্ন সিন্ডিকেটের পরবর্তী সিন্ডিকেটে এ বিষয়টি উত্থাপন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার অফিসের সামনের করিডরে বসে কর্মচারীরা বলেন, আমাদের গতবছর বেতন বৃদ্ধির কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। বরং বারবার বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কার্যকর করা হচ্ছে না।

এ সময় অস্থায়ী কর্মচারী বাদশা মিয়া বলেন, বর্তমানে বাজারে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায় আমাদের সংসার চালানো অসম্ভব। সারাদেশে সরকার অস্থায়ী কর্মচারীদের দৈনিক ভাতা সর্বনিম্ন ৫০০-৫৫০ টাকার নীতিমালা করেছে। সেখানে আমাদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৫০ টাকা। আমাদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসে ৫১ জন থোক ভিত্তিতে কর্মরত আছেন। তাঁদের প্রতি মাসে পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন চার হাজার দুইশত টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি মাসে ব্যায় হচ্ছে তিন লক্ষ ১০০ টাকা।

থোক ভিত্তিতে নিয়োজিতদের মাসিক টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য ২০২৩ সালের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোষাধ্যক্ষ ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও উপ-হিসাব পরিচালক সামসুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্টি একটি কমিটি গঠন করে দেন। তবে এ কমিটি প্রায় এক বছর পরেও এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অস্থায়ী কর্মচারীরাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। তাঁদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টা প্রশাসন দেখবে। ‘

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটা আর্থিক খাত আছে সেখান থেকে অস্থায়ীদের কিছু টাকা প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে তাঁদের বেতন বাড়বে কিনা এই বিষয়টা প্রশাসনের সবাইকে একসাথে বসে আলোচনা করতে হবে।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইবিতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

আপডেট টাইম : ০৭:১৩:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের অফিসের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় অর্ধশত কর্মচারী তাঁদের বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলেন।

পরে তাদের প্রতিনিধিরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উপাচার্য আসন্ন সিন্ডিকেটের পরবর্তী সিন্ডিকেটে এ বিষয়টি উত্থাপন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার অফিসের সামনের করিডরে বসে কর্মচারীরা বলেন, আমাদের গতবছর বেতন বৃদ্ধির কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। বরং বারবার বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কার্যকর করা হচ্ছে না।

এ সময় অস্থায়ী কর্মচারী বাদশা মিয়া বলেন, বর্তমানে বাজারে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায় আমাদের সংসার চালানো অসম্ভব। সারাদেশে সরকার অস্থায়ী কর্মচারীদের দৈনিক ভাতা সর্বনিম্ন ৫০০-৫৫০ টাকার নীতিমালা করেছে। সেখানে আমাদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৫০ টাকা। আমাদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসে ৫১ জন থোক ভিত্তিতে কর্মরত আছেন। তাঁদের প্রতি মাসে পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন চার হাজার দুইশত টাকা দেওয়া হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি মাসে ব্যায় হচ্ছে তিন লক্ষ ১০০ টাকা।

থোক ভিত্তিতে নিয়োজিতদের মাসিক টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য ২০২৩ সালের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোষাধ্যক্ষ ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও উপ-হিসাব পরিচালক সামসুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্টি একটি কমিটি গঠন করে দেন। তবে এ কমিটি প্রায় এক বছর পরেও এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অস্থায়ী কর্মচারীরাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। তাঁদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টা প্রশাসন দেখবে। ‘

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটা আর্থিক খাত আছে সেখান থেকে অস্থায়ীদের কিছু টাকা প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে তাঁদের বেতন বাড়বে কিনা এই বিষয়টা প্রশাসনের সবাইকে একসাথে বসে আলোচনা করতে হবে।’