চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকার বিভিন্ন স্পটে থাকা ছিনতাইকারী কিশোর গ্যাং সহ বিভিন্ন টানা ও মলম পার্টির সক্রিয় সদস্যদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে পাঁচলাইশ মড়েল থানা পুলিশ।

পুলিশের একের পর এক সাঁড়াশি অভিযানে ছিনতাইকারী সদস্যরা এবং তাদের শেল্টার দেয়া সদস্য সহ গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে. এতে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ প্রশংসার দাবিদার বলে জানায় এলাকাবাসী জনগণ ও ব্যবসায়ী মহল। বেশ কিছু ছিনতাইকারী ইতিমধ্যে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়াতে অন্যরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গিয়েছে বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে জানাযায় পাঁচলাইশ থানা এলাকার মুরাদপুর বদ্দারহাট ষোলশহর দুই নম্বর গেট ফরেস্ট গেট জিইসি’র মোড় প্রবর্তক ও ওয়ালি খাঁ মসজিদ মোড় এলাকায় প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন স্থানে ভাগ হয়ে অবস্থান নেয়. এতে রাস্তায় চলাচল কারী পথচারী এবং যানবাহনে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল’সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এতে বিভিন্ন সময় ছিন্তাইকারীদের হাতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া লোকজন ছিন্তাইকারীদের হামলার শিকার হয়ে আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
উক্ত এলাকাগুলোতে গত কিছুদিন ধরে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমার নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ আখতারুজ্জামান. এস.আই মোঃ জুবায়ের. এস.আই জিয়া. ইমাম হোসেন.দীপক দেওয়ান. নুরুল আলম আশেক.শরিফ রোকোনুজ্জামান. এস আই কুদ্দুস.রেজাউল করিম. নুরুল আমিন. এএসআই শাহ আলম.শাহাদাত হোসেন. তোজাম্মেল.এ.এস আই সোহেল আঃ রাজ্জাক ও গোপী মোহন প্রায় প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করায় এবং ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখায়. ইতিমধ্যে অনেক ছিন্তাইকারী সদস্য আত্মগোপন করেছে। ফলে পাঁচলাইশ থানা এলাকায় সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে চলাফেরা করতে পারছে. ছিন্তাইকারী মলম পার্টি মাদক কারবারী গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে মর্মে
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন পাঁচলাইশ থানা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখার ফলে সাধারণ মানুষের মোবাইল চুরি ছিনতাই সহ অপরাধের প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে.এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) মোঃ আরিফ হোসেন. দৈনিক সময়ের কণ্ঠ ‘ও গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন.এর আগে যেখানে প্রায় প্রতিদিন মোবাইল চুরি ছিন্তাইয়ের অভিযোগ করার জন্য সাধারণ মানুষ থানায় আসতো এখন সেটা অনেকটা কমে এসেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০/২৫ জনেরও অধিক ছিন্তাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এসব অপরাধীদের নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা নেই এবং আগামীতে পুলিশের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।