ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুন ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে খুলে দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের একটি গেট সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানী খিলগাঁও দক্ষিণ থানার ২ উত্তর ওয়ার্ডের কর্মী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না! বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, মতিঝিল থানার কর্মী সম্মেলনে একথা বলেন-মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহিদ হয়নি/ দেশের সংস্কার শেষে নির্বাচন। ।ঠাকুরগাঁওয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজ দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গা মুফতি-ওলামাদের সমাবেশ চাঁদপুরে জাহাজে হত্যাকাণ্ড ১ খুন লুকাতে আরও ৬ খুন করেন লস্কর ইরফান বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় উন্নয়নে পিছিয়ে আছে – উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ভয়ে কিছু বলতে পারছে না সহ-সমন্বয়ক খালেদ’

আব্বার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা জীবনকে উৎসর্গ করেছেন ॥ শেখ রেহানা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
  • / ২৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিতে ও সোনার বাংলা নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনি বলেন, ‘খুনিরা বঙ্গবন্ধুসহ আমাদের পরিবারের অন্যদের হত্যা করে। পরে আমার বোন শেখ হাসিনা প্রবাস থেকে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন দেশে ফিরবেন সিংহের মতো। তস্করদের ভয় করলে চলবে না। বাংলার মানুষের ভালোবাসায় ও আল্লাহর ইচ্ছায় দেশে ফিরলেন সিম্বার মতো। তাই আমি তাকে সিম্বা বলেই ডাকি। দেশে ফিরে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর আব্বার যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। ঠিক মুজিবের মতো করেই মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করলেন। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন।’

বুধবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আমার বাবার ছেলেবেলা’ শীর্ষক এক ভিডিওতে শেখ রেহানা বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিজেদের দুই বোনের স্মৃতিচারণও করেন তিনি।

শেখ রেহানার বর্ণনায় টুঙ্গিপাড়ার শ্যামল পরিবেশে ছোট্ট মুজিবের দুরন্তপনায় বেড়ে ওঠার গল্প জানা যায়। শৈশবে মধুমতীর ঘোলাজলে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে সাঁতার কাটা, দল বেঁধে খেলা বালকটি কীভাবে বিশ্বনেতা হয়ে উঠলেন সে গল্প উঠে আসে তার ভাষ্যে।

শেখ রেহানা জানান, ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরোপকারী ও মানবিক ছিলেন। দশ বছর বয়সে নিজের গায়ের জামা খুলে অন্যকে দান করে দেন কিশোর মুজিব। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখলেই তিনি যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন, তেমনি কোনও অন্যায়-অবিচার দেখলেই প্রতিবাদ করতেন।

ভিডিওর একপর্যায়ে শেখ রেহানা বলেন, একবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রামের চাষিদের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকদের অনেক বাড়িতেই দু’বেলা ভাত রান্না বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকায় দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা। কিশোর মুজিব এ পরিস্থিতিতে বাবাকে নিজেদের গোলা থেকে বিপন্ন কৃষকদের মধ্যে ধান বিতরণের অনুরোধ জানান। নিজেদের ধানের মজুত কেমন, এই অনুরোধ তার বাবা রাখতে পারবেন কি না, সেসব তিনি ভাবেননি। কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখার চিন্তাই ছিল তখন তার কাছে মুখ্য।

শেখ রেহানার বয়ানে আরও জানা যায়, একবার আমার দাদা কলকাতা থেকে সুন্দর একটা আলোয়ান (চাদর) কিনে আনলেন বাবার জন্য। বাবা সেটা পরে বাইরে বের হলেন ঘুরতে। ফেরার পথে দেখেন বয়স্ক এক মানুষ গাছের নিচে বসে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছেন। আব্বা তা দেখে নিজের চাদর তার গায়ে পরিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসলেন শীতে কাঁপতে কাঁপতে।

চোখে সমস্যা দেখা দিলে শৈশবেই শেখ মুজিবের চোখে অপারেশন হয়। এরপর চশমা পরা নিয়ে কতটা বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন তিনি, সে গল্পও উঠে আসে মেয়ের বর্ণনায়।

প্রায় ৩৮ মিনিটের এই ভিডিওটির একেবারে শেষ দিকে বাবার হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে শেখ রেহানা বলেন, ‘সোনামণিরা, তোমরা নিশ্চয়ই কার্টুন দেখতে ভালোবাসো। আমি কিন্তু দারুণ পছন্দ করি। তোমরা কি লায়ন কিং দেখেছ? লায়ন কিংয়ের মুফাসার সঙ্গে যেভাবে তার কাছের একজন বিশ্বাসঘাতকতা করে, মুজিবের সঙ্গেও খুব ঘনিষ্ঠ কিছু দুষ্ট লোক হিংসা, ষড়যন্ত্র করে পৃথিবী থেকে তাকে সরিয়ে দেয়। তার অসহায় সিম্বাকে প্রাণে বেঁচে সব সহ্য করতে হলো। ঠিক যেমন আমাদের দুই বোনকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হলো না। সিম্বা অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, ‘জানো ছোট্টমণিরা আমরা দু’বোন একে অপরকে পাশে রাখি। দু’জন দু’জনকে সাহায্য করি, খুব ভালোবাসি। ফ্রোজেনের ঠিক এনা-এলসার মতো, ট্রু লাভ। এনা-এলসার মা-বাবা-ভাইও একসঙ্গে পৃথিবী থেকে চলে যায়। ঠিক আমাদের দুই বোনের মতো। আজ এ পর্যন্ত। অনেক অনেক আদর, স্নেহ নিও। আজ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। তোমরাও আল্লাহর কাছে দোয়া করো আল্লাহ যেন ওনাকে বেহেশত নসিব করেন। তোমরা ভালো থাকো, তোমাদের জন্য ছোট্ট একটি সারপ্রাইজ আছে।’

এরপরই তার পাশে এসে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন তিনি বলেন, এনা আর এলসা হাসিনা-রেহানা, তোমাদের সামনে। তোমাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।

এরপর দুই বোন একসঙ্গে বলে ওঠেন, ‘শুভ জন্মদিন’।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আব্বার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা জীবনকে উৎসর্গ করেছেন ॥ শেখ রেহানা

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিতে ও সোনার বাংলা নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনি বলেন, ‘খুনিরা বঙ্গবন্ধুসহ আমাদের পরিবারের অন্যদের হত্যা করে। পরে আমার বোন শেখ হাসিনা প্রবাস থেকে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন দেশে ফিরবেন সিংহের মতো। তস্করদের ভয় করলে চলবে না। বাংলার মানুষের ভালোবাসায় ও আল্লাহর ইচ্ছায় দেশে ফিরলেন সিম্বার মতো। তাই আমি তাকে সিম্বা বলেই ডাকি। দেশে ফিরে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর আব্বার যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। ঠিক মুজিবের মতো করেই মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করলেন। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন।’

বুধবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আমার বাবার ছেলেবেলা’ শীর্ষক এক ভিডিওতে শেখ রেহানা বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিজেদের দুই বোনের স্মৃতিচারণও করেন তিনি।

শেখ রেহানার বর্ণনায় টুঙ্গিপাড়ার শ্যামল পরিবেশে ছোট্ট মুজিবের দুরন্তপনায় বেড়ে ওঠার গল্প জানা যায়। শৈশবে মধুমতীর ঘোলাজলে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে সাঁতার কাটা, দল বেঁধে খেলা বালকটি কীভাবে বিশ্বনেতা হয়ে উঠলেন সে গল্প উঠে আসে তার ভাষ্যে।

শেখ রেহানা জানান, ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরোপকারী ও মানবিক ছিলেন। দশ বছর বয়সে নিজের গায়ের জামা খুলে অন্যকে দান করে দেন কিশোর মুজিব। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখলেই তিনি যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন, তেমনি কোনও অন্যায়-অবিচার দেখলেই প্রতিবাদ করতেন।

ভিডিওর একপর্যায়ে শেখ রেহানা বলেন, একবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রামের চাষিদের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকদের অনেক বাড়িতেই দু’বেলা ভাত রান্না বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকায় দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা। কিশোর মুজিব এ পরিস্থিতিতে বাবাকে নিজেদের গোলা থেকে বিপন্ন কৃষকদের মধ্যে ধান বিতরণের অনুরোধ জানান। নিজেদের ধানের মজুত কেমন, এই অনুরোধ তার বাবা রাখতে পারবেন কি না, সেসব তিনি ভাবেননি। কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখার চিন্তাই ছিল তখন তার কাছে মুখ্য।

শেখ রেহানার বয়ানে আরও জানা যায়, একবার আমার দাদা কলকাতা থেকে সুন্দর একটা আলোয়ান (চাদর) কিনে আনলেন বাবার জন্য। বাবা সেটা পরে বাইরে বের হলেন ঘুরতে। ফেরার পথে দেখেন বয়স্ক এক মানুষ গাছের নিচে বসে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছেন। আব্বা তা দেখে নিজের চাদর তার গায়ে পরিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসলেন শীতে কাঁপতে কাঁপতে।

চোখে সমস্যা দেখা দিলে শৈশবেই শেখ মুজিবের চোখে অপারেশন হয়। এরপর চশমা পরা নিয়ে কতটা বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন তিনি, সে গল্পও উঠে আসে মেয়ের বর্ণনায়।

প্রায় ৩৮ মিনিটের এই ভিডিওটির একেবারে শেষ দিকে বাবার হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে শেখ রেহানা বলেন, ‘সোনামণিরা, তোমরা নিশ্চয়ই কার্টুন দেখতে ভালোবাসো। আমি কিন্তু দারুণ পছন্দ করি। তোমরা কি লায়ন কিং দেখেছ? লায়ন কিংয়ের মুফাসার সঙ্গে যেভাবে তার কাছের একজন বিশ্বাসঘাতকতা করে, মুজিবের সঙ্গেও খুব ঘনিষ্ঠ কিছু দুষ্ট লোক হিংসা, ষড়যন্ত্র করে পৃথিবী থেকে তাকে সরিয়ে দেয়। তার অসহায় সিম্বাকে প্রাণে বেঁচে সব সহ্য করতে হলো। ঠিক যেমন আমাদের দুই বোনকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হলো না। সিম্বা অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, ‘জানো ছোট্টমণিরা আমরা দু’বোন একে অপরকে পাশে রাখি। দু’জন দু’জনকে সাহায্য করি, খুব ভালোবাসি। ফ্রোজেনের ঠিক এনা-এলসার মতো, ট্রু লাভ। এনা-এলসার মা-বাবা-ভাইও একসঙ্গে পৃথিবী থেকে চলে যায়। ঠিক আমাদের দুই বোনের মতো। আজ এ পর্যন্ত। অনেক অনেক আদর, স্নেহ নিও। আজ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। তোমরাও আল্লাহর কাছে দোয়া করো আল্লাহ যেন ওনাকে বেহেশত নসিব করেন। তোমরা ভালো থাকো, তোমাদের জন্য ছোট্ট একটি সারপ্রাইজ আছে।’

এরপরই তার পাশে এসে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন তিনি বলেন, এনা আর এলসা হাসিনা-রেহানা, তোমাদের সামনে। তোমাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।

এরপর দুই বোন একসঙ্গে বলে ওঠেন, ‘শুভ জন্মদিন’।