নিজেকে ভিআইপি পরিচয়ে একাধিক মামলার আসামী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহা প্রতারক
- আপডেট টাইম : ০৪:৫০:১১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
- / ২৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বিশেষ প্রতিনিধি
নিজেকে সাংবাদিক নেতা সহ ভিআইপি/সিআইপি পরিচয় দিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুজ জলিলের পরিবার থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা সহ সারাদেশে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি সহ সব ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছেন একাধিক মামলা ও জিডির আসামী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক লিটন গাজী ও বাইট্যা নজরুল চক্র
অনুসন্ধানে জানা যায়, গডফাদার আকরাম হোসেন বাদলের সহযোগী বগুড়া জেলার, নন্দীগ্রাম উপজেলার, কাইঘরি গ্রামের পানের দোকানদার আব্দুর রাজ্জাক সোনার ছেলে ভুয়া ও চাঁদাবাজ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সারা দেশে সব ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন । সে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন । সে নিজেকে কখনো সাংবাদিক নেতা , কখনও মানবাধিকার সংস্থার বড় কর্মকর্তা, কখনো বড় মাপের রাজনীতিবিদ, কখনো নায়ক, কখনো গায়ক, কখনো মডেল, কখনো মন্ত্রী /এমপির পরিবারের লোক, কখনো পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের লোক পরিচয় দিয়ে সারা দেশে সব ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছেন গত কয়েক বছর যাবৎ । এদের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও নিজেদেরকে উচ্চ শিক্ষিত পরিচয় দিচ্ছেন।
ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক বাইট্যা নজরুলের অপকর্মের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। উল্লেখযোগ্য কিছু অপকর্ম নিম্নে তুলে ধরা হলো
ঘটনা ১:
গত ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুজ জলিল এর পরিবারের সদস্য ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর কার্যনির্বাহী সদস্য রিনা পারভীনের সাথে বড় ধরনের প্রতারনা করেছেন বাইট্যা নজরুল । বগুড়া জেলার সাবেক পাসপোর্ট প্রধান কর্মকর্তা খরশেদ আলম রিনা পারভীনের সাথে বড় ধরনের প্রতারনা করার ফলে রিনা পারভীন বাদি হয়ে বগুড়া জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন এবং বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ঐ সময় ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর বগুড়া জেলা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন চাঁদাবাজ সাংবাদিক বাইট্যা নজরুল তাই রিনা পারভীনের সমস্যা সমাধানের জন্য সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান বাইট্যা নজরুলকে দায়িত্ব দেন। মোঃ আতিকুর রহমান কে না জানিয়ে অফিসিয়াল খরচের কথা বলে ভুক্তভোগী রিনা পারভীনের থেকে নগদ ৩০০০০ টাকা চাঁদা গ্রহণ করেন বাইট্যা নজরুল। মাত্র ১ সপ্তাহ পরেই রিনা পারভীনের থেকে আবার ২০০০০ টাকা দাবি করেন বাইট্যা নজরুল । রিনা পারভীন টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে হুমকি দামকি দিতে থাকেন বাইট্যা নজরুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। একপর্যায়ে রিনা পারভীনের মামলার আসামী খোরশেদ আলম থেকে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে রিনা পারভীনের উপযুক্ত বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন বাইট্যা নজরুল চক্র। এই বিষয়টি মোঃ আতিকুর রহমান অবগত হলে বাইট্যা নজরুলের বিরুদ্ধে আইনগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি বাইট্যা নজরুল স্বীকার করেন এবং একাধিকবার ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ঘটনা ২:
গত ২০১৮ সালে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার স্বামী পরিত্যাক্তা এক অসহায় নারী হাফসা পারভীন থেকে ৪৭০০ টাকা নিয়েছেন কমিটি গঠন করার কথা বলে অথচ সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান এই বিষয়ে কিছুই জানতো না। অসহায় হাফসা পারভীন ঐ টাকাটা এনেছিল মাসিক করা সুদের উপর। যখন হাফসা পারভীন বুঝতে পারছেন বাইট্যা নজরুল বড় ধরনের প্রতারনা করেছেন তখন বিষয়টি সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান কে অবগত করেন। টাকা নেওয়ার বিষয়টি মোঃ আতিকুর রহমানের কাছে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন এবং ফেরত দেওয়ার কথা বলেন কিন্তু এখনও ঐ টাকা ফেরত দেননি।
ঘটনা ৩:
ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক লিটন গাজী ও নজরুল চক্রের অসংখ্য অপকর্মের ফলে গত বছর ৩০ই জুন ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার করার পর থেকে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান সহ সংস্থার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা প্রচার করে যাচ্ছেন ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। ইতোমধ্যে মোঃ আতিকুর রহমান বাইট্যা নজরুল চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছেন। এছাড়াও সারা দেশে অসংখ্য মামলা ও জিডির আসামী এই চক্রটি ।
ঘটনা ৪:
সে একাধিক বিবাহ করেছেন। তার খারাপ চরিত্রের কারণে একে একে সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এছাড়াও বিবাহর প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্য মেয়েদের ইজ্জত নষ্ট করেছেন বাইট্যা নজরুল।
ঘটনা ৫:
সরকারি ও বেসরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও এই চক্রটি আন্তর্জাতিক হ্যাকার চক্রের সদস্য তাই ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে মানুষকে ব্লাগ মেইল করেন । ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর অসংখ্য ফেইসবুক আইডি হ্যাক করেছেন। এছাড়াও অসংখ্য ফেইক আইডি দিয়ে অপকর্ম করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন পর্যন্ত।
ঘটনা ৫:
কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই মাত্র ৫০০/১০০০ টাকার বিনিময়ে বাইট্যা নজরুল পরিচালিত অনলাইন পত্রিকা তাজা খবরের আইডি কার্ড বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই প্রতারক চক্রটি। অশিক্ষিত মুর্খ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ সহ সব ধরনের খারাপ লোকজনের কাছে আইডি কার্ড বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও টাকার বিনিময়ে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য লিখে যাচ্ছেন ঐ পত্রিকায়। বাইট্যা নজরুলের সহযোগী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক লিটন গাজী মাত্র চতুর্থ শ্রেণী পাস।
ইতোমধ্যে এই চক্রটির বিরুদ্ধে মোঃ আতিকুর রহমান বাদি হয়ে একাধিক মামলা ও জিডি করেছে ।
১ম টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
মামলা নং ৫৬/২০২০, তারিখ:১০/২/২০২০, ইংরেজি,
২য় টি চাঁদাবাজির মামলা। মামলা নং ২১১/২০২০, তারিখ : ১১/৩/২০২০ ইংরেজি,
এছাড়াও মোঃ আতিকুর রহমান গত বছর ১৮ জুলাই দুপুরে ডাক অফিসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ প্রধান, র্যাবের মহাপরিচালক ও পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছি। সঠিক প্রতিকার না পাওয়ার ফলে চলতি বছরের ১৩ই মে অনলাইনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ প্রধান সহ ৩৭টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ধরনের প্রতিকার পাইনি ।
গত বছর মোঃ আতিকুর রহমান ঢাকা মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন । যাহার নং ৪৮২, তারিখ : ৬/৭/২০১৯ ইংরেজি। এছাড়াও এই অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানায় ১২ টি সাধারণ ডায়েরি করেছেন । সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ই জুলাই ঢাকা মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। যাহার নং ৮৩০, তারিখ : ১৩/৭/২০২০ ইংরেজি
এই অপরাধ চক্রটির বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা, জিডি ও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আইগত ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে এরা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। বর্তমানে মোঃ আতিকুর রহমান , তার পরিবার এবং সংস্থার প্রত্যেক সদস্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । তাছাড়া সংস্থার কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চালাতে পারছে না। এই অপরাধ চক্রের উপযুক্ত বিচারের দাবিতে চলতি বছরের ১৩ই মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার মানববন্ধন করেছেন। এছাড়াও গত সপ্তাহে যশোর জেলায় দুইদিন মানববন্ধন হয়েছে যাহা অসংখ্য অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুনের হুমকিদাতা বাইট্যা নজরুলের সহযোগী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক লিটন গাজীর ফাঁসি ও তার সহযোগীদের কঠিন শাস্তির দাবিতে চলতি মাসের ১৯ তারিখ ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর কুমিল্লা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে যাহা ইতোমধ্যে অনেক মিডিয়াতে হাইলাইট হয়েছে।
এই চক্রটির বাকি সদস্যরা হলেন, গডফাদার আকরাম হোসেন বাদল, লিটন গাজী, আবুল কালাম মাঝি, ইব্রাহিম খলিল, খলিলুর রহমান, মামুন, জনি, কাজি আলাউদ্দিন, শাহীনুর, শেখ তিতুমীর আকাশ,মাইনুদ্দীন, শেখ তিতুমীর আকাশ ।
আমাদের একাধিক অপরাধ অনুসন্ধান টিম সরেজমিনে দীর্ঘ অনুসন্ধান করে গডফাদার আকরাম হোসেন বাদলের নেতৃত্বে ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক লিটন গাজী ও নজরুল চক্রের সব ধরনের অপকর্মের সত্যতা পেয়েছি । অতি শীঘ্রই এদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অসংখ্য ভুক্তভোগী পরিবার ।