নৌকা-ঈগলের লড়াইয়ে বিপাকে লাঙ্গল
- আপডেট টাইম : ১০:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৪
- / ১২২ ৫০০০.০ বার পাঠক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে ১৩ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও মাঠে লড়াই হবে আলোচিত দুই প্রার্থীর ‘নৌকা-ঈগল’ প্রতীকের মধ্যে। ‘লাঙ্গল’ আছে বেকায়দায়, তবে অন্য প্রতীকের পোস্টার-লিফলেট মাঠপর্যায়ে কিছু দেখা গেলেও বাকিরা নেই মাঠে।
এ আসনে আলোচিত দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সেলিনা ইসলাম ‘ঈগল’ প্রতীকের মধ্যে মূল লড়াইটা হবে বলে ভোটারদের ধারণা। সাধারণ ভোটারদের আলোচনায় এ দুই প্রার্থীকেই ঘিরে।
এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠু তার নির্বাচনী এলাকায় নিজ দল জাতীয় পার্টি আছেন বড় বেকায়দায়। আংশিক প্রচারণা থেকেও জয়ের আশা করেন এই প্রার্থী।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় নেতা ফায়েজ উল্লাহ শিপনের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলামের পক্ষে ‘ঈগল’ প্রতীকে মাঠে থেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘নৌকা’ প্রতীকে ভোট দিয়ে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আবেদনে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছে নৌকার প্রার্থী। অপরদিকে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা ইসলাম শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জবরদখল মুক্ত বাসযোগ্য রায়পুর গড়তে ‘ঈগল’ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
সহিংসতা এবং ভয়ভীতি দূর করে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে ভোটার নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এবার প্রার্থীদের সামনে থাকছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ।
এ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করে আসছে বলেও ভোটারদের অভিমত।
এই আসনে ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা,ঈগলও নাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ছাড়াও অন্যান্য আরো ১০ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা হলেন-
তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী (সোনালী আঁশ প্রতীকের) আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (একতারা প্রতীকের) জহির হোসেন। ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (চেয়ার প্রতীকের) মোরশেদ আলম। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির (হাত ঘড়ি প্রতীকের) প্রার্থী ফরহাদ মিয়া। বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির ( ডাব প্রতীকের) মনসুর রহমান দাদনাশক গাজী। সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি প্রতীকের) ইমাম উদ্দিন। স্বতন্ত্র (তরমুজ প্রতীকের) চৌধুরী রুবিনা ইয়াসমিন লুবনা। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি প্রতীকের) শরীফুল ইসলাম। জাসদ (মশাল প্রতীকের) আমির হোসেন। স্বতন্ত্র (ট্রাক প্রতীকের) এ এফ জহির উদ্দিন আহমেদ।
প্রার্থীরা এলাকার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি মাধ্যমে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও সভা-সমাবেশ করছেন।