ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ সদর-উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী আলোচনা জনসভা সাত সকালেই কাঁথির দইসাই বাসস্ট্যান্ডের সামনে ,ভয়াবহ দুর্ঘটনা অন্ধত্ব প্রতিরোধে শেখ ফরিদুল ইসলাম এর সহযোগীতায় রামপালে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বাস্তব-সত্যঘঠনা, ও,তথ্যভিত্তিক রেফারেন্স উল্লেখিত-দেশাত্মবোধক বিদ্রোহী কবিতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন; মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন

আগে ফখরুলের জামিন শুনানির এতো তাড়া ছিল, এখন নেই কেন: হাইকোর্ট

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে।

ফখরুলের আইনজীবীদের অনুরোধে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।

এ সময় আদালত আইনজীবীকে বলেন, আগে জামিন শুনানির এতো তাড়া ছিল, এখন নেই কেন? পরে আদালত শুনানির জন্য নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর মামলাটি শুনানি কার্যতালিকার ১ নম্বরে ছিল। ওইদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ১৮ ডিসেম্বর শুনানির আবেদন করলে আদালত বলেন, বন্ধের পর শুনানি হবে। এখন কোনোভাবে সম্ভব না। এরপরে আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

জানা গেছে, ১ থেকে ৭ জানুয়ারি বিএনপির আদালত বর্জন কর্মসূচি চলমান থাকায় বিএনপির আইনজীবীরা জামিন শুনানিতে অংশ নেননি।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

সেদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এসময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন।অন্যদিকে, রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।

গত ৭ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ৩ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এই আদেশ দেন।

গত ২ নভেম্বর একই আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহ সদর-উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী আলোচনা জনসভা

আগে ফখরুলের জামিন শুনানির এতো তাড়া ছিল, এখন নেই কেন: হাইকোর্ট

আপডেট টাইম : ০৭:৪৪:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৪

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে।

ফখরুলের আইনজীবীদের অনুরোধে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।

এ সময় আদালত আইনজীবীকে বলেন, আগে জামিন শুনানির এতো তাড়া ছিল, এখন নেই কেন? পরে আদালত শুনানির জন্য নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর মামলাটি শুনানি কার্যতালিকার ১ নম্বরে ছিল। ওইদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ১৮ ডিসেম্বর শুনানির আবেদন করলে আদালত বলেন, বন্ধের পর শুনানি হবে। এখন কোনোভাবে সম্ভব না। এরপরে আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

জানা গেছে, ১ থেকে ৭ জানুয়ারি বিএনপির আদালত বর্জন কর্মসূচি চলমান থাকায় বিএনপির আইনজীবীরা জামিন শুনানিতে অংশ নেননি।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

সেদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এসময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন।অন্যদিকে, রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।

গত ৭ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ৩ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এই আদেশ দেন।

গত ২ নভেম্বর একই আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ