ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা” বাঁচতে চায় ঠাকুরগাঁওয়ের শামীম জেনেভা ক্যাম্পের শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ড্রিম এলাইভ ফাউন্ডেশন এবং এনএলজে হাই স্কুল পরিচালনা কমিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত সখিপুর উপজেলা দলিল লেখক ও স্ট্যাম ভেন্ডার কল্যাণ সমবায় সমিতি লি:এর সদস্যদের সাথে মত বিনিময় পরমানু বোমা হামলা থেকে বাচঁতে আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া

সিপিডি বলেন একসঙ্গে এতো চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি আগে কখনো দেখেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৮:৪২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৫০ ৫০০০.০ বার পাঠক

সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আগেও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। বাংলাদেশ সেগুলো ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে। কিন্তু বর্তমানে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি একসঙ্গে এত চ্যালেঞ্জ আগে কখনো দেখেনি।

শনিবার ধানমণ্ডিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর যে চেষ্টা করা হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমাদের অর্থনীতিতে বেশ চাপ রয়েছে।

যেসব ক্ষেত্রে অর্থনীতির চাপ ঘনীভূত হচ্ছে সেগুলো হলো- রাজস্ব আহরণের ধীর গতি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উর্ধ্বগতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া।

‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪ : চলমান সংকট ও করণীয়’ শিরোনামের ব্রিফিংয়ে সিপিডি বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্ন-আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খেয়ে ফেলছে। বাজার কারসাজি এবং সিন্ডিকেট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। অর্থনীতি এখন বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে এবং সত্যিকার অর্থে একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একমাত্র আশা, নীতি নির্ধারকরা এটি বুঝবেন এবং স্বীকার করবেন যে, গতানুগতিক পন্থায় কাজ হবে না। কেবল নি:স্বার্থ শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংস্কারের কঠিন পথে যেতে পারে এবং অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে পারে।

সিপিডির মতে, ব্যাংক ঋণ খেলাপি এবং যারা অবৈধ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

সিপিডি বলছে, ঋণের ফাঁদ তৈরি হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ যে আয় হচ্ছে, তা সরকার পরিচালনায় ব্যয় হচ্ছে। আর ঋণের টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার কারণে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে মানুষের কষ্ট বাড়ছে।

সিপিডি জানায়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি আরও উসকে দিচ্ছে সিন্ডিকেট।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিপিডি বলেন একসঙ্গে এতো চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি আগে কখনো দেখেনি

আপডেট টাইম : ০৯:০৮:৪২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আগেও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। বাংলাদেশ সেগুলো ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে। কিন্তু বর্তমানে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি একসঙ্গে এত চ্যালেঞ্জ আগে কখনো দেখেনি।

শনিবার ধানমণ্ডিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর যে চেষ্টা করা হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমাদের অর্থনীতিতে বেশ চাপ রয়েছে।

যেসব ক্ষেত্রে অর্থনীতির চাপ ঘনীভূত হচ্ছে সেগুলো হলো- রাজস্ব আহরণের ধীর গতি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উর্ধ্বগতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া।

‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪ : চলমান সংকট ও করণীয়’ শিরোনামের ব্রিফিংয়ে সিপিডি বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্ন-আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খেয়ে ফেলছে। বাজার কারসাজি এবং সিন্ডিকেট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। অর্থনীতি এখন বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে এবং সত্যিকার অর্থে একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একমাত্র আশা, নীতি নির্ধারকরা এটি বুঝবেন এবং স্বীকার করবেন যে, গতানুগতিক পন্থায় কাজ হবে না। কেবল নি:স্বার্থ শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংস্কারের কঠিন পথে যেতে পারে এবং অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে পারে।

সিপিডির মতে, ব্যাংক ঋণ খেলাপি এবং যারা অবৈধ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

সিপিডি বলছে, ঋণের ফাঁদ তৈরি হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ যে আয় হচ্ছে, তা সরকার পরিচালনায় ব্যয় হচ্ছে। আর ঋণের টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার কারণে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে মানুষের কষ্ট বাড়ছে।

সিপিডি জানায়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি আরও উসকে দিচ্ছে সিন্ডিকেট।