ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে রানীশংকৈলে জিপিএ—৫ পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের বাধা অর্থিক সংকট কালিয়াকৈরে এক নারী মাদক ব্যবসায়ী হেরোইনসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হারানো টাকা মালিকের হাতে ফেরত দিয়ে দিষ্টান্ত স্হাপন করলো পুলিশ ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কতৃক মসজিদ পরিস্কার অভিযান ফুলবাড়ীতে ভুট্টা বোঝাই ট্রলির চালক নিজ গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত বিবাহিত অছাত্র কিশোরগ্যাং এর লিডার রুবেল হোসেন জয়কে দিয়ে এবার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি করা হলো কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ডুবে যাওয়া নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

৪ ঠা ডিসেম্বর ফুলবাড়ি হানাদার মুক্ত দিবস

আজ ৪ ডিসেম্বর, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে সুর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুকিনিয়ে লড়াই করে ফুলবাড়ী থেকে দখলদার পাকবাহিনীকে তাড়িয়ে শত্রু মুক্ত করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন।

ততকালীন সময়ের স্থানীয় বীরযোদ্ধাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকেই যখন পাকিস্তাানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন চলছিল তখন শান্তিশৃংখলা বজায় রেখে বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে যেন কোনো প্রকার সংঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফুলবাড়ীতে গঠিত হয় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের কমিটি। ২৪ মার্চ পর্যুন্ত ফুলবাড়ীতে পূর্ণ শান্তি বিরাজ করে আসছিল কিন্তু ২৫ মার্চের গভীর রাতে সারা দেশে দখলদার পাাকবাহিনীর দ্বারা নিরীহ বাঙালিদের হত্যাযজ্ঞের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে,২৬ মার্চ এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিসদ কমিটির উদ্যোগে ফুলবাড়ী শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় ।
স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালিন সময়ের এক পর্যায়ে এপ্রিলের ২ তারিখে দখলদার পাকবাহিনী আক্রমণ করে ফুলবাড়ী পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এবং তারা তখন থেকে শুরু করে এখানকার বাঙালিদের ওপর নির্মম অত্যাচার। হত্যা, লুটতারাজ ও অগ্নিসংযোগসহ বর্বর নির্যাতন চালায় তারা।
মাতৃভূমিকে দখলদারের কবল হতে মুক্ত করতে তৎকালিন ফুলবাড়ীর মুক্তিকামী যুবকরা যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। ভারতের মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানার বিভিন্ন সীমান্ত পথে ফুলবাড়ীতে প্রবেশ করে দখলদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় মুক্তি সেনারা। মিত্রবাহিনীর হাতে নিশ্চিত পরাজয় বুঝে পাকসেনারা ফুলবাড়ী শহরে মিত্রবাহিনীর আগমন ঠেকাতে সেই সময় ৪ ডিসেম্বর বিকেলে ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা নদীর ওপর নির্মিত লোহার সেতুর পূর্বাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। সেতুটি কালের সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে ফুলবাড়ী পৌর শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যুমনা নদীর উপর।
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর এই দিনে বাংলার মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে তুমুল সম্মুখ লড়াইয়ে খানসেনাদেরকে হটিয়ে হানাদারমুক্ত করে ফুলবাড়ী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেয় মুক্তি সেনারা। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছেন।
সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. এছার উদ্দিন জানান, ৪ঠা ডিসেম্বর এই দিনটি আমাদের কাছে স্বারণীয় একটি দিন, তাই প্রতিবছর এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করা হয়,তবে এবছর বিশেষ কারণে দিবসটি পালনে তেমন কোন আয়োজনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেউ ।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু

৪ ঠা ডিসেম্বর ফুলবাড়ি হানাদার মুক্ত দিবস

আপডেট টাইম : ১০:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আজ ৪ ডিসেম্বর, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে সুর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুকিনিয়ে লড়াই করে ফুলবাড়ী থেকে দখলদার পাকবাহিনীকে তাড়িয়ে শত্রু মুক্ত করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন।

ততকালীন সময়ের স্থানীয় বীরযোদ্ধাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকেই যখন পাকিস্তাানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন চলছিল তখন শান্তিশৃংখলা বজায় রেখে বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে যেন কোনো প্রকার সংঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফুলবাড়ীতে গঠিত হয় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের কমিটি। ২৪ মার্চ পর্যুন্ত ফুলবাড়ীতে পূর্ণ শান্তি বিরাজ করে আসছিল কিন্তু ২৫ মার্চের গভীর রাতে সারা দেশে দখলদার পাাকবাহিনীর দ্বারা নিরীহ বাঙালিদের হত্যাযজ্ঞের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে,২৬ মার্চ এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিসদ কমিটির উদ্যোগে ফুলবাড়ী শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় ।
স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালিন সময়ের এক পর্যায়ে এপ্রিলের ২ তারিখে দখলদার পাকবাহিনী আক্রমণ করে ফুলবাড়ী পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এবং তারা তখন থেকে শুরু করে এখানকার বাঙালিদের ওপর নির্মম অত্যাচার। হত্যা, লুটতারাজ ও অগ্নিসংযোগসহ বর্বর নির্যাতন চালায় তারা।
মাতৃভূমিকে দখলদারের কবল হতে মুক্ত করতে তৎকালিন ফুলবাড়ীর মুক্তিকামী যুবকরা যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। ভারতের মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানার বিভিন্ন সীমান্ত পথে ফুলবাড়ীতে প্রবেশ করে দখলদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় মুক্তি সেনারা। মিত্রবাহিনীর হাতে নিশ্চিত পরাজয় বুঝে পাকসেনারা ফুলবাড়ী শহরে মিত্রবাহিনীর আগমন ঠেকাতে সেই সময় ৪ ডিসেম্বর বিকেলে ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা নদীর ওপর নির্মিত লোহার সেতুর পূর্বাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। সেতুটি কালের সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে ফুলবাড়ী পৌর শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যুমনা নদীর উপর।
১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর এই দিনে বাংলার মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে তুমুল সম্মুখ লড়াইয়ে খানসেনাদেরকে হটিয়ে হানাদারমুক্ত করে ফুলবাড়ী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেয় মুক্তি সেনারা। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছেন।
সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. এছার উদ্দিন জানান, ৪ঠা ডিসেম্বর এই দিনটি আমাদের কাছে স্বারণীয় একটি দিন, তাই প্রতিবছর এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করা হয়,তবে এবছর বিশেষ কারণে দিবসটি পালনে তেমন কোন আয়োজনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেউ ।