সুনামগঞ্জ মহাসড়কের চুরির সন্দেহে দুই ব্যক্তিসহ রড ভর্তি টলি জনতার হাতে আটক। এই নিয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ধূমজাল
- আপডেট টাইম : ০৭:২০:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
সুনামগঞ্জ (ভায়া শাল্লা, পিরোজপুর,জলসুখা, বানিয়াচং) মহাসড়কের চুরির রড সহ দুইজন আটক হয় জনতার হাতে। এই ঘটনাটি ঘটে ২৯শে অক্টোবর রোজ রবিবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নে মাধবপাশা গ্রামের সন্দেহ জন কিছু সংখ্যক জনতার হাতে টলি ভর্তি রড সহ দুইজন লোক আটক হয়। খবর পেয়ে সেখানে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ আহমেদ খেলু মিয়া ঘটনা স্থলে যায় এবং মালামাল সহ লোকজনকে ইউনিয়ন পরিষদে আটক রাখে আজমিরীগঞ্জ থানায় খবর দিলেে আজমিরীগঞ্জ থানার এস আই ও জলসুখার ভিট অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম হিমন আসেন এবং সুনামগঞ্জ মহাসড়কের চলমান কাজের সাব ইঞ্জিনিয়ার শাকিল এসে রড দেখে
নিশ্চিত করে বলতে পারে নাই।স্তানীয়ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় জলসুখা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আলাউদ্দিন মিয়ার মেয়ে রুসমিনার বিয়ে হয়েছিল বিরাট উজানপাড়ার নুর ইসলাম মেম্বারের ছেলে মো: বাবলু মিয়া সঙ্গে বিয়ে হয়। নুর ইসলাম মিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম ও ওয়াজিত মিয়া আলাউদ্দিন মেম্বারের বাড়ি থেকে টলি করে রড ও বাবলু মিয়ার বউ রুসমিনা সহ লাকিস ও সেলাই মেসিন সহ দুপোর আড়াই ঘটিকার সময় জনতার হাতে মাধবপাশা গ্রামে আটক হয়। এই নিয়ে জলসুখা ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট হয়। সারাদিন ধুম জালের পর রাত প্রায় ৯ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ মহাসড়কের সাব ইঞ্জিনিয়ার শাকিল, ইঞ্জিনিয়ার বুরহান উদ্দিন সহ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট মোঃ ফেরদৌস মিয়া এবং এলাকার গন্যমান্য মুরব্বিদের নিয়ে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ আহমেদ খেলু মিয়া সহ এ বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন। ইঞ্জিনিয়ার বুরহান উদ্দিন বলেনএই কোম্পানির রড আমরা ব্যবহার করেছি আমার সাইডে আজ থেকে সাত আট মাস আগে কাজ হয়েছিল চার পাচ মাস ধরে বন্ধ আছে।
এ রড আমার সাইডের নয় । হতে পারে খালনি নদীর ব্রিজের সাইটের । ইউ পি চেয়ারম্যান কালনী নদীর সাইডের ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সেখানের রট নয় বলেন। সব কিছু যাচাই বাচাই করে রাত প্রায় ১০.৩০মিনিটের সময় জব্দ কিত রড ও দুই ব্যাক্তিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিনের জিম্মায় দেওয়া হয়। কেউ যদি সঠিক প্রমান দিতে পারে রড নিতে পরবে এবং বাকি ব্যাবহারের মালামাল নুর ইসলাম মেম্বারের কাছে ফিরত দেওয়া হয়। এই বিষয় নিয়ে আলাউদ্দিন মেম্বারের সঙ্গে ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান এই রড ২-৩ বছর আগে আমার ঘর তৈরি করার পর অতিরিক্ত রয়ে গিয়েছিল। আমার বিয়াই বাড়িতে ঘর তৈরি করবে তাই আমি দিয়ে দিয়েছি পরে তাহারা রড কিংবা টাকা দিয়ে দিবে। এই রড দু-তিন বছর আগে কিনেছি আমার কাছে রড কেনার কোন মেমো নেই।