বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেখানকার এক মেম্বারকে রামদা হাতে তেড়ে গেছেন
- আপডেট টাইম : ০২:২১:০৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৬৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেখানকার এক মেম্বারকে রামদা হাতে তেড়ে গেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় ইউনিয়নের স্টিমারঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়- ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ী বড় একটি রামদা হাতে নিয়ে মেম্বার মো. বাচ্চু দেওয়ানের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় বাচ্চুর ছেলেরা চেয়ারম্যানকে ধারালো অস্ত্রসহ জাপটে ধরেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান মোস্তফা সাংসদ পঙ্কজ নাথের অনুসারী হওয়ায় প্রায়ই ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে থাকেন।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, দড়িরচর খাজুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ইউপি সদস্যরা অনাস্থা দিয়েছেন। ওই ঘটনার জেরে চেয়ারম্যান মোস্তফার সঙ্গে মেম্বার বাচ্চুর তর্কাতর্কি হয়। পরে চেয়ারম্যান একটি বিশাল রামদা নিয়ে মেম্বারের দিকে তেড়ে যান। এ সময় দু-তিনজন তাঁকে ধরতে গেলে চেয়ারম্যান একটু ব্যথা পান।
এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে ওসি সফিক বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নেতারা জনগণের প্রতিনিধি, তাই এ বিষয়ে মন্তব্যও করা যাবে না। কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে মো. বাচ্চু দেওয়ান বলেন, তিনি আজ সকাল ৭ টার দিকে বাড়ির পাশের স্টিমারঘাট বাজারে চা খেতে যান। এ সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন চেয়ারম্যান মোস্তফা। তিনি তাকে দেখেই গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে চেয়ারম্যান দৌড়ে গিয়ে বাড়ি থেকে একটি বড় রামদা নিয়ে বাজারের মাঠে তাকে কোপাতে তেড়ে আসেন। রামদাসহ তার ছেলে কলেজছাত্র তুহিন ও আকবর চেয়ারম্যানকে জাপটে ধরলে রামদা ফেলে সটকে পড়েন তিনি।
মেম্বার বাচ্চু আরও বলেন, তার বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের বাড়ির দূরত্ব দেড় শ ফুট। তিনি এই এলাকার চারবারের জনপ্রতিনিধি। এবার মোস্তফা চেয়ারম্যান হয়ে এমপির ইশারায় তার সরকারি বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্টিমারঘাট বাজারের চা-দোকানি তোফায়েল রাঢ়ী বলেন, তিনি দেখেছেন মেম্বারকে দেখে গালাগালি করছেন চেয়ারম্যান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের হাতে রামদা ছিল।
আরেক চা-দোকানি মহিউদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান রামদা নিয়ে বাজারের মাঠে নামেন। তিনি বাচ্চুর দিকে তেড়ে গেলে তার ছেলেরা চেয়ারম্যানকে ধরে ফেলেন। তখন চেয়ারম্যান চিৎকার করতে থাকেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ী বলেন, সকালে বাজারের মাঠে বসে তাকে মেম্বার বাচ্চু দেওয়ান মারধর করেছেন। তিনি থানায় অভিযোগ দেবেন।
রামদা হাতে তেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই রামদা তার নয়, মেম্বার বাচ্চুর। তিনি অবৈধ জাল পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে হামলার শিকার হয়েছেন।