ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করতেই মেধাপাচার: র সালাহউদ্দিন আহমেদ ওআইসি সম্মেলনে ইসলামাবাদের বক্তব্য ইসরাইলি আগ্রাসনে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন পাকিস্তানের গাজীপুরের আদালতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ইসরাইলজুড়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১১ শ্রীপুর ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি, পথসভায় ফ্যাসিস্টের মত জানালেন ‘ শুভেচ্ছা’ নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব পেলো মোংলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি বাংলাদেশকে নিয়ে তুর্কি সাংবাদিকের প্রবন্ধ, যা বলল অন্তর্বর্তী সরকার হল ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মারামারি’ শিখতে এসে তিনি এখন ‘কারাতে মাস্টার’ কারাতে কম দেয়নি হোসেন আলীকে—বাঁচতে শেখার পাশাপাশি

কুয়াকাটায় খাবারে অতিরিক্ত বিল, ৯৯৯-এ কল পেয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা

এ,জেড,এম উজ্জ্বল; পটুয়াখালী জেলা অফিস থেকে।
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩০১ ১৫০.০০০ বার পাঠক

কুয়াকাটায় একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের কাছ থেকে মেন্যুতে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি মূল্য দাবি করা হয়। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হলে এক শিক্ষার্থী কল করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয় কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ৩’টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের একদল শিক্ষার্থী পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। একটি রেস্তরাঁয় তাঁরা দুপুরের খাবার খান। বিল দিতে গিয়ে দেখেন, যে মেন্যু দেখে তাঁরা খাবার অর্ডার করেছিলেন, এর থেকে বেশি মূল্য দেখিয়ে বিল করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা মেন্যুতে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি টাকা দেবেন না বলে জানান। অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে হোটেল মালিক মেন্যুতে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি টাকা ছাড়া বিল নিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে সেখানে মৃদু হট্টগোল তৈরি হয়। এমন তথ্য জানিয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে এক শিক্ষার্থী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ দেন।

কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল আনিসুর রহমান। কনস্টেবল আনিস তাৎক্ষণিকভাবে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশে বিষয়টি অবহিত করেন। ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই সাইফুল টুরিস্ট পুলিশ ও কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে খোঁজখবর নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে হোটেল মালিক খাদ্য তালিকায় উল্লেখিত দামের সমপরিমাণ টাকা নিতে রাজি হন এবং পুরো ঘটনার জন্য ক্ষমা চান।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি না হওয়ায় হোটেল মালিকের কাছ থেকে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত বিল না নেওয়ার
বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ দলের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সায়াতুল ইসলাম “সময়ের কন্ঠ”কে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুয়াকাটায় খাবারে অতিরিক্ত বিল, ৯৯৯-এ কল পেয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা

আপডেট টাইম : ০৫:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

কুয়াকাটায় একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের কাছ থেকে মেন্যুতে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি মূল্য দাবি করা হয়। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হলে এক শিক্ষার্থী কল করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয় কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ৩’টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের একদল শিক্ষার্থী পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। একটি রেস্তরাঁয় তাঁরা দুপুরের খাবার খান। বিল দিতে গিয়ে দেখেন, যে মেন্যু দেখে তাঁরা খাবার অর্ডার করেছিলেন, এর থেকে বেশি মূল্য দেখিয়ে বিল করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা মেন্যুতে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি টাকা দেবেন না বলে জানান। অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে হোটেল মালিক মেন্যুতে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি টাকা ছাড়া বিল নিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে সেখানে মৃদু হট্টগোল তৈরি হয়। এমন তথ্য জানিয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে এক শিক্ষার্থী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ দেন।

কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল আনিসুর রহমান। কনস্টেবল আনিস তাৎক্ষণিকভাবে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশে বিষয়টি অবহিত করেন। ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই সাইফুল টুরিস্ট পুলিশ ও কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে খোঁজখবর নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে হোটেল মালিক খাদ্য তালিকায় উল্লেখিত দামের সমপরিমাণ টাকা নিতে রাজি হন এবং পুরো ঘটনার জন্য ক্ষমা চান।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি না হওয়ায় হোটেল মালিকের কাছ থেকে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত বিল না নেওয়ার
বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ দলের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সায়াতুল ইসলাম “সময়ের কন্ঠ”কে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।