পলাশে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমিতি
- আপডেট টাইম : ০৭:৫৮:৩০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশালে শতরুপা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছে হায় হায় কোম্পানি। জানা যায়, ২০২০ সালে ঘোড়াশাল সাদ্দাম বাজারে টিটু দাস ও রিপন দে বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সমিতি গঠন করে। টিটু দাস পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামের নির্মল দাসের ছেলে। অপরদিকে রিপন দে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাউয়াদি গ্রামের সুশীল দে’র ছেলে। সম্পর্কে তারা মামাত ফুফাতো ভাই। সাদ্দাম বাজারের একটি একচালা টিনের ঘরকে অফিস বানিয়ে সমিতির কার্যক্রম শুরু করে প্রতারক চক্রটি। প্রথম অবস্থায় বাজারের ব্যবসায়ীদের গ্রাহক বানিয়ে দৈনিক ও মাসিক বিনিয়োগ নেয়। পরে এক বছরে ঋণ সুবিধা অধিক মুনাফার প্রলোভন দিয়ে বাজারের প্রায় একশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় তুলে নেয়। অল্প সময়ে অধিক মুনাফা ও সহজ ঋণের আশায় সঞ্চিত টাকা খুইয়ে ব্যবসায়ীরা আজ সর্বস্বান্ত।
সরেজমিন সমিতির একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, ডাংগা ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামের টিটু দাস ও রিপন দে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পাইকসা গ্রামের দেবজিত মাস্টারের সঙ্গে মিলে ২০১৭ সালে ঘোড়াশাল স্টেশন রোডের ব্যবসায়ীদের নিয়ে শীতলক্ষ্যা নামে একটি সমবায় সমিতি গঠন করে। পরে দেবজিত মাস্টার গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ভারতে পালিয়ে যায়। বছরখানেক সমিতির কার্যক্রম বন্ধ থাকার
শতরুপা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি লিমিটেড নামে সমিতি গঠন করে। সমিতির কোনো নিবন্ধন ছিল না। অফিসে নেই। কোনো সাইন বোর্ড। ছাপানো বই ও অভাবনীয় লাভের আশ্বাস আর সাধারণ ব্যবসায়ীদের সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে গড়ে তোলে সমিতি। তারপর হঠাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রাহকদের সঞ্চিত সমুদয় টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দেয় টিটু দাস ও রিপন দে। সঞ্চিত টাকা উদ্ধারে আমরা টিটু দাসকে আটক করলে স্থানীয় নেতাদের সহায়তায় পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মাংস বিক্রেতা কাউছার জানান, সমিতিতে আমার জমানো টাকার পরিমাণ প্রায় ৭০ হাজার। আমরা ছোটখাট ব্যবসা করে খাই। সহজ শর্তে ঋণ দিত আর বছর শেষে ভালো লাভ পাব এই আশায় সমিতি করি। সমিতিতে মুদি ব্যবসায়ী নির্মল দেবের ৭২ হাজার, দিলীপ চন্দ্র শীলের ৫২ হাজার, সারোয়ার হোসেনের ৮০ হাজার, সবজি বিক্রেতা কালামের ৩৪ হাজার, সবুজের ৬০ হাজার, মোস্তফার ৯০ হাজার, ফল বিক্রেতা তৌহিদের ৬০ হাজার, ফল বিক্রেতা বাবুর ৩১ হাজার, আলমগীরের ৭৭ হাজার, ইউসুফ মিয়ার ৩৩ হাজার, তালা মিস্ত্রি আক্তারের ৩০ হাজার টাকাসহ আরও এমন কয়েক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্রটি।
এ বিষয়ে সমিতির মালিক টিটু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি ১৩ মাস সমিতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি মালিকপক্ষের কেউ না। আমি এখানে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলাম। সরাজ কুমার ধর ও রিপন দে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত। রিপন দের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।