ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় ফুলবাড়ী সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটি নিমার্ণের ১৩ বছরে জরাজীর্ণ
- আপডেট টাইম : ১২:০৩:০৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক
ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটি ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় নিমার্ণের ১৩ বছরে জরাজীর্ণ। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটি ছিল ২ শত বছরের পুরাতন ভবন। সেই ভবনটিতে স্বাধীনতার পর থেকে সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে অফিস চলছিল। কিন্তু অফিস ভবনের ছাদ দিয়ে অনাবরত পানি পড়ায় সেখানে অফিস করা সম্ভব ছিলনা। অফিসে রক্ষিত রেকর্ড রুমেও পানি পড়ত। সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থ দেখে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের নিজেস্ব রাজস্ব ফান্ড থেকে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে টেন্ডার করলে ঠিকাদারের মাধ্যমে ২০০৯ ইং সালে কাজটি শুরু করেন। কাজটির শুরু থেকে ভবন নির্মাণে অনিয়ম দূনীতি হয়েছে। সিডিউল মোতাবেক কাজটির ঠিকাদার ভবনটির কাজ ঠিকমত না করায় বর্তমান ভবনটির ছাদ খুলে পড়ছে, ওয়ালের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। জানালা দরজা নষ্ট হয়ে গেছে। কর্মকর্তা কর্মচারীরা জরাজীর্ণ ভবনে বসে অফিস করছে। সেখানে ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র রাখা সম্ভাব হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে সরকারি টাকা পেলে ভবনটি সংস্কার করছেন তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। এদিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা তহশিল অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখার রেকর্ডরুমটিও শ্যাতশ্যাতে অবস্থায় রয়েছে। এখানে নতুন কোন ভবন নির্মাণ করে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখা না হলে ভবিষতে রেকর্ড রুমে রক্ষিত কাগজগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ বছরের নির্মাণকৃত একটি রুমে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসার বসে তার অফিসিয়াল কাজকর্ম করছেন। সেই ঘরে ৫ জন লোক ঢুকে কাজ কর্ম করতে পারেনা। ৪টি রুমের অবস্থা অত্যান্ত করুন। অফিস করার মত ঘর নয়। এই ভবনটি ১০ জুলাই ২০১০ ইং সালে তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি উদ্বোধন করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের বেহাল অবস্থা। সেখানে গাদাগাদি করে অফিস করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এদিকে জরাজির্ন ভবনের উপরে সহকারী কমিশনার ভূমির দায়িত্বে থাকা তৎকালীন শামীমা আক্তার জাহান প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে রেকড রুম নির্মাণ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারে নি। এই জরাজির্ন ভবনে ব্যয় করা সরকারের অপচয়। সহকারী কমিশনার ভূমি, কর্মকর্তা কর্মচারীরা ভাঙ্গা ঘরে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর আরিফ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখানে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা আমার জানা নেই। পূর্বের দায়িত্বরত কর্মকর্তা তা বলতে পারবেন।
কোটি টাকা ব্যায়ে ডাকবাংলোর নতুন ভবন নির্মাণ হলেও এখনও হয়নি রাস্তা॥
মোঃ রবিউল ইসলাম, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোটি টাকা ব্যায়ে ডাকবাংলোর নাতুন ভবন নির্মাণ করা হলেও ৯ বছরেও নির্মাণ হয়নি রাস্তা। জেলা পরিষদের ডাকবাংলো থাকলেও যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই। ১৯৭৯ সালে ফুলবাড়ীতে ডাকবাংলোটি স্থাপন হলেও গত দুই যুগেও ডাকবাংলোতে যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই। দিনাজপুর জেলা পরিষদ থেকে গত ৯ বছর আগে নতুন ভবন ও গেট নির্মাণ হলেও সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা কাজ কর্মে সেখানে রাত্রী যাপন করতে আসলে রাস্তা না থাকায় সেখানে রাত্রী যাপন করতে পারেনা। সরকারি কলেজের পশ্চিম দিকের রাস্তাটির সঙ্গে থাকা গেটটি প্রায় সময় বন্ধ থাকে। ফলে সেখানে কেউ যাতায়াত করতে পারে না। ডাকবাংলোর পশ্চিম দিকের নির্মাণকৃত নতুন গেটটি এখন প্রধান গেট কিন্তু সামনে পুকুর থাকায় রাস্তাটি এখন পর্যন্ত নির্মাণ করার কোন উদ্দ্যোগ নেই দিনাজপুর জেলা পরিষদের। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একমাত্র দেখভাল করছেন নাইটগার্ড। বর্তমান সেখান থেকে জেলা পরিষদের কোন আয় আসছে না। পূর্বদিকে পুকুরের ধার সংলগ্ন রাস্তাটি নির্মান করা অতিজরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমান রাস্তাটি কবে নির্মাণ হবে এ নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। সরকার এখান থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে।
জেলা পরিষদের ফুলবাড়ী ডাকবাংলোটির রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে সাবেক প্রাথমিক গণ শিক্ষা মন্ত্রী ও বর্তমান প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এর সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের কে জানান, জেলা পরিষদকে বলা হয়েছে তারা টেন্ডার এর মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মান করবেন। বলার পরেও অদ্যবদি আজ পর্যন্ত রাস্তান নির্মাণের কোন উদ্দোগ্য নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, মন্ত্রনালয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে ফাইলটি অনুমোদন হয়ে এলে টেন্ডার আহব্বান করা হবে। বর্তমান স্থানীয় বিভিন্ন মহল, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক জরুরী ভিত্তিতে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে যাওয়ার রাস্তাটি নির্মানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের দৃষ্টি নেই
ফুলবাড়ীর পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে জরাজীর্ণ হলেও থামছে না ভারি যানচলাচল॥
মোঃ রবিউল ইসলাম, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর উপর নির্মাণকৃত লোহার পুরাতন ব্রীজটি সংস্কারের আভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ভেঙ্গে জরাজীর্ণ হলেও থামছে না ভারি যান চলাচল। দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্র্তৃপক্ষ ব্রীজটি সংস্কারের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে ব্রীজটি দিন দিন ধ্বংশের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
১৯৫২ইং সালে তৎকালীণ পাকিস্তান সরকার যোগাযোগের সুবিধার্থে যমুনা নদীর উপর তিন পাটে এই লোহার ব্রীজটি নির্মাণ করেন। ১৯৭১ইং সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক সেনারা ডিমাইন্ড দিয়ে ব্রীজটির একখন্ড ধ্বংশ করে দেয়। স্বাধীনতার পর যোগযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষে পূর্বদিকে একখন্ড ঢালায়ের ব্রীজ নির্মাণ করেন।
বর্তমান ব্রীজটি দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করছে। তবে ব্রীজের উত্তর ও দক্ষিণের অংশে জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য রেলিং সহ ফুটপাত রয়েছে। বর্তমান জনসাধারণ যাতায়াতের কারণে অনেক অংশে ক্ষয় হয়ে ভেঙ্গে পড়ছে। স্থানীয় জনগন সেই ভাঙ্গা জায়গাগুলি স্লাপ দিয়ে তার উপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। ব্রীজটি সংস্কার করলে আরও ১০০ বছর চলাচলের উপযোগী হবে। প্রতিদিন এই ব্রীজ দিয়ে শতশত যানবাহন চলাচল করছে। এর মধ্যে বালু ও ইট বোঝাই ট্রাক্টরগুলির চলাচল খুব বেশি হওয়ায় দিন দিন ব্রীজটিতে চলাচলের বুঝি বেড়েই চলছে। ঝুকি উপেক্ষা করেই দেদারছে চলছে এসব ভারি যানবাহনগুলো।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা কর্মকর্তা মীর মোঃ আলকামা তমাল কে অবগত করলে তিনি জানান, ভারি যান চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।
অতিজরুরী দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ ব্রীজটি সংস্কার করলে জনসাধারণ উপকৃত হবে।
ফুলবাড়ীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসটির বেহাল অবস্থা, দেখার কেউ নেই॥
মোঃ রবিউল ইসলাম, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর সুজাপুরে স্থাপিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসটির বেহাল অবস্থা, দেখার কেউ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই এলাকার উন্নয়ন কল্পে একযুগ আগে দিনাজপুর ফুলবাড়ী মহাসড়ক সংলগ্ন উত্তর সুজাপুর এলাকায় প্রায় এক একর জমি ক্রয় করে সেখানে আবাসিক ভবন, ওয়ালের্স ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন। এক সময় এখানে জনবল ছিল। প্রায় ৫ বছর আগে জনবল থাকলেও এখন আর এখানে কেউ থাকে না। যার কারণে ভবনগুলির জানালা দরজা ও অন্যান্য আসবাপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। এখানে রয়েছে অনেক মূল্যাবান বৃক্ষ। যাহার মূল্য প্রায় ১০লক্ষা টাকার অধিক। ফুলবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসটি সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যতে ইটও থাকবে না। এ ব্যাপারে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনসাধারণ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আসুহস্তক্ষেপ কামনা করেন।