ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গুম ফেরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল’র বাক স্বাধীনতা হরণ লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চামড়া শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সারাদেশে ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি’ গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ আটকের কারণ কী, যা বলছে ইসরাইল ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৩ ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

মো: ফোরকান শাহ্ , চট্টগ্রাম
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৮৩ ১৫০.০০০ বার পাঠক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মোহাম্মদ শাহেদ হত্যা মামলায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার ১০ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত দায়রা জজ ৭ম আদালত চট্টগ্রাম আ.স.ম. শহীদুল্লাহ কায়সার এই রায় দেন।

দায়রা -১৬৩৯/২০১৫ মামলায় দণ্ডিত আসামিরা হলেন, আনোয়ারা উপজেলার শিলাইগড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ড খলিল মেম্বাবের নতুন বাড়ীর মৃত আলি আহমেদের তিন ছেলে হারুন রশিদ (৪০), জাহেদ হোসেন টুন্টু (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৩৬)।

২০১৩ সালের ১ জুলাই আনোয়ারা উপজেলার মধ্যম শিলাইগড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ড খলিল মেম্বাবের নতুন বাড়ীর পশ্চিম পাশে রাজা সরদার রোডে মোহাম্মদ শাহেদের বাড়ির পাশের বিলে আসামি জাহেদ হোসেন ভাসা জাল বসিয়ে মাছ ধরতে গেলে তাকে শাহেদ বাঁধা দেয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জাহেদ মোবাইলে কল দিয়ে তার দুই ভাই হারুন ও আনোয়ারকে ডেকে আনে। এরপর তারা একসঙ্গে ধারালো কিরিচ, দা ও লোহার রড দিয়ে শাহেদের উপর হামলা করে।

এক পর্যায়ে হারুন দা দিয়ে শাহেদের মাথায় কোপ দেয়। এরপর শাহেদের চিৎকারে শুনে এসে তাকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নির্দেশ দেয়। চমেক হাসপাতালে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আইসিইউ প্রয়োজন হলে চমেক হাসপাতালে খালি না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ জুলাই সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহেদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেদিনই তিন ভাইকে আসামি করে আনোয়ারা থানায় শাহেদের চাচা মো. ইউনুছ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

এই মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যার  অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় জাহেদ হোসেন টুন্টু ও আনোয়ার হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতক আসামি হারুন রশিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৩ ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

আপডেট টাইম : ১২:০৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মোহাম্মদ শাহেদ হত্যা মামলায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার ১০ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত দায়রা জজ ৭ম আদালত চট্টগ্রাম আ.স.ম. শহীদুল্লাহ কায়সার এই রায় দেন।

দায়রা -১৬৩৯/২০১৫ মামলায় দণ্ডিত আসামিরা হলেন, আনোয়ারা উপজেলার শিলাইগড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ড খলিল মেম্বাবের নতুন বাড়ীর মৃত আলি আহমেদের তিন ছেলে হারুন রশিদ (৪০), জাহেদ হোসেন টুন্টু (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৩৬)।

২০১৩ সালের ১ জুলাই আনোয়ারা উপজেলার মধ্যম শিলাইগড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ড খলিল মেম্বাবের নতুন বাড়ীর পশ্চিম পাশে রাজা সরদার রোডে মোহাম্মদ শাহেদের বাড়ির পাশের বিলে আসামি জাহেদ হোসেন ভাসা জাল বসিয়ে মাছ ধরতে গেলে তাকে শাহেদ বাঁধা দেয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জাহেদ মোবাইলে কল দিয়ে তার দুই ভাই হারুন ও আনোয়ারকে ডেকে আনে। এরপর তারা একসঙ্গে ধারালো কিরিচ, দা ও লোহার রড দিয়ে শাহেদের উপর হামলা করে।

এক পর্যায়ে হারুন দা দিয়ে শাহেদের মাথায় কোপ দেয়। এরপর শাহেদের চিৎকারে শুনে এসে তাকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নির্দেশ দেয়। চমেক হাসপাতালে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আইসিইউ প্রয়োজন হলে চমেক হাসপাতালে খালি না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ জুলাই সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহেদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেদিনই তিন ভাইকে আসামি করে আনোয়ারা থানায় শাহেদের চাচা মো. ইউনুছ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

এই মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যার  অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় জাহেদ হোসেন টুন্টু ও আনোয়ার হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতক আসামি হারুন রশিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।