ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুরে পাট চাষে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নতুন পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে পরিত্যক্ত সুপারির খোলসে পার্বতীপুরে সেচ মৌসুম গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বিপাকে কৃষকরা মোংলায় ফ্যামিলি সাইকেল র‍্যালি নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে রানীশংকৈলে জিপিএ—৫ পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের বাধা অর্থিক সংকট কালিয়াকৈরে এক নারী মাদক ব্যবসায়ী হেরোইনসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হারানো টাকা মালিকের হাতে ফেরত দিয়ে দিষ্টান্ত স্হাপন করলো পুলিশ

বাঞ্ছারামপুর মাত্র আট মাসেই কোরআনে হাফেজ হলেন আট বছরের শিশু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাত্র আট মাসে সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করেছেন শিশু হাফেজ মো.সাইমন ইসলাম । আট বছর বয়সী হাফেজ সাইমন ইসলাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বটতলী কান্দাপাড়ার রিক্সা চালক মো. আশরাফুল ইসলামের ছেলে এবং উজানচর নূরে মদিনা সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার হিফজুল কুরআন বিভাগের বালক শাখার শিক্ষার্থী।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো.নজরুল ইসলামের আয়োজনে বিকাল ৩টায় মাদ্রাসা মাঠে হাফেজ মোহাম্মদ সাইমন ইসলামকে মাদ্রাসা কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

হাফেজ মোহাম্মদ সাইমন ইসলামের পিতা মো.আশরাফুল জানান আমি গরীব বাবা রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে মাত্র আট মাসে কোরআনের হাফেজ হওয়ায় আমার পরিবারের সবাই আনন্দিত। ভবিষ্যতে সে যেন বিশ্বখ্যাত আলেম হয়ে ইসলাম ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।

উজানচর নূরে মদিনা সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রধান শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নুরমোহাম্মদ আল-ক্বাদরী বলেন, হিফজুল কোরআন বিভাগে পড়াশোনা শেষ করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগে। আমারও তিন বছর লেগেছিলো কোরআন মুখস্হ করতে সেখানে তার সময় লেগেছে মাত্র আট মাস। আল্লাহর অশেষ রহমতের প্রচেষ্টায় আট মাসেই হিফজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। শুরু থেকে আমি তার মধ্যে ভিন্ন প্রতিভা দেখতে পাই। আমি সাইমনের জন্য দোয়া করি ও দেশবাসির কাছে দোয়া চাই তাকে আল্লাহ তায়ালা ইসলাম, দেশ, জাতি ও মানবতার খাদেম হিসেবে কবুল করেন।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় শতাধিক ।গত তিন বছরে ৯ জন কোরআনে হাফেজ হয়েছে কিন্তু করোনা কালিন সময় মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় লেখা পড়া ঠিকমত করাইতে পারে নাই, হয়তো আরো বেশী হাফেজ হইতো।

বাংলাদেশ গাউছিয়া কমিটির বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন এতো অল্প সময়ে সে কোরআনে হাফেজ হয়েছে আমরা গাউছিয়া কমিটির পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করবো।

অত্র মাদ্রাসার সভাপতি মোকবুল হোসেন, এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন হোমনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো আব্দুল হক সরকার, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, সহকারি কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী পলাশ মাষ্টার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার গাউছিয়া কমিটির দপ্তর সম্পাদক হযরত মাওলানা মুফতি দ্বীন ইসলাম আল ক্বাদরী, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল আল-ক্বাদেরী, আল-ক্বাদেরী,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান,তথ্যও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক গাজী মো.আব্দুল হাই মাষ্টার,অত্র মাদরাসা সদস্য সচিব মো.সেলিম মিয়া প্রমূখ।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে পাট চাষে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

বাঞ্ছারামপুর মাত্র আট মাসেই কোরআনে হাফেজ হলেন আট বছরের শিশু

আপডেট টাইম : ০১:৩৪:৩৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাত্র আট মাসে সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করেছেন শিশু হাফেজ মো.সাইমন ইসলাম । আট বছর বয়সী হাফেজ সাইমন ইসলাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বটতলী কান্দাপাড়ার রিক্সা চালক মো. আশরাফুল ইসলামের ছেলে এবং উজানচর নূরে মদিনা সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার হিফজুল কুরআন বিভাগের বালক শাখার শিক্ষার্থী।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো.নজরুল ইসলামের আয়োজনে বিকাল ৩টায় মাদ্রাসা মাঠে হাফেজ মোহাম্মদ সাইমন ইসলামকে মাদ্রাসা কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

হাফেজ মোহাম্মদ সাইমন ইসলামের পিতা মো.আশরাফুল জানান আমি গরীব বাবা রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে মাত্র আট মাসে কোরআনের হাফেজ হওয়ায় আমার পরিবারের সবাই আনন্দিত। ভবিষ্যতে সে যেন বিশ্বখ্যাত আলেম হয়ে ইসলাম ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।

উজানচর নূরে মদিনা সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রধান শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নুরমোহাম্মদ আল-ক্বাদরী বলেন, হিফজুল কোরআন বিভাগে পড়াশোনা শেষ করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগে। আমারও তিন বছর লেগেছিলো কোরআন মুখস্হ করতে সেখানে তার সময় লেগেছে মাত্র আট মাস। আল্লাহর অশেষ রহমতের প্রচেষ্টায় আট মাসেই হিফজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। শুরু থেকে আমি তার মধ্যে ভিন্ন প্রতিভা দেখতে পাই। আমি সাইমনের জন্য দোয়া করি ও দেশবাসির কাছে দোয়া চাই তাকে আল্লাহ তায়ালা ইসলাম, দেশ, জাতি ও মানবতার খাদেম হিসেবে কবুল করেন।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় শতাধিক ।গত তিন বছরে ৯ জন কোরআনে হাফেজ হয়েছে কিন্তু করোনা কালিন সময় মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় লেখা পড়া ঠিকমত করাইতে পারে নাই, হয়তো আরো বেশী হাফেজ হইতো।

বাংলাদেশ গাউছিয়া কমিটির বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন এতো অল্প সময়ে সে কোরআনে হাফেজ হয়েছে আমরা গাউছিয়া কমিটির পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করবো।

অত্র মাদ্রাসার সভাপতি মোকবুল হোসেন, এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন হোমনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো আব্দুল হক সরকার, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, সহকারি কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী পলাশ মাষ্টার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার গাউছিয়া কমিটির দপ্তর সম্পাদক হযরত মাওলানা মুফতি দ্বীন ইসলাম আল ক্বাদরী, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল আল-ক্বাদেরী, আল-ক্বাদেরী,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান,তথ্যও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক গাজী মো.আব্দুল হাই মাষ্টার,অত্র মাদরাসা সদস্য সচিব মো.সেলিম মিয়া প্রমূখ।