একটি চিহ্নিত মহল ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে : শিক্ষামন্ত্রী
- আপডেট টাইম : ০৪:১৮:৩৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ২৮৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা দেখছি একটি চিহ্নিত মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বারবারই অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। কখনও ভাস্কর্যের নামে আন্দোলন করছেন, কখনও বিদেশি একটি সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা নানান তথ্য প্রচার করছেন, সাজানো নাটক প্রচার করছেন। সেগুলোর সবকিছুতে বিফল হয়ে এখন আমাদের ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের হাতেই আমরা আমাদের ভাষা আন্দোলন পেয়েছি, ভাষার অধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি, গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। আজকে যখন বৈশ্বিক সংকট চলছে, সেই সময়ে শিক্ষাবান্ধব সরকার, বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সকল উপাচার্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহ্স্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৭ কলেজের ক্ষেত্রে কেন আমরা ব্যতিক্রম করছি আমরা একান্তই মানবিক কারণে। কারণ তারা তিন বছর পিছিয়ে আছে।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে তাদেরকে পরীক্ষা দেবার (যেগুলো চলছিল, যেগুলো ঘোষিত আছে) সেগুলো যথারীতি চলবে-এই সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সারা দেশে আছে। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য মহোদয় এখানে আছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ যে, তারা সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত করেছেন।
সে কারণে আজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, তারা কোনো ধরনের আন্দোলনে যাবেন না এবং তারা তিন মাস পর পরীক্ষা দেবেন। তাদের মধ্যে কারো যদি বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে এক ধরনের অস্থিরতা ছিল।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের একটা তারিখ দেয়া আছে। পরীক্ষারও একটা নির্ধারিত তারিখ ছিল। এখানে সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ও আছেন। ওনাদের সঙ্গেও আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময়, পরীক্ষার সময় এবং এই কতদিন পরীক্ষা পেছানোর কারণে কারও যদি বয়সের সমস্যাও দেখা দেয় সেই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থাটা সরকার করবে।
এই সিদ্ধান্তও আমরা সেদিনই দিয়েছিলাম। কাজেই এই তিন মাস যদি পরীক্ষা না হয় স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য, সার্বিক নিরাপদের জন্য আমি মনে করি, বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সকল শিক্ষার্থীরা বিষয়টা বুঝবেন। আমি মনে করি তারা বৃহত্তর স্বার্থ বুঝেন, জাতীয় স্বার্থ বুঝেন, তারা সবাই সেটিকে মেনে নেবেন।
সাময়িক অসুবিধা হয়তো অনেকেরই হবে, অনেকে টিউশনি করে পড়াশোনা করেন, অনেকে নিজ অর্থায়নে এখন হলের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় মেস ভাড়া করে আছেন, কষ্টে আছেন অনেকেই। আমরা তাদের এই কষ্টগুলো বুঝি।
নানা সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও বৃহত্তর স্বার্থে এখন আন্দোলন না করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের এই করোনাসংক্রমণটি আবার ছড়িয়ে গিয়ে সারা বিশ্বে যেখানে সাফল্য অর্জন করেছে, সেই সাফল্য যেন ম্লান না হয়ে যায়। একটু কষ্ট হলেও সরকারের সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবেন।