বিএনপি বিদেশিদের হাতে–পায়ে ধরছে, ভিক্ষা চাচ্ছে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন আওয়ামী লীগ
- আপডেট টাইম : ০২:৪৫:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
- / ২৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
এর পাল্টা ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদেরও এক দফা- শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই নির্বাচন হবে এবং শেখ হাসিনাই নেতৃত্ব দিবেন”।
মি. কাদের বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে তারা হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় তারা ভেসে যাবে।
“আমাদের এক দফা সংবিধান সম্মত নির্বাচন। এ লক্ষ্যকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
আমরা কোনো বাধা দিবো না। কাউকে আক্রমণ করতে যাবো না। বিদেশী বন্ধুদের বলতে চাই – আপনারা চান সুষ্ঠু, অবাধ, ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের লক্ষ্যও ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন। কিন্তু এতে যারা বাধা দিবে আমরা তাদের প্রতিহত করবো”।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যাদের হাতে রক্তর দাগ তাদের সাথে আপোষ নয়, কোনো ডায়ালগ নয়”।
মানুষের ‘ভোটাধিকার’ আদায়ের দাবীতে বিএনপি নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করেছিলো।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ‘ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ সমাবেশ করেছে, যাকে ‘শান্তি সমাবেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দলটির নেতারা।
তবে দল দুটি এমন এক সময়ে পাল্টাপাল্টি কাছাকাছি দুটি ভেন্যুতে সমাবেশ করছে যখন ঢাকা সফরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের নির্বাচনী অনুসন্ধানী মিশন।
এর আগে গত দশই ডিসেম্বর ঢাকায় নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চেয়েও পারেনি বিএনপি এবং তখন এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দলটির কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিলো।
ওই ঘটনার জের ধরে তখন দলটির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও আটক করেছিলো কর্তৃপক্ষ।
তবে এবার পুলিশ কিছু শর্ত দিলেও নয়াপল্টনেই দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। একই সাথে ঢাকার বারটি জায়গা থেকে বিএনপির সমমনা দল ও জোটগুলো যুগপৎভাবে কর্মসূচি দিয়েছে।
যদিও উভয় কর্মসূচির কারণে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অনেক জায়গায় দেখা গেছে তীব্র যানজট। আবার গণপরিবহন কম থাকায় পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে।