দেশে ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে
- আপডেট টাইম : ০৮:২১:৫২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
- / ১৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক
গ্যাসের ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
দেশে ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে গ্যাসের ঘাটতিকে,
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে,
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি) দুপুর ১২টায় প্রায় ২ হাজার ৫১ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে; যখন ১২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল সেখানে ১০ হাজার ৭৪৯ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তার ধারণা, এদিন ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
বিপিডিবির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছি না বলে এমনটা ঘটেছে। এর ফলে দেশেব অনেক কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এর আগে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছিল, সুপার সাইক্লোন মোখার প্রভাবে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ২টি ভাসমান টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ফলে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিগগির সরবরাহ শুরু হবে। এর ফলে চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ বা আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশবাসীর নিকট সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. মো. কাউসার আমীর আলী জানান, ঢাকা মহানগরীর তার আওতাধীন এলাকায় ১ হাজার ১৫৭ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে শনিবার সকাল ১১টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৮১৯ মেগাওয়াট। অর্থাৎ প্রায় ৩৪৭ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, তার কোম্পানির আওতাধীন এলাকায় দিনে ৩৫০ থেকে ৩৮০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়।
লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
এর আগে আমরা দেখেছিলাম
২০১৪, সালে বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের নিকট খবর আসে সেখানে বিদ্যুৎ নেই। কুষ্টিয়া থেকে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, “বেলা ১১টা ২৯ মিনিটে ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ এলাকায় জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর ব্ল্যাক আউট হয়েছে। ভারতীয় এবং বাংলাদেশি লাইনের সংযোগস্থলে ত্রুটিটি দেখা দিয়েছিল সেই সময়টিতে।