নবীনগরে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান
- আপডেট টাইম : ০৭:৩৫:২১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
- / ১৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাংলাদেশের মানুষের, সরকারের ও আমার নিজের পদ-মর্যাদার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে- এমন কোনো কাজে আমি আপস করব না। যেকোনো কর্মস্থলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষগুলো ন্যায়-নীতি, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলে, ওই এলাকার উন্নয়ন হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রশাসনের সাথে এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান।
তিনি ৩৬তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। পরে দায়িত্ব পালন করেছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবেও। আর নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) হিসেবে যোগদান করেন ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
মাহমুদা জাহান নবীনগরে যোগদানের পর গত কয়েক মাসে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেছেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ‘সেবাগ্রহীতাদের কোনো রকম হয়রানি করা যাবে না। তাৎক্ষণিক মানুষের সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে। কারো বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে পরিণতি ভালো হবে না।’
পৈতৃক সম্পত্তি থেকে প্রকৃত ওয়ারিশ যেন বঞ্চিত না হয়, তার জন্য নামজারি করার আগে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের সরেজমিন যাচাইপূর্বক প্রত্যয়ন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মাহমুদা জাহান। সঠিক ওয়ারিশ সনদ না দিলে নাম জারির আবেদন বাতিল করে দিচ্ছেন তিনি। ফলে ওয়ারিশগণ তাদের পৈত্তিক সম্পতির অংশ পাচ্ছে নিয়মমাফিক।
নবীনগর পৌরসভাসহ উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে মাদকবিরোধী অভিযান, নৌ-যানে তদারকি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এবং অবৈধভাবে ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে কৃষি-জমি নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জেল-জরিমানা করছেন এই কর্মকর্তা।
মাহমুদা জাহান তার দফতরকে সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন। সপ্তাহে দু’দিন সোম ও বুধবার শুনানির দিন নির্ধারিত থাকলেও অন্য দিনগুলোতেও ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতাদের সমস্যার কথা শুনেন তিনি। তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধানেরও চেষ্টা করেন।
মাহমুদা জাহান বলেন, ‘আমার কর্মের মুল্যায়ন করবে সেবাগ্রহীতারা। নবীনগর উপজেলাকে মডেল হিসেবে সাজাতে আমি সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।