গোবিন্দগঞ্জে অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন এনজিও সমিতি
- আপডেট টাইম : ০২:১৪:০৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
- / ৪২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়িতে
সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি সমিতি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি না নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে দেদারসে ঋণ কার্যক্রম ও সঞ্চয় আদায় করার অভিযোগ সর্বমহলে সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই কিভাবে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়াও সাপমাড়া ইউনিয়নের সাহেবগন্জ বাজারে নীলকন্ঠ ও করতোয়া নামে দুটি সমিতি রয়েছে, এসব সমিতির লোকজন বাজারের ব্যবসায়ীদের এবং সাধারণ মানুষদের কে ক্ষুদ্র পরিসরে ঋণ দিয়ে দৈনিক সুদসহ কিস্তি আদায় করে। এবং
কে এস এস এল নামে গোবিন্দগঞ্জ তথা এ অঞ্চলে কোন এনজিও অথবা সমিতির অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছেন সমবায় অধিদপ্তর গোবিন্দগঞ্জ এ বাল সমাজসেবা অধিদপ্তর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সহ সরকারের দপ্তর গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কেএসএস এল নামের কোন সংগঠন বা ক্লাব বা সংস্থার অনুমোদন নেই।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা এই পরিনীতিকে জানিয়েছেন নিবন্ধিত যেকোনো স্থানীয় সংস্থা অথবা সমাবায় সস্তা ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেনা এবং সংস্থার মূল ঠিকানার বাহিরে কোন শাখা অফিস করতে পারবে না বলে নিশ্চিত করেছেন। তদুপরি কাটাবাড়ি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে
সাধারণ মানুষের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ।। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সর্বস্তরের জনগণ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কানুপুর, ফাঁসিতলা,মহিমাগঞ্জ, নাকাইহাট, কমরপুর, গোবিন্দগঞ্জ সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এগারোটি ব্রাঞ্চ/শাখা অফিস খুলে প্রায় ৩৩ হাজার সদস্য সদস্যা ভর্তির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।।
জানা গেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোন ক্ষমতাবলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিজেকে পরিচালক সাজিয়ে এলাকার গরীব অসহায় মেহনতী মানুষের নিকট থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সাপ্তাহিক ৫০ থেকে ২৫০টাকা সঞ্চয় আদায় করছে।
আরও জানা গেছে সদস্য সদস্যা ভর্তিতে ১০০ টাকা ফি জমা দিতে হচ্ছে।।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসা করলে তেনারা এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন সাইনবোর্ড ও অফিস দিয়ে তারা উচ্চ সুদের ব্যবসা করছে।।
এ বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার ফজলুল হক জানিয়েছেন প্রধান কার্যালয়সহ এগারটি শাখা অফিস এ তাদের কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ জন।
সদস্য সদস্যা সংখ্যা প্রায় ৩৩০০০ জন।
প্রত্যেক সদস্যের প্রায় ২ থেকে ১০ হাজার করে টাকা সঞ্চয় জমা আছে,
কোন সদস্যের ২০০০০/- ৩০,০০০/টাকা সঞ্চয় রয়েছে।।
এ বিষয়ে নিজেকে পরিচালক দাবিদার আওরঙ্গজেব কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান তার কাগজপত্র সব ঠিক আছে।
গোবিন্দগঞ্জ সমবায় অফিস থেকে তিনি লাইসেন্স নিয়েছেন।। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও অডিট কর্মকর্তা এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন কাটাবাড়ি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর কোন পরিচালক তাদের জানা নেই। এই সংস্থায় সভাপতি মর্জিনা, বেগম সহ-সভাপতি সায়েদ, সাধারণ সম্পাদক আওরঙ্গজেব সহ ০৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি যাদের সবাই একই পরিবারের সদস্য ।।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন শাখা খোলার কোন অনুমোদন দেওয়া হয় নাই, এবং কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন অডিটের সময় যে সকল সদস্য সদস্যা দেওয়া হয়েছে তার অধিক কোনো সদস্য সদস্যা ভর্তি অথবা নেওয়া হয়েছে কিনা তাদের তা জানা নাই।
সেই সঙ্গে কোটি কোটি টাকা সঞ্চয় আদায় করার পর তাহা উক্ত সংস্থার হিসাব এ জমা আছে কি না তাও তিনি জানেন না।
রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর দাবি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যয়ন ছাড়া কিভাবে সঞ্চয় ও ঋণদান কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারে এটাই সকলের জিজ্ঞাসা।।
গাইবান্ধা জেলা সমবায় কর্মকর্তা জনাব আনিসুর রহমান এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন কে এস এস এল নামে কোন সংগঠন বা সংস্থা বা ক্লাব তার জানামতে অনুমোদন নেই।।
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন একটির বেশি কোন অফিস বা শাখা খোলার কোনো অনুমোদন দেওয়া হয় নাই। যদি একের অধিক শাখা বা সাইনবোর্ড বা অফিস এর কার্যক্রম করা হয় তাহলে তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।।
যে সংগঠনের কোন শাখা খোলার অনুমোদন নেই এবং ক্ষুদ্র ও বৃহৎ আকারের কোন ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না সেক্ষেত্রে কোন ক্ষমতাবলে ভুয়া পরিচালক হিসেবে দাবিদার আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না এবং সংস্থাটির নামে উচ্চসুদে ঋণ কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না এ নিয়ে সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে
পরিচালক দাবিদার আওরঙ্গজেব এর টনক নড়েছে এবং তিনি তার অবৈধ কর্মকাণ্ডকে আড়াল করার জন্য বিভিন্ন মহলের নিকট দৌড়ঝাঁপ করছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।
তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য তার অবৈধ কর্মকান্ড কে চক্ষু আড়ালের জন্য উচ্চ সুদের কার্যক্রমকে সমাজসেবা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করছে।
সেই বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এমএ মতিন মোল্লা কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান অবৈধ সুদ বন্ধে প্রশাসনের জোরালো হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।।
সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।।