ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা ও লাশ গুমের সাত (০৭) বছরের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- আপডেট টাইম : ১২:২১:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
- / ১২৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
১৮ মে বৃহষ্পতিবার রাত অনুমান ২টা ৩০মিনিটের সময় ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানার চাঞ্চল্যকর শাহজাহান হত্যা ও লাশ গুম মামলার যাবজ্জীবন ও অতিরিক্ত আরো সাত (০৭) বছর সাজাপ্রাপ্ত ০৭ বছর যাবত পলাতক ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ।
সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার কাশিমপুর থানাধীন জিরানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামীকে আটক করা হয়। আটককৃত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. সেকান্দার আলী (৪০) ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত – রাজ মাহমুদ ফকিরের ছেলে।
গত ০৫ আগস্ট ২০১৬ খ্রীষ্টাব্দে অনুমান সন্ধ্যা ৭ টার সময় ভিকটিম শাহজাহানের বসবাসরত রাঙ্গামাটিয়ার বাড়ীতে খুনি কৌশলে প্রবেশ করে এলোপাতারি কুপিয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশ বাড়ীর পাশের একটি পুরাতন কূপের মধ্যে ফেলে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়।
মামলার রায় পর্যালোচনা এবং আসামীকে জিজ্ঞসাবাদে জানা যায় ফুলবাড়ীয়া থানার শ্রীপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ভিকটিম নিহত শাহজাহান (৫৫) ২য় বিয়ে করে একই থানার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে ২য় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। ভিকটিম শাহজাহানের ২য় বিয়ে কে কেন্দ্র করে তার প্রথম স্ত্রী সাজেদা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল । উক্ত কলহের জেরে সাজেদা খাতুন গ্রেফতারকৃত আসামী সেকান্দার আলীকে টাকার বিনিময়ে স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে ভাড়া করে।
ভিকটিমের হত্যাকান্ড অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমের প্রথম স্ত্রী সাজেদা খাতুন নিজেই বাদী হয়ে ২য় স্ত্রী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা ফুলবাড়ীয়া থানার মামলা নং- ০৮(০৮)১৬, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।
পরবর্তীতে দীর্ঘ তিন মাস তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃত আসামী মো. সেকান্দার আলীকে গ্রেফতার করেন। সেকান্দার আলীর দেওয়া তথ্য মতে ঘটনার তিন মাস পর ভিটিমের লাশ কূপ থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সেকান্দার আলী উক্ত হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী সেকান্দার আলীর বিরুদ্ধে দঃ বিঃ ৩০২ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারকৃত আসামী সেকান্দার আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান এবং হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে দঃ বিঃ ২০১ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালত তাকে আরো ০৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ০৭ (সাত) বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।