শিক্ষক কর্তৃক ব্ল্যাকমেইল করে ১৩ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ- পর্ব ১
- আপডেট টাইম : ০৯:৪২:২৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
- / ৩৮০ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরিশাল বানারীপাড়া উপজেলার মধ্য বিশারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিশারকান্দি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র, জিহাদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে গত ০৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখ আপত্তিকর ছবি তুলে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে দীর্ঘ ৩০ মাস ধর্ষণ করার লিখিত অভিযোগ করেন হাসিবা নামে এক ছাত্রী, বাংলাদেশ সাস্থ এন্ড পরিবেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটি এ-র চেয়ারম্যান এর বরাবর। অভিযোগকারী, পিরোজপুর জেলার, নাজিরপুর উপজেলার মুগারঝোর গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোছাম্মৎ হাসিবা তখনকার বয়স(১৩) পিতা মোঃ হাফিজুর রহমানের মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন । শিক্ষক জিহাদুল অভিযোগকারীর বাসায় এসে প্রাইভেট পড়াতেন ২০২১ ইং সালে।একদিন পড়াতে এসে হাসিবাকে একা পেয়ে জোর পূর্বক হাসিবাকে ধর্ষণ করে তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ঐ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের মত ঘটনা অব্যাহত রাখে অভিযোগকারী জানান একপর্যায়ে আমি দিশেহারা হয়ে আমার পরিবারদের ঘটনাগুলো বলি আমার পরিবারের লোকজন লম্পট জিহাদের সাথে এই ঘটনার বিষয়ে কথা বল্লে জিহাদ আমার পরিবারের লোকদের হুমকি স্বরূপ বলেন এই ঘটনার কোন কিছু পুলিশ প্রশাসন অথবা এলাকার কাউকে জানাইলে আমি পালাবো এবং আমার কাছে যে ভিডিওগুলো আছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিব। লম্পট জিহাদ আরো বলেন আমি হাসিবা কে বিয়ে করবো।একথা শুনে আমার পরিবারের লোকজন মান সম্মানের ভয়ে মুখ বুজে থাকে এবং জিহাদের সাথে বিয়ে দেওয়ার সম্মতি দেয়। আমি পরিবারের মান সম্মানের ভয়ে জিহাদের সাথে বিয়ে বসা এবং সংসার করতে রাজি হই একপর্যায়ে লম্পট জিহাদ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার পরিচিত কাজী অফিসে নিয়ে মিথ্যা বিয়ের প্রতারণার নাটক সাজিয়ে দীর্ঘ ৩০ মাস আমাকে ভোগ করেন এবং অমানুষিক নির্যাতন করেন কারণ এটাই তার কাজ। জিহাদের মোবাইল ফোনের মধ্যে আরো অসংখ্য স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর কুকীর্তি দেখতে পাই। তা প্রতিবাদ করায় হাসিবাকে নির্যাতন শুরু করে এক পর্যায়ে গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ইংরেজি তারিখে জিয়াদের ভাড়া করা বাড়ি থেকে পালিয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে যায় ভুক্তভোগী এবং পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ কর্মকর্তা জিহাদের মোবাইল ফোনে কল করলে জিহাদ পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে দেখা করার সময় নেয়।তার পর আর পুলিশের সাথে দেখা করেনি জিহাদ । পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় ভুক্তভোগী হাসিবাকে ফোন দিয়ে হুমকি প্রদান করেন ।বাংলাদেশ সাস্থ এন্ড পরিবেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটির সাংগঠনিক সচিব সরকার জামাল লম্পট জিহাদের ফোনে ফোন করে এ-সব বিষয়ে জানতে চাইলে জিহাদ বলেন হাসিবা আমার স্ত্রী আরেক পর্যায়ে বললেন দু একদিনের মধ্যে তাদের সাথে মিমাংসা করেবো। জিহাদের বিষয়ে আর-ও তথ্য জানান জন্য ২য় পর্বে চোখ রাখুন।