ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন,প্রচুর ব্যস্ততায় কৃষক দিন পার করছেন

মোহা নুরনবি হোসেন নিয়ামতপুর (নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
  • / ১৬৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

নওগাঁ জেলা শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত আর জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা শস্য ভান্ডারে অন্যতম। এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে আগাম ইরি-বোরো ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা । একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমে কৃষকদের কষ্ট হলেও ধান কেটে মাড়াই কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও মনের আনন্দে ধান শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে সহযোগিতা করছেন। আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হলেও উচ্চ ফলনশীল ধান আগামী সপ্তাহে কাটা শুরু হবে বলে জানান কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা জমিতে সঠিক সময় পর্যাপ্ত পানি পেয়েছে। এছাড়া কৃষি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের সব রকম পরামর্শ প্রদান, পর্যাপ্ত সার পাওয়ায় এবার কোনো কিছুতেই কৃষকদের বেগ পেতে হয়নি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সর্বত্রই বোরো ধানের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৮ ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৬ শত ৮৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ, ৫৬ হাজার, ৫২৬.৫ মেট্রিক টন ধান। উপজেলায় ইস্পাহানী -৮, বেবিলন, হীরা, SL8H, মেটাল সীড হাইব্রিড ৩২০ হেক্টর ।
আর ব্রি ধান ২৮,৬৩, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান১০০, জিরাশাইল কাটারী উফশী জাতের ২২,৩৬৫ হেক্টর বোরো আবাদ হয়েছে।

উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ আল মোনাইফ হোসেন বলেন, সার-সেচসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ায় এ বছর তার জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করায় প্রতি বিঘায় তিনি ২৪-২৮ মণ ধান পেয়েছেন।

বাহাদুর ইউনিয়নের গোকুলপুুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, এ মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। সময় মতো পানি, বীজ, সার পাওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধানের রোগবালাই কম এতে ধানের ফলন ভালো ফলন হচ্ছে। আমার ২ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে ফলন প্রতি বিঘায় ২৫ মন হয়েছে। ধান ও বিক্রি করা হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় ।এ মৌসুমী ধানের বাজার ভালো পাওয়ায় আমরা খুশি

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় কৃষককে উফসী ধানের বীজ, ডিএপি সার ও এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। ফলন বৃদ্ধিতে মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রোগ বালাই কম হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৪০% ধান কর্তন করা হয়েছে। বোরো ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ‌৪.৫ মেট্রিক টন ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন,প্রচুর ব্যস্ততায় কৃষক দিন পার করছেন

আপডেট টাইম : ১১:৫৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

নওগাঁ জেলা শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত আর জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা শস্য ভান্ডারে অন্যতম। এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে আগাম ইরি-বোরো ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা । একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমে কৃষকদের কষ্ট হলেও ধান কেটে মাড়াই কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও মনের আনন্দে ধান শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে সহযোগিতা করছেন। আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হলেও উচ্চ ফলনশীল ধান আগামী সপ্তাহে কাটা শুরু হবে বলে জানান কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা জমিতে সঠিক সময় পর্যাপ্ত পানি পেয়েছে। এছাড়া কৃষি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের সব রকম পরামর্শ প্রদান, পর্যাপ্ত সার পাওয়ায় এবার কোনো কিছুতেই কৃষকদের বেগ পেতে হয়নি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সর্বত্রই বোরো ধানের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৮ ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৬ শত ৮৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ, ৫৬ হাজার, ৫২৬.৫ মেট্রিক টন ধান। উপজেলায় ইস্পাহানী -৮, বেবিলন, হীরা, SL8H, মেটাল সীড হাইব্রিড ৩২০ হেক্টর ।
আর ব্রি ধান ২৮,৬৩, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান১০০, জিরাশাইল কাটারী উফশী জাতের ২২,৩৬৫ হেক্টর বোরো আবাদ হয়েছে।

উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ আল মোনাইফ হোসেন বলেন, সার-সেচসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ায় এ বছর তার জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করায় প্রতি বিঘায় তিনি ২৪-২৮ মণ ধান পেয়েছেন।

বাহাদুর ইউনিয়নের গোকুলপুুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, এ মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। সময় মতো পানি, বীজ, সার পাওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধানের রোগবালাই কম এতে ধানের ফলন ভালো ফলন হচ্ছে। আমার ২ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে ফলন প্রতি বিঘায় ২৫ মন হয়েছে। ধান ও বিক্রি করা হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় ।এ মৌসুমী ধানের বাজার ভালো পাওয়ায় আমরা খুশি

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় কৃষককে উফসী ধানের বীজ, ডিএপি সার ও এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। ফলন বৃদ্ধিতে মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রোগ বালাই কম হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৪০% ধান কর্তন করা হয়েছে। বোরো ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ‌৪.৫ মেট্রিক টন ।