ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি

শাহবাজপুর মধ্যপাড়ায় স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক জেনে ফেলায় স্বামীকে হত্যা এবং তিন লাখ টাকার বিনিময় অপমৃত্যু মামলা?

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:২২:২০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • / ৪৮৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার।।

পৃথিবীতে এমন কোনো হত্যা কান্ড নেই যে হত্যার পরে তার পরিবার সেই হত্যার বিচার দাবি করে নাই বা টাকার জন্য খুনের দিনই মিমাংসা হয়েছে এমন ঘটনাও মনে হয় এখনো ঘটেনি। কিন্তু অকল্পনীয় হলেও সত্যি যে এমনই এক অমানবিক নিষ্ঠুর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার শাহবাজপুর মধ্য পাড়ায়। স্ত্রীর পরোকিয়া স্বামী জেনে ফেলায় স্বামী কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তিন লাখ টাকা দিয়ে শ্বশুরের মুখ বন্ধ করে দেয় পুত্র বধু।

গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার(২২) বাবার বাড়ি হত্যা করা হয় স্বামী নাহিদ মিয়া (২৮) কে।

অনুসন্ধানে জানা যায় স্বামী নাহিদ মিয়া ঢাকাতে একটা চাকরি করে আর স্ত্রী নয়ন তারা গ্রামে বাড়িতে থাকে, এই সুযোগে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। স্বামী নাহিদ মিয়া স্ত্রীর পরকীয়া জানতে পেরে শ্বশুর বাড়ি আসে। ৩০ শে ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার সাথে স্বামী নাহিদ মিয়ার জগড়া হয়। রাত দুইটার দিকে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ার রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য স্ত্রী নয়ন তারা ও তার বড় ভাই রাব্বি মিলে নাহিদ মিয়া কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।

এই হত্যা কান্ডে আত্ম হত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্ত্রী শ্বশুর কে, শাহবাজপুরের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ঠাকুর কে ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জাহাঙ্গীর এবং এস আই মুজিবুর কে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে ওই দিনই।

অনুসন্ধানে জানা যায়  হত্যা কান্ডের পর স্ত্রী নয়ন তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করে কখনো আত্মাহত্যা, বুকে ব্যাথা, স্টোক করে মারা গেছে বলে অসম্পূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে।

স্থানীয় লোকজন আমাদের প্রতিনিধীদের অভিহিত করেন যে ছেলের বাবা ও চেয়ারম্যান সাহেব মোটা অংকের টাকা খেয়ে চুপ হয়েগেছে, এমন লোভি বাবা কোথাও আমরা দেখিনি। তার ছেলেকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে তার পুত্র বধু তাকে টাকা দিলো কেনো? এমন লোভি বাবা এবং  এই হত্যা কান্ডের কঠিন বিচার হওয়া দরকার তা না হলে আমাদের সমাজ ও আমাদের ছেলে- মেয়েরাও নষ্ট হয়ে যাবে।

আমাদের প্রতিনিধি স্ত্রী নয়ন তারার ভাইর সাথে কথা বললে তিনি টাকা আদান-প্রদানের কথা স্বীকার করেন।

আমাদের প্রতিনিধি ডোম সুমনের সাথে সাক্ষাৎ করে নাহিদের লাশ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডোম সুৃমন বলেন এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ডোম সুমন আরো বলেন আমি ২৫ বছর ধরে লাশ কাটি তাই আমরা লাশ দেখলেই বুজতে পারি কোনটা মৃত্যু কোনটা হত্যা কান্ড। হ্যা একথা সত্যি যে লাশ কাটা অবস্থায় আমরা নেশাগ্রস্ত থাকি কিন্তু এতো নেশাগ্রস্ত ছিলাম না যে নাহিদের মৃত্যু সাবাভিক নাকি হত্যাকান্ড তা বুজবো না। ডোম সুমন আরো জানান এস আই মুজিবুর সহ দুজন পুলিশ নাহিদ মিয়ার লাশ টি নিয়ে আসে।

এদিকে সরজমিনে  উভয়ের পরিবারের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে সফিউল্লাহ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের প্রতিনিধিদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিলে তা টের পেয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা বিকল্প রাস্তায় থানায় আশ্রয় নেই। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে এসআই জাহাঙ্গীর ও এসআই মুজিবুর আসামী নয়ন তারাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবংকি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ঠাকুর আসামি নয়ন তারা ও এসআই জাহাঙ্গীর, মুজিবুরের সাথে পোসমডাম রিপোর্ট ও সকল আলামত লোপাডের একটি মৌখিক চুক্তি হয়।

এই ব্যাপারে এসআই মুজিবুরের  কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন নাহিদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আমাদের প্রতিনিধি তখন ডোম সুমনের বর্ণনার রেকর্ড তাকে শুনালে এসআই মুজিবুর কাঁপা কাপা স্বরে বলেন তিনি এস আই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেখানে গিয়েছিলেন। এবং নাহিদের লাশ টি শুয়া অবস্থায় পাই। সেটার পোসমাডাম রিপোর্ট না আশা পযর্ন্ত কিছু করা যাচ্ছে না।

তখন এসআই কে প্রশ্ন করা হয় আপনারা সেখানে গেলে আপনাদের কে বিভিন্ন ভুল তথ্য দেওয়া হলো, আপনার তখনই বুজতে পারলেন এটা একটি হত্যাকান্ড  অথচ এর মামলা তো দূরের কথা আজ পযর্ন্ত একটি সাধারণ ডাইরিও হইলো না কেন?তার স্ত্রী নয়ন তারা কে গ্রেফতার করা হলো না কেন? আসামি নয়নতারা পালিয়ে গেলো কিভাবে?  এর কোনো উত্তর এসআই আমাদের কে দিতে পারে নি।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা হলে তারা  জানান যে শফিউল্লাহ ঠাকুর টাকার বিনিময়ে সবসময় এভাবে উল্টো-পাল্টা শালিসি করে আর থানার এই এসআই জাহাঙ্গীর  টাকার বিনিময়ে বড় বড় অপরাধী খুনি মাদক মামলার আসামিদের ছেড়ে দেয়।কিছু অসাধু পুলিশের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছেন সেটার বদনাম হচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা দরকার।তা নাহলে আমাদের নেত্রীর সকল অর্জন এরা মাটি করে দিবে। ভিডিওটি শেয়ার করুন।  অনুসন্ধান চলছে..

 

 

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শাহবাজপুর মধ্যপাড়ায় স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক জেনে ফেলায় স্বামীকে হত্যা এবং তিন লাখ টাকার বিনিময় অপমৃত্যু মামলা?

আপডেট টাইম : ১১:২২:২০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার।।

পৃথিবীতে এমন কোনো হত্যা কান্ড নেই যে হত্যার পরে তার পরিবার সেই হত্যার বিচার দাবি করে নাই বা টাকার জন্য খুনের দিনই মিমাংসা হয়েছে এমন ঘটনাও মনে হয় এখনো ঘটেনি। কিন্তু অকল্পনীয় হলেও সত্যি যে এমনই এক অমানবিক নিষ্ঠুর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার শাহবাজপুর মধ্য পাড়ায়। স্ত্রীর পরোকিয়া স্বামী জেনে ফেলায় স্বামী কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তিন লাখ টাকা দিয়ে শ্বশুরের মুখ বন্ধ করে দেয় পুত্র বধু।

গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার(২২) বাবার বাড়ি হত্যা করা হয় স্বামী নাহিদ মিয়া (২৮) কে।

অনুসন্ধানে জানা যায় স্বামী নাহিদ মিয়া ঢাকাতে একটা চাকরি করে আর স্ত্রী নয়ন তারা গ্রামে বাড়িতে থাকে, এই সুযোগে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। স্বামী নাহিদ মিয়া স্ত্রীর পরকীয়া জানতে পেরে শ্বশুর বাড়ি আসে। ৩০ শে ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী নয়ন তারার সাথে স্বামী নাহিদ মিয়ার জগড়া হয়। রাত দুইটার দিকে স্ত্রী নয়ন তারা পরকীয়ার রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য স্ত্রী নয়ন তারা ও তার বড় ভাই রাব্বি মিলে নাহিদ মিয়া কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।

এই হত্যা কান্ডে আত্ম হত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্ত্রী শ্বশুর কে, শাহবাজপুরের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ঠাকুর কে ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জাহাঙ্গীর এবং এস আই মুজিবুর কে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে ওই দিনই।

অনুসন্ধানে জানা যায়  হত্যা কান্ডের পর স্ত্রী নয়ন তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করে কখনো আত্মাহত্যা, বুকে ব্যাথা, স্টোক করে মারা গেছে বলে অসম্পূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে।

স্থানীয় লোকজন আমাদের প্রতিনিধীদের অভিহিত করেন যে ছেলের বাবা ও চেয়ারম্যান সাহেব মোটা অংকের টাকা খেয়ে চুপ হয়েগেছে, এমন লোভি বাবা কোথাও আমরা দেখিনি। তার ছেলেকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে তার পুত্র বধু তাকে টাকা দিলো কেনো? এমন লোভি বাবা এবং  এই হত্যা কান্ডের কঠিন বিচার হওয়া দরকার তা না হলে আমাদের সমাজ ও আমাদের ছেলে- মেয়েরাও নষ্ট হয়ে যাবে।

আমাদের প্রতিনিধি স্ত্রী নয়ন তারার ভাইর সাথে কথা বললে তিনি টাকা আদান-প্রদানের কথা স্বীকার করেন।

আমাদের প্রতিনিধি ডোম সুমনের সাথে সাক্ষাৎ করে নাহিদের লাশ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডোম সুৃমন বলেন এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ডোম সুমন আরো বলেন আমি ২৫ বছর ধরে লাশ কাটি তাই আমরা লাশ দেখলেই বুজতে পারি কোনটা মৃত্যু কোনটা হত্যা কান্ড। হ্যা একথা সত্যি যে লাশ কাটা অবস্থায় আমরা নেশাগ্রস্ত থাকি কিন্তু এতো নেশাগ্রস্ত ছিলাম না যে নাহিদের মৃত্যু সাবাভিক নাকি হত্যাকান্ড তা বুজবো না। ডোম সুমন আরো জানান এস আই মুজিবুর সহ দুজন পুলিশ নাহিদ মিয়ার লাশ টি নিয়ে আসে।

এদিকে সরজমিনে  উভয়ের পরিবারের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে সফিউল্লাহ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের প্রতিনিধিদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিলে তা টের পেয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা বিকল্প রাস্তায় থানায় আশ্রয় নেই। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে এসআই জাহাঙ্গীর ও এসআই মুজিবুর আসামী নয়ন তারাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এবংকি চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ ঠাকুর আসামি নয়ন তারা ও এসআই জাহাঙ্গীর, মুজিবুরের সাথে পোসমডাম রিপোর্ট ও সকল আলামত লোপাডের একটি মৌখিক চুক্তি হয়।

এই ব্যাপারে এসআই মুজিবুরের  কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন নাহিদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আমাদের প্রতিনিধি তখন ডোম সুমনের বর্ণনার রেকর্ড তাকে শুনালে এসআই মুজিবুর কাঁপা কাপা স্বরে বলেন তিনি এস আই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেখানে গিয়েছিলেন। এবং নাহিদের লাশ টি শুয়া অবস্থায় পাই। সেটার পোসমাডাম রিপোর্ট না আশা পযর্ন্ত কিছু করা যাচ্ছে না।

তখন এসআই কে প্রশ্ন করা হয় আপনারা সেখানে গেলে আপনাদের কে বিভিন্ন ভুল তথ্য দেওয়া হলো, আপনার তখনই বুজতে পারলেন এটা একটি হত্যাকান্ড  অথচ এর মামলা তো দূরের কথা আজ পযর্ন্ত একটি সাধারণ ডাইরিও হইলো না কেন?তার স্ত্রী নয়ন তারা কে গ্রেফতার করা হলো না কেন? আসামি নয়নতারা পালিয়ে গেলো কিভাবে?  এর কোনো উত্তর এসআই আমাদের কে দিতে পারে নি।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা হলে তারা  জানান যে শফিউল্লাহ ঠাকুর টাকার বিনিময়ে সবসময় এভাবে উল্টো-পাল্টা শালিসি করে আর থানার এই এসআই জাহাঙ্গীর  টাকার বিনিময়ে বড় বড় অপরাধী খুনি মাদক মামলার আসামিদের ছেড়ে দেয়।কিছু অসাধু পুলিশের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছেন সেটার বদনাম হচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা দরকার।তা নাহলে আমাদের নেত্রীর সকল অর্জন এরা মাটি করে দিবে। ভিডিওটি শেয়ার করুন।  অনুসন্ধান চলছে..