কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৬ তম ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত
- আপডেট টাইম : ০৯:০৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ৪১০ ৫০০০.০ বার পাঠক
কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিবছরের বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত।উক্ত মাঠে একসাথে তিন লাখ এরও বেশি মুসল্লী ঈদুল ফিতর ও আযহা নামাজ আদায় করেন।এবারও সর্ববৃহৎ ঈদ মাঠে দাগ কাটা দেয়ালের রং অজুখানা পুকুরঘাট সবকিছু জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শোলাকিয়া ঈদগাহ প্রতি বছরই জামাতের কলরব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দান কে কেন্দ্র করে গৌরবান্বিত করেছে কিশোরগঞ্জ কে।প্রতি বছর১ লা শাওয়াল ও ১০ই জিলহজ্জ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা জামাত অনুষ্ঠিত হয়।এই জামাত উপমহাদেশের ও বৃহত্তম ঈদ জামাত হিসেবে আলোচিত। হার মাঈন শরী ফাঈনের পর শোলাকিয়া ঈদগাহ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শোলাকিয়া কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি বৃহৎ ও পুরাতন একটি জনবসতি এলাকা।বর্তমান শোলাকিয়া নামক স্থানটির পূর্ব নাম ছিল রাজাবাড়িয়া কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব উত্তর কোণে নরসুন্দা নদীর অববাহিকার শোলাকিয়া এলাকাটির অবস্থান জনশ্রুতি আছে শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রথম বড় জামাতের সোয়া লাখ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেছিলেন।অন্যান্যদের মতে মূগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের ছিল সোয়া লাখ উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখিয়া সেখান থেকে বতর্মান শোলাকিয়া নামের উৎপত্তি। ১৮২৮ সালের অনুষ্ঠিত প্রথম বড় জামাতের ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমদ। বরকতময় শোলাকিয়া ঈদগাহে যুগে যুগে খ্যাতনামা আলেমগণ ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।এবার ইমামতি করবেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব মাওলানা মোঃ ফরিদ উদ্দিন মাসউস। নামাজ শুরু করার আগে ফাঁকা গুলি ফাটিয়ে আওয়াজ করে নামাজের শুরু করার সংকেত দেয়া হয়।এ জামাত সকাল ১০টা অনুষ্ঠিত হবে।