কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী বন্দরে ভারতীয় গঙ্গা বিলাস নোঙ্গর করেছে
- আপডেট টাইম : ০৩:৫৪:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
- / ১৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বিশ্বের দীর্ঘযাত্রার প্রমোদতরি ভারতীয় গঙ্গা বিলাস কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী বন্দরে নোঙ্গর করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের এই পয়েন্টে নাব্যতা সংকটের কারণে বন্দরের তীরে ভীড়তে না পারায় ব্রহ্মপুত্রের বুকে অবস্থান করছে প্রমোদতরিটি।
জানা যায়, বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় চিলমারী বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে গঙ্গা বিলাস। পরে বিকাল ৪টার দিকে নাব্যতা সংকটে নোঙ্গর করে ব্রক্ষপুত্রের চরে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় পর্যটকদের গঙ্গা বিলাস থেকে স্পিড বোটে চিলমারী নদী বন্দরে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুজ্জামান শাহিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান, চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমা বেগম প্রমুখ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রমোদতরির বিদেশী পর্যটকরা রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন শেষে আবারও চিলমারী ফিরে গঙ্গা বিলাসে রাত্রি যাপন করবেন। আগামীকাল শুক্রবার সকালে চিলমারী নৌ বন্দর থেকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হবে গঙ্গা বিলাস। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ভারতের উত্তর প্রদেশের বানারসী থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত নদী পথে মোট ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘযাত্রার প্রমোদতরি গঙ্গা বিলাস। তিনটি ডেকসহ এমভি গঙ্গা বিলাস দৈর্ঘ্যে ৬২ মিটার লম্বা ও প্রস্থে ১২ মিটার। এর ২৮টি বিলাসবহুল কামরায় সুইজারল্যান্ডের ২৭জন এবং জার্মানির ১জন ভ্রমণ করছেন। এই যাত্রা পথে ৫১দিন সময় লাগবে ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র দই খাওয়া-চিলমারী নৌরুটের প্রধান পাইলট মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রটোকল রুটের নাব্য রক্ষাসহ বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, গঙ্গা বিলাস যাত্রারত পর্যটকদের ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।