জামায়াত নেতা কর্তৃক দখল ও লোটপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
- / ১৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
সিলেটের দক্ষিন সুরমার খানুয়া এলাজায় জামায়াত নেতা কর্তৃক অসহায় পরিবারের ভ’মি দখলের চেষ্টা ও লোটপাটের অভিযোগ করে সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বাবুল মিয়া (৪৫)। তিনি খানুয়া গ্রামের মৃত হামিদ উল্লা ছেলে। উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন আপন ভাই আমিন মিয়া, মুকিত মিয়া ও চাচাত ভাই বাবলু মিয়া। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের জানাচ্ছি যে, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে কিছু কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন থেকে আমাদের সাথে অযথাই মারামারি ও ফিৎনা ফসাদে জড়িত হতে চায়। আমাদের মৌরসী সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য ক্ষতিপয় পরধন লোভী ও ভূমিখেকো লোক বিগত ১৯৭২ইং সন থেকে ১৯৮৬ইং সন পর্যন্ত নামে বেনামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক দলিল করে নেয়। উল্লেখ্য যে, আমরা যাচাই বাচাই করে দেখি একই তারিখে এক ব্যক্তির নামে একই দাগ ও খতিয়ান থেকে ৪টি ভূয়া দলিল করা হয়েছে এবং এই দলিল বাতিলের জন্য আমরা আদালতে মামলা করি, মহামান্য আদালত ভূয়া দলিল বাতিলে আদেশ দিয়েছেন।
আমরা দিনমজুর মেহনতি মানুষ সংসারের ভরণপোষনের জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কর্মক্ষেত্রে চলে যাই সেই সুযোগে প্রতিপক্ষ গত ০৩/০২/২০২৩ইং তারিখে বিবাদী শরীফুল ইসলাম এনাম ও সাইফুল ইসলাম কামরানের নেতৃত্বে বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার ফসলি জমি বাউস ক্ষেতের ৭০ থেকে ৮০টি লাউ, কুমড়া ও সিমের ঝাড় উপড়ে মুচড়ে ফেলে দেয় এবং সেই সাথে বড় বড় ৬ থেকে ৭টি রেন্টি গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে এসএমপি’র দক্ষিণ সুরমা থানায় গত ০৯/০২/২০২৩ইং তারিখে আমি একটি সাধারণ ডায়েরি করি, ডায়েরি নং-৪৫০।
আমাদের দাদা-দাদি ও পিতা-মাতার মৃত্যুর পর সহায় সম্পত্তি নিয়ে কিছু ঝামেলার সৃষ্টি হয়। আমরা কোন প্রকার ঝামেলায় জড়িত না হয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বিষয়টি মিমাংসার জন্য বিগত ২০০৪ ইং তারিখে যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করি, যাহার নং সত্ত্ব মোকাদ্দমা ৮৫/২০০৪ইং। এই মামলাটি এখন সত্ত্ব মোকাদ্দমা নং- ১৪৫/২০২২ইং মাননীয় সহকারী জজ আদালত জৈন্তাপুর সিলেটে বিচারাধীন রয়েছে। উল্লেখ্য যে, আমাদের প্রতিপক্ষের সাথে সহায় সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় ৯নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শেখ মোঃ মখন মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার মুরব্বি ও যুবকদের নিয়ে বিগত ০৮/১০/২০০৩ইং তারিখে একটি গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয় এবং সেই বৈঠকে বিরোধীয় সম্পত্তির আপোষ মিমাংসা করা হয়। কিন্তু মুরব্বি ও সালিশানদের আদেশ অমান্য করে বিবাদীগণ প্রায়ই আমাদের উপর জোর জুলুম করতে থাকে। তাছাড়া বিগত ০৩/০৪/২০১১ইং তারিখে বিবাদীগণ আমার বাড়ীর গাছপালা ও গাছের বড় বড় ডাল কেটে নিয়ে যায় এবং সেই সময়ে আমি দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি, ডায়েরি নং- ১২৬। পাশাপাশি তৎকালিন সময়ে সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় “জিডি’র পর দক্ষিণ সুরমায় ফলের গাছ লুট’’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। দুঃখের বিষয় হলো আমাদের প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী, ক্ষমতাবান ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় আমাদেরকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। বিগত ০৮/০৯/২০০৩ইং তারিখে আমি ও আমার ভাইদেরকে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় চাঁদাবাজির একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এবং সেই মামলায় আদালত থেকে আমরা নির্দোষ প্রমাণিত হই। তারা সবসময় গায়ের জোরে চলাফেরা করে এবং জামায়াত শিবিরের ক্যাডার হওয়ায় আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক অপরাধ করেই যাচ্ছে, তাদের কাছে আমরা, আমাদের পরিবার আজ জিম্মি, অসহায়।
এমতাবস্থায় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে এবং আমাদেরকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন আমাদের মরহুম পিতা-মাতার মৌরসী সম্পত্তির পরিপূর্ণ হক পাইয়ে দিতে এবং আমাদেরকে সহযোগীতা করতে আপনাদের সহযোগীতা খুবই প্রয়োজন বলে লিখিত বক্তব্যে জুর আবেদন করেন।