ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

মোহনপুরে রনি বাহিনীর দৌরাত্ম মোবাইল দোকানে চুরি

মোহনপুর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • / ১৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজশাহীর মোহনপুরে একটি মোবাইল দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট, কম্পিউটার ও মোবাইল মেরামত সরঞ্জামসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।

৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধুরইল বাজারে একটি দোকানে এই ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে দোকানে তালা দিয়ে দোকান মালিক তরিকুল বাড়ি চলে যান। সকালে দোকান খুলতে এসে দেখেন তালা ভাঙা। পরে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন মনিটর, পিসি, মোবাইল ফোন, মোবাইল সার্ভিসিং মেশিন ও ড্রয়ারে থাকা নগদ টাকাও নেই।

তরিকুল টেলিকমের মালিক ধুরইল তালুকদারপাড়া এলাকার ওয়াজেদের ছেলে তরিকুল জানান, তার দোকানে মনিটর, পিসি,৩১ টি মোবাইল ফোন,৩টি মোবাইল সার্ভিসিং মেশিন ও ড্রয়ারে থাকা নগদ সাড়ে ১১ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোরের দল। যার মূল্য দেড় লাখ টাকা।

ধুরইল বাজারের নাইটগার্ড ও বিভিন্ন সুত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে জানাগেছে, চুরি সংগঠিত হওয়ার আগে কিশোরগ্যাং লিডার রনি, আশরাফুল, স্বপন, মিলনসহ ৫/৭ জনের একটি দল চুরি হওয়া দোকানের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। চুরি সংগঠিত হওয়ার আগে রনি দোকান মালিক তরিকুলকে ফোন দিয়ে তার অবস্থান জানতে চেয়েছে বলেও জানায় তরিকুল।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দোকান মালিক তরিকুল ইসলাম। অভিযোগ পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের এসআই আবু জাহেদ শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা পান।

দোকান মালিক তরিকুল জানান,
পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর রনি তাকে ফোন করে মামলা করলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ হবে বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। সেকারণে সে ভয়ে বাড়ি হতে বের হতে পারছেনা।

উল্লেখ্য, ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাত ১০ টার সময় কিশোরগ্যাং লিডার রনি ও তার দলবল দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধুরইল ইউপির বিও পোস্ট মাস্টার সানোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে টাকা ছিনতাই করে।

দীর্ঘদিন যাবত একটি কুচক্রী মহল অন্যায় কাজে রনি ও তার দলবলকে ব্যবহার ও সহায়তা করায় এলাকায় মাদক, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও রক্তা রক্তির ঘটনা ঘটছে বলে জানান সচেতন নাগরিকরা।

এবিষয়ে মোহনপুর থানা কর্মকর্তা ওসি মোহা. সেলিম বাদশাহ বলেন, চুরি সংগঠিত হওয়ায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোহনপুরে রনি বাহিনীর দৌরাত্ম মোবাইল দোকানে চুরি

আপডেট টাইম : ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাজশাহীর মোহনপুরে একটি মোবাইল দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট, কম্পিউটার ও মোবাইল মেরামত সরঞ্জামসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।

৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধুরইল বাজারে একটি দোকানে এই ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে দোকানে তালা দিয়ে দোকান মালিক তরিকুল বাড়ি চলে যান। সকালে দোকান খুলতে এসে দেখেন তালা ভাঙা। পরে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন মনিটর, পিসি, মোবাইল ফোন, মোবাইল সার্ভিসিং মেশিন ও ড্রয়ারে থাকা নগদ টাকাও নেই।

তরিকুল টেলিকমের মালিক ধুরইল তালুকদারপাড়া এলাকার ওয়াজেদের ছেলে তরিকুল জানান, তার দোকানে মনিটর, পিসি,৩১ টি মোবাইল ফোন,৩টি মোবাইল সার্ভিসিং মেশিন ও ড্রয়ারে থাকা নগদ সাড়ে ১১ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোরের দল। যার মূল্য দেড় লাখ টাকা।

ধুরইল বাজারের নাইটগার্ড ও বিভিন্ন সুত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে জানাগেছে, চুরি সংগঠিত হওয়ার আগে কিশোরগ্যাং লিডার রনি, আশরাফুল, স্বপন, মিলনসহ ৫/৭ জনের একটি দল চুরি হওয়া দোকানের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। চুরি সংগঠিত হওয়ার আগে রনি দোকান মালিক তরিকুলকে ফোন দিয়ে তার অবস্থান জানতে চেয়েছে বলেও জানায় তরিকুল।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দোকান মালিক তরিকুল ইসলাম। অভিযোগ পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের এসআই আবু জাহেদ শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা পান।

দোকান মালিক তরিকুল জানান,
পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর রনি তাকে ফোন করে মামলা করলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ হবে বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। সেকারণে সে ভয়ে বাড়ি হতে বের হতে পারছেনা।

উল্লেখ্য, ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাত ১০ টার সময় কিশোরগ্যাং লিডার রনি ও তার দলবল দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধুরইল ইউপির বিও পোস্ট মাস্টার সানোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে টাকা ছিনতাই করে।

দীর্ঘদিন যাবত একটি কুচক্রী মহল অন্যায় কাজে রনি ও তার দলবলকে ব্যবহার ও সহায়তা করায় এলাকায় মাদক, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও রক্তা রক্তির ঘটনা ঘটছে বলে জানান সচেতন নাগরিকরা।

এবিষয়ে মোহনপুর থানা কর্মকর্তা ওসি মোহা. সেলিম বাদশাহ বলেন, চুরি সংগঠিত হওয়ায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।