কলোনি জুড়ে পতিতাবৃত্তি মহামারীতে রূপ নিচ্ছে
- আপডেট টাইম : ০৪:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
- / ২২৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
বিয়ানীবাজার উপজেলা জুড়ে বাড়ছে কলোনির (বস্তির) সংখ্যা। পৌরশহরে কলোনি বৃদ্ধির মাত্রা চলে গেছে অসহনীয় পর্যায়ে। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে কলোনির সংখ্যা।
এসব কলোনিগুলো যেন এখন একেকটি মধুকুঞ্জ। বেড়েছে পতিতাবিত্তি আর দেহ ব্যবসা। কোন কোন কলোনিতে মালিকের যোগসাজেশে আবার কোনটিতে মালিকের অজান্তে চলছে এ অপকর্ম। ফলে উঠতি বয়সের তরুণরা হচ্ছে বিপথগামী। সাপ্রতিক সময়ে উপজেলার প্রায় ৪০-৪৫ কলোনি এবং আরো প্রায় ২৫টি বাসা বাড়িতে চলছে কৌশলী দেহ ব্যবসা। খাসাড়ীপাড়ার কয়েকটি কলোনি, দক্ষিণ বাজারের দুটি বাসা, লাসাইতলার একটি কলোনি এবং খাসার একটি কলোনিতে বর্তমানে কয়েকদিন থেকে প্রায় প্রকাশ্যেই এ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্লেখিত কলোনি ছাড়াও কিছু কথিত আধুনিক কলোনিতে এক শ্রেণীর অসাধু লোক রাজধানী ঢাকা এবং দেশের প্রত্যন্ত শহর থেকে রাতের রাণীদেরকে নিয়ে আসে।
কলোনি ব্যবসার আড়ালে-আবডালে ঘটছে নানা ঘটনা। অপরাধের সব ধরনের শাখা প্রশাখা কলোনিগুলোতে বিস্তৃত। দাসগ্রামে কলোনির আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, ৭-৮ বছরের ছেলেরা প্রকাশ্যে ধুমপান করছে। কলোনির সামনে বেশ কয়েকটি হোটেল স্থাপন করা হয়েছে। কলোনি মালিকদের তত্তাবধানে পরিচালিত এসব হোটেলে রয়েছে রঙিন টিভি আর ভিসিডি। ভোরে এসব টিভির পর্দা উঠলেও গভীর রাত অবধি চলে শাবনূর, মৌসুমী আর ময়ূরীদের উদ্দাম নৃত্য। কলোনি অধিবাসীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বহন করে। পৌর শহরের সব ক’টি গ্রামেই প্রায় ডজন খানেক হারে কলোনি স্থাপন করা হয়েছে। কলোনির এসব কুকর্ম নিয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মেহেদী হাছান জানান, এসব কলোনিতে নজরদারি আরোও বৃদ্ধি করা হবে।