ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

বারি’তে মসলা ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৬:৪৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ২৫২ ০.০০০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥

গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) ‘বাংলাদেশে মসলা ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে গবেষক-সম্প্রসারণবিদ-কৃষক সন্নিবদ্ধ কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

বারি’র কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-এর পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং) ড. মো. আবু সাইদ মিঞা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহা. সহিদুজ্জামান, মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে বারি’র বিভিন্ন কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য তুলে ধরেন বারি’র কৃষিতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক ও মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার এবং মসলা ফসল সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মূল্য সংযোজন বিষয়ে উপস্থাপনা করেন মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাসুদ আলম। ‘বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের অর্থায়নে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বারি’র বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ ও ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্ট হারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত প্রযুক্তি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। বিকেলে তিনি কীটতত্ত্ব, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব, জীব প্রযুক্তি ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরী এবং মসলা গবেষণা, তৈলবীজ গবেষণা ও উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মাঠ পরিদর্শন করেন। তিনি বারি’র বর্তমান কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, এদেশের কৃষির উন্নয়ন এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি বিজ্ঞানীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও এখন অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমি, কৃষকের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি ও শ্রমিক সংকট তার অন্যতম। দিন দিন কৃষি জমির উপর চাপ বাড়ছে। তাই আমাদের গবেষণার মাধ্যমে বিকল্প বের করতে হবে। তা হলো উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা। আমি আশা করি আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা এসব সমস্যা মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বারি’তে মসলা ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৩:৪৬:৪৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥

গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) ‘বাংলাদেশে মসলা ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে গবেষক-সম্প্রসারণবিদ-কৃষক সন্নিবদ্ধ কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

বারি’র কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-এর পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং) ড. মো. আবু সাইদ মিঞা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহা. সহিদুজ্জামান, মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে বারি’র বিভিন্ন কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য তুলে ধরেন বারি’র কৃষিতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক ও মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার এবং মসলা ফসল সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মূল্য সংযোজন বিষয়ে উপস্থাপনা করেন মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাসুদ আলম। ‘বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের অর্থায়নে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বারি’র বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র, পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ ও ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্ট হারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত প্রযুক্তি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। বিকেলে তিনি কীটতত্ত্ব, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব, জীব প্রযুক্তি ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরী এবং মসলা গবেষণা, তৈলবীজ গবেষণা ও উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মাঠ পরিদর্শন করেন। তিনি বারি’র বর্তমান কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, এদেশের কৃষির উন্নয়ন এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি বিজ্ঞানীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও এখন অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমি, কৃষকের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি ও শ্রমিক সংকট তার অন্যতম। দিন দিন কৃষি জমির উপর চাপ বাড়ছে। তাই আমাদের গবেষণার মাধ্যমে বিকল্প বের করতে হবে। তা হলো উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা। আমি আশা করি আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা এসব সমস্যা মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।