ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি

মোংলায় অবৈধ জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন

ওমর ফারুক :
  • আপডেট টাইম : ০২:১৬:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২১০ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের টাটিবুনিয়ার খালে নিষিদ্ধ ভেসাল, বুচনো, কুমোর ও নেট জাল ও ধর্মজাল দিয়ে খাল-বিলে মাছ ধরা হচ্ছে। এতে নিধন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ও খালে পানি সরবরাহের বাঁধা পড়ার কারণে পানির সাথে মিশ্র থাকা পলি মাটি পড়ে খাল ভরাট’সহ পানি সরবরাহের সমস্যা হচ্ছে । ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে অনেক প্রজাতির মাছ। প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে এভাবে মাছ ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে হাজারও বাগদা চিংড়ী চাষিদের ।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর ) দুপুরে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ গ্রামের খালের বিভিন্ন স্থানে ভেসাল, বুচনো, কুমোর, লেটজাল ও ধর্মজাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের টাটিবুনিয়ার খালে প্রায় সাত শতাধিক ভেসাল,বুচনো, কুমোর, লেটজাল ও ধর্ম জাল রয়েছে। যার বেশিরভাগই খালের মধ্যে একটু পরপর দেখা যায়। কোনো তদারকি না থাকায় অবাধে মাছের পোনা নিধন হয়ে যাচ্ছে ও খালের বিভিন্ন স্থানে পলিমাটি পড়ে খাল ভরাট হয়েগেছে।

এ বিষয়ে উৎপল মন্ডল, অশোক মন্ডল, নরেশ মন্ডল, সুরেশ মন্ডল, পরেশ মন্ডল, অচিন্ত চৌধুরী, সোহাগ চৌধুরী খালু’সহ অনেক বাগদা চিংড়ী চাষি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশীয় প্রজাতির নানা প্রকার মাছ এখন বিলপ্তির পথে। এখন নদী-খাল-বিলে আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। আগে উন্মুক্ত জলাশয়ে, ভেটকি, রুই, কাতলা, পাঁইশা,বাগদা চিংড়ী, গলদা চিংড়ী, হরিণা চিংড়ী, , শোল, টাকি’সহ নানা প্রকার মাছ পাওয়া যেত। এছাড়া নদী-খাল-পুকুরে -ঘেরে বড় মাছের মধ্যে রুই-কাতল-মৃগেল, কালিবাউস, আইড়, শোল, বোয়াল পাওয়া যেত। এখন চাষ ছাড়া এসব মাছ তেমন পাওয়া যায় না।

মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামের চিংড়ী চাষি সোহাগ শেখ বলেন, আমরা প্রতিবছর প্রায় ২ লহ্ম টাকা খরচা করে বাগদা চিংড়ীর পোনা আমাদের ঘেরে লালন- পালন করি কিছু লাভের জন্য তবে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের কারনে বাগদা চিংড়ী চাষে লাভবান হওয়ার আশা নাই। গত কয়েক মাস হলো নতুন করে খাল পুনঃখনন করেছে আমাদের ঘেরের পানি সরবরাহের সমস্যার জন্য তবে খালের বিভিন্ন জায়গায় ভেসাল, বুচনো, লেটজাল, কুমোর দিয়ে মাছের পোনা নিধন সহ খাল ভরাট করে ফেলছে এতে আমাদের চিংড়ী চাষের ঘেরে অনেক হ্মতি হচ্ছে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ গ্রামের অলোক মন্ডল বলেন, আমাদের বাগদা চিংড়ী চাষের ঘেরে যে টাকার পোনামাছ লালন – পালন করি তা বছর পূর্ণ হলে হিসাব করে দেখি তেমন একটা লাভ হয়না এবং খালে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা ঘেরের পানি সরবরাহের সাথে প্রবেশ করে আমাদের চিংড়ী চাষের পাশাপাশি ওটা বড় হয় এবং আমাদের লচের কিছু টা ঘাট্টি পুরান করে। আর খালে ভেসাল, বুচনো, লেটজাল, ধর্মজাল, কুমোর দিয়ে মাছের পোনা নিধন করে ফেলে একটি চক্র তাই এই দেশীয় মাছের পোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি তাই দ্রুত এই জাল ও কুমোর গুলি অবসরের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার সোহরাব গাজীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমার আগে জানা নেই। তবে এখন জানতে পেরেছি তাহলে সব বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেসাল, কুমোর, বুচনো, লেটজাল ও ধর্মজাল এই গুলি অবৈধ আমরা দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তা অপসারণ করব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলায় অবৈধ জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন

আপডেট টাইম : ০২:১৬:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের টাটিবুনিয়ার খালে নিষিদ্ধ ভেসাল, বুচনো, কুমোর ও নেট জাল ও ধর্মজাল দিয়ে খাল-বিলে মাছ ধরা হচ্ছে। এতে নিধন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ও খালে পানি সরবরাহের বাঁধা পড়ার কারণে পানির সাথে মিশ্র থাকা পলি মাটি পড়ে খাল ভরাট’সহ পানি সরবরাহের সমস্যা হচ্ছে । ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে অনেক প্রজাতির মাছ। প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে এভাবে মাছ ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে হাজারও বাগদা চিংড়ী চাষিদের ।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর ) দুপুরে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ গ্রামের খালের বিভিন্ন স্থানে ভেসাল, বুচনো, কুমোর, লেটজাল ও ধর্মজাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের টাটিবুনিয়ার খালে প্রায় সাত শতাধিক ভেসাল,বুচনো, কুমোর, লেটজাল ও ধর্ম জাল রয়েছে। যার বেশিরভাগই খালের মধ্যে একটু পরপর দেখা যায়। কোনো তদারকি না থাকায় অবাধে মাছের পোনা নিধন হয়ে যাচ্ছে ও খালের বিভিন্ন স্থানে পলিমাটি পড়ে খাল ভরাট হয়েগেছে।

এ বিষয়ে উৎপল মন্ডল, অশোক মন্ডল, নরেশ মন্ডল, সুরেশ মন্ডল, পরেশ মন্ডল, অচিন্ত চৌধুরী, সোহাগ চৌধুরী খালু’সহ অনেক বাগদা চিংড়ী চাষি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশীয় প্রজাতির নানা প্রকার মাছ এখন বিলপ্তির পথে। এখন নদী-খাল-বিলে আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। আগে উন্মুক্ত জলাশয়ে, ভেটকি, রুই, কাতলা, পাঁইশা,বাগদা চিংড়ী, গলদা চিংড়ী, হরিণা চিংড়ী, , শোল, টাকি’সহ নানা প্রকার মাছ পাওয়া যেত। এছাড়া নদী-খাল-পুকুরে -ঘেরে বড় মাছের মধ্যে রুই-কাতল-মৃগেল, কালিবাউস, আইড়, শোল, বোয়াল পাওয়া যেত। এখন চাষ ছাড়া এসব মাছ তেমন পাওয়া যায় না।

মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামের চিংড়ী চাষি সোহাগ শেখ বলেন, আমরা প্রতিবছর প্রায় ২ লহ্ম টাকা খরচা করে বাগদা চিংড়ীর পোনা আমাদের ঘেরে লালন- পালন করি কিছু লাভের জন্য তবে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের কারনে বাগদা চিংড়ী চাষে লাভবান হওয়ার আশা নাই। গত কয়েক মাস হলো নতুন করে খাল পুনঃখনন করেছে আমাদের ঘেরের পানি সরবরাহের সমস্যার জন্য তবে খালের বিভিন্ন জায়গায় ভেসাল, বুচনো, লেটজাল, কুমোর দিয়ে মাছের পোনা নিধন সহ খাল ভরাট করে ফেলছে এতে আমাদের চিংড়ী চাষের ঘেরে অনেক হ্মতি হচ্ছে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ গ্রামের অলোক মন্ডল বলেন, আমাদের বাগদা চিংড়ী চাষের ঘেরে যে টাকার পোনামাছ লালন – পালন করি তা বছর পূর্ণ হলে হিসাব করে দেখি তেমন একটা লাভ হয়না এবং খালে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের পোনা ঘেরের পানি সরবরাহের সাথে প্রবেশ করে আমাদের চিংড়ী চাষের পাশাপাশি ওটা বড় হয় এবং আমাদের লচের কিছু টা ঘাট্টি পুরান করে। আর খালে ভেসাল, বুচনো, লেটজাল, ধর্মজাল, কুমোর দিয়ে মাছের পোনা নিধন করে ফেলে একটি চক্র তাই এই দেশীয় মাছের পোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি তাই দ্রুত এই জাল ও কুমোর গুলি অবসরের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার সোহরাব গাজীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমার আগে জানা নেই। তবে এখন জানতে পেরেছি তাহলে সব বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেসাল, কুমোর, বুচনো, লেটজাল ও ধর্মজাল এই গুলি অবৈধ আমরা দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তা অপসারণ করব।