ষষ্ঠ দিনের মত বন্ধ বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম, অবরুদ্ধ উপাচার্য
- আপডেট টাইম : ০৪:৫৪:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
- / ২০৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
শিক্ষক সমিতি কর্তৃক ঘোষিত কর্মবিরতির জেরে সোমবার (১৪ নভেম্বর) টানা ষষ্ঠ দিনের মত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিলো গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।
শিক্ষকদের মতামত উপেক্ষা করে রিজেন্ট বোর্ডে ইউজিসি কর্তৃক সুপারিশকৃত শিক্ষক নিয়োগের অভিন্ন নীতিমালা পাস করার প্রতিবাদে ৮ নভেম্বর অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। তবে, শিক্ষকদের দাবি আদায়ে শিক্ষক সমিতি এই কর্মসূচি ঘোষণা করলেও এই আন্দোলনের ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মনে করছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যে সেশনজট তৈরি হয়েছে এই আন্দোলন তা আরও দীর্ঘায়িত করবে। আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মন্ডল কৃষ্ণময় বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই আমরা দেড় বছরের সেশনজটে আছি। এর মাঝেই শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতিতে আবারও টানা ৬ দিন ধরে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আশঙ্কা করছি যে, আমাদের সেশনজট আরো দীর্ঘায়িত হবে।’
এদিকে, শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের মাঝেই সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২.০০ টায় উপাচার্য দপ্তরে তালা দিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা। রিজেন্ট বোর্ডে স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের দাবীসমূহ পাস না হওয়ায় উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন তারা। পরবর্তীতে তাদের দাবীসমূহ পুনরায় রিজেন্ট বোর্ডে প্রেরণ করা হবে এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তালা খুলে দেন তারা।
শিক্ষক সমিতির চলমান কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে আলোচনা চলছে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।’
শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘শিক্ষকেরা কোনো নিয়মনীতি মানতে চাচ্ছে না। এখন আমি কি করবো? বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩৫০ জনের মতো শিক্ষক এর মধ্যে ১০০ জন বাইরে আছে। এখন আমার শিক্ষক লাগবে কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছিনা। নীতিমালা পাস না করলে ইউজিসি শিক্ষক দিবে না। তারপরেও আমি আবার তাদের সাথে বসবো এবং রিজেন্ট বোর্ডে বিষয়টি আবার তুলবো।’’