সিলেটের ২টি উপজেলা, ১টি পৌরসভা ও ৪টি ইউপি নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন
- আপডেট টাইম : ০২:০৯:১৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
- / ১৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
সিলেটের ওসমানীনগর ও জগন্নাথপুর উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা, গোয়াইনঘাটের চারটি ইউনিয়নে (২নভেম্বর) ভোটগ্রহন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। উপজেলা দুটিতে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বিজয়ী হলেও পৌরসভা ও ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
জানা যায়, ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি ২৮,৯৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিস্কৃত প্রার্থী কামরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৪,৬১৬ টি। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া (টিয়া পাখি) প্রতিকে ১৫,৯৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলদার আলী তালা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১,১০৮ টি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা বেগম কলস প্রতীকে ২৩,৪৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির বহিষ্কৃত নেত্রী মুসলিমা আক্তার চৌধুরী সেলাই মেশিন প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ১৪,৭৬৭ টি।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আকমল হোসেন নৌকা প্রতীকে ২৩,৮৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়তের খেজুর গাছ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম পেয়েছেন ২০,০৮১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবুল হোসেন লালন ২১,৯২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জয়দীপ সূত্রধর বিরেন্দ্র ১৯,২৫৫ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুফিয়া খানম সাথী ২৮,৮৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিনা খানম ২৬৭২০ ভোট পেয়েছেন।
বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান। তিনি জগ প্রতীকে ৮ হাজার ৪৭৪ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী ফারুক আহমদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৬৩ ভোট। এছাড়া, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা (বহিস্কৃত) মুমিন খান মুন্না মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭০ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী উপজেলা বিএনপি নেতা (বহিস্কৃত) জালাল উদ্দিন পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭ ভোট।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়েছে। এ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থীরা দলীয় বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের ৩ বিদ্রোহী প্রার্থী ও নৌকা প্রতীকের ১ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে, গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রব্বানী সুমন আনারস প্রতীকে ২৮৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুভাস চন্দ্র পাল ছানা তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪৫৫ ভোট।
২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মামুন পারভেজ আনারস প্রতীকে ৪২৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুন্সি আব্দুল মুমিন পেয়েছেন ২৯৬০ ভোট।
পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৭২৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হামিদুল হক ভূঁইয়া বাবুল তিনি ৪৯৯০ ভোট পেয়েছেন। মধ্য জাফলং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. লোকমান হোসেন আনারস প্রতীকে ৩৮০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুর রহমান ৩৫১৬ ভোট পেয়েছেন।