চুড়ান্ত নোটিশ থানায় কাজ বন্ধের নোটিশ তবুও নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কাজ চলমান
- আপডেট টাইম : ০২:২৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৫৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক
ক্ষমতা অপব্যবহার করে লিয়াকত রাজউক জোন-৬/১ এর আওতাধীন আর কে মিশন রোডের ৭২ নং প্লটের নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে একটি ভবন নির্মাণ কাজ অভ্যহত রেখেছেন যা এলকাবাসীর মাঝে ব্যাপক আলোড়নের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া তিনি আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণধীন অবস্থায় ভবনের নিচ তলায় বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিয়ে কোনরূপ বাঁধা ছাড়াই তার ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। লিয়াকতের এমন দুঃসাহকিতায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে জনমনে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে ভবনটি নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করায় ও ভবনটির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় রাজউক কর্তৃপক্ষ কয়েকটি নোটিশ ও চুড়ান্ত নোটিশ প্রদান করেছেন। এছাড়া কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকেলিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তারপরও লিয়াকত থেমে নেই তার নকশা বিচ্যূতি ভবনটি নির্মানের কাজ। রাজউক সূত্রে আরও জানা গেছে এ ধরনের নির্মাণ কাজ রাজউকের টাউন ইমপ্রæভমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৩, বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্ট ১৯৫২ এবং ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষন ও অপসারন) বিধিমালা ২০০৮ কে ত্বরান্বিত করার শামিল। এছাড়া ৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে ইমারত নির্মাণ যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ব্যতিত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ইমারত ব্যবহার করা যাবে না। ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালায় বলা হয়েছে ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কেউ ইমারত নির্মাণ করলে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ইমারত ভেঙ্গে ফেলা বা অপসারনের নির্দেশ দিতে পারবে। আবার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ স্ব-উদ্দ্যেগে অবৈধ ইমারত ভেঙ্গে ফেলতে বা অপসারন করতে পারবে। ভোগ দখলকারীকে উচ্ছেদ করতে পারবে। আইন অমান্যকারীকে কোনরূপ পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ কর্তৃপক্ষ গ্রেফতারও করতে পারবে। ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ সেটব্যাকের জন্য জায়গা ছাড়ার বিধান রয়েছে তা তিনি সম্পূর্ণভবে উপেক্ষা করেছেন। ফলে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে উঠছে। এমতাবস্থায় যদি ভবনটি অতি দ্রæত উচ্ছেদ করা না হয় তাহলে আশেপাশের ভবনও ঝুঁকিতেপড়বে এমন মন্তব্য বিশ্লেষকদের। উল্লেখ্য ৭২ নং প্লটটির মালিক লিয়াকত আলী খান রাজউক কর্তৃক নির্মাণ অনুমোদিত স্বারক নং-২৫.৩৯.০০০০.১২২.৩৩.৫৭৩.১৮৭৪৮ নিয়ে বেসমেন্ট ব্যতিত ৮ তলার আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়েছেন যার আর এস দাগ নং-৪৭২৭, আরকে মিশন রোড, মৌজা-ওয়ারী, গোপীবাগ। নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণ এবং আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ব্যবহারের বিষয়ে ভবন মালিক লিয়াকত আলী খানের মোবাইলে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া মাত্রই ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে আবারও ফোন করলে তিনি আর ফোন ধরেননি। রাজউক জোন ৬/১ এর অত্র এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমারত পরিদর্শক বাসুদেব ভট্টাচার্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত ভবনের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নিকটস্থ থানায় কাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি প্রদান করা হয়েছে এবং বর্তমানে ভবনটি উচ্ছেদের জন্য উচ্ছেদ প্রস্তাবনায় দেয়া হয়েছে।