ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি

বাণিজ্যের কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না মাকিদ মেরুল বাড্ডায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ

রফিকুল ইসলাম মাসুদ;
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৪:০১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঝুঁকিপূর্ণ বা নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে রাজউক কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। উচ্ছেদ জরিমানাসহ নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে কিছুটা কমেছে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ। তবে রাজউকের কিছু কিছু কর্মকর্তার ব্যক্তির স্বার্থের প্রধান্যের কারণে এখনো অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মিত হচ্ছে রাজধানীর অলিতে গলিতে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণের পেছনে রয়েছে রাজউকেরই কোনো না কোনো প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তারা মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে সুযোগ করে দিচ্ছে এসব ভবন নির্মাণের। রাজউক সূত্রে জানা যায়, কোন ভবন নির্মাণের পূর্বে সর্বনি¤œ ১৫ দিন আগে রাজউককে লিখিতভাবে জানাবে ভবন মালিকগণ। এমতাবস্থায়, দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সহযোগীতা ছাড়া কোনভাবেই নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করা সম্ভব নয়। রাজউক সূত্রে আরও জানা যায় যে, কোন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বশীল রাজউককের কর্মকর্তারা তদারকি করবেন। ফলে নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল রাজউক কর্মকর্তারা অবস্থান নিলে কোনভাবেই এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করা সম্ভব নয় এমন মন্তব্য করেছেন খোঁদ রাজউকেরই একাধিক কর্মকর্তা। রাজধানীর ডিআইটি প্রজেক্ট মেরুল বাড্ডায়, ৭ নং রোড, ৩৭ নং ওয়ার্ড, ২৯-৩১নং প্লটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি নির্মাণাধীন। গত ১০/১২/২০২১ ইং তারিখে ভবনটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে মেরুল বাড্ডায় বিষয়টি নিযে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয়দের মাঝে। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর অদ্যবধি পর্যন্ত ভবনটির বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে নামলে বেড়িয়ে আসে মাকিদ এহসানের অর্থ বাণিজ্যের নানা বাহিনী। মাকিদ এহসান নকশা অনুমোদনে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্যে করে থাকেন। এছাড়া সে নকশার কতটুকু ব্যত্যয় ঘটাবে তার উপর নির্ভর করে মাকিদ এহসানের অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। ফলে মাকিদ এহসানের দায়িত্বশীল এলাকাগুলোতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অসংখ্য ভবন নির্মাণধীন রয়েছে। মেরুল বাড্ডায় নির্মাণাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি কোনরুপ জায়গা না ছেড়ে সরকারী রাস্তা ঘেষে মূলত নির্মাণ করা হচ্ছে। সামান্য জায়গা ছাড়লেও তা ডেবিয়েশন করে পূর্ণ করা হয়েছে। অথচ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও ভবনটির কাজ চলমান রয়েছে। ববং সংবাদ প্রকাশের সময় ভবনটি ৩য় তলার কাজ চলমান ছিল তা বর্তমানে বেড়ে ৭ম তলায় কাজ চলমান রয়েছে। তবে বর্তমানে ভবনটির চারদিকে পাতলা আবরন দিয়ে ঢেকে রেখে কিছুটা গোপনীয়তা রক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড না থাকায় ভবনটি কত তলা হবে তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় মাকিদ এহসানের বাণিজ্যের ফলে তিনি এ ভবনটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তার কিছুটা সত্যতা মেলে তথ্য অধিকার চিঠির আবেদনের ফলে। গত ২৩/০২/২০২২ ইং তারিখে ভবনটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। মাকিদ এহসান কোনরূপ তথ্য প্রদান না করায় ১০/০৫/২০২২ইং তারিখে সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বরাবর আপীল করা হলেও  তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু রাজউকের চেয়ারম্যান পরিবর্তন হওয়ায় ০৮/০৮/২০২২ইং তারিখে তাগিদ দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান মিঞার নিকট পত্র পাঠানো হলেও মাকিদ এহসান এখন পর্যন্ত ভবনটির বিষয়ে তথ্য প্রদান করেননি। ফলে কোন উপায় না পেয়ে মাকিদ এহসানের বিরুদ্ধে তথ্য কমিশনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তথ্য না দেওয়ার  বিষয়টি পর্যালোচনা করলে মাকিদ এহসানের লাভ লোকসানের হিসাব বেড়িয়ে আসবে। তথ্য সংকলিত সাইনবোর্ড না থাকায় ভবন মালিকের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সংবাদ প্রকাশের পর কিভাবে ৩য় তলা থেকে ৭ম তলার কাজ চলমান ? অর্থের বিনিময়ে নকশা? ব্যত্যয়ের বিনিময়ে বাণিজ্যের অভিযোগ? ইত্যাদি বিষয়ে মাকিদ এহসানের মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি পরিচয় দিয়ে এসএমএস করে আবারও ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাণিজ্যের কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না মাকিদ মেরুল বাড্ডায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ

আপডেট টাইম : ০৫:০৪:০১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঝুঁকিপূর্ণ বা নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে রাজউক কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। উচ্ছেদ জরিমানাসহ নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে কিছুটা কমেছে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ। তবে রাজউকের কিছু কিছু কর্মকর্তার ব্যক্তির স্বার্থের প্রধান্যের কারণে এখনো অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মিত হচ্ছে রাজধানীর অলিতে গলিতে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণের পেছনে রয়েছে রাজউকেরই কোনো না কোনো প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তারা মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে সুযোগ করে দিচ্ছে এসব ভবন নির্মাণের। রাজউক সূত্রে জানা যায়, কোন ভবন নির্মাণের পূর্বে সর্বনি¤œ ১৫ দিন আগে রাজউককে লিখিতভাবে জানাবে ভবন মালিকগণ। এমতাবস্থায়, দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সহযোগীতা ছাড়া কোনভাবেই নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করা সম্ভব নয়। রাজউক সূত্রে আরও জানা যায় যে, কোন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বশীল রাজউককের কর্মকর্তারা তদারকি করবেন। ফলে নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল রাজউক কর্মকর্তারা অবস্থান নিলে কোনভাবেই এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করা সম্ভব নয় এমন মন্তব্য করেছেন খোঁদ রাজউকেরই একাধিক কর্মকর্তা। রাজধানীর ডিআইটি প্রজেক্ট মেরুল বাড্ডায়, ৭ নং রোড, ৩৭ নং ওয়ার্ড, ২৯-৩১নং প্লটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি নির্মাণাধীন। গত ১০/১২/২০২১ ইং তারিখে ভবনটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে মেরুল বাড্ডায় বিষয়টি নিযে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয়দের মাঝে। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর অদ্যবধি পর্যন্ত ভবনটির বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে নামলে বেড়িয়ে আসে মাকিদ এহসানের অর্থ বাণিজ্যের নানা বাহিনী। মাকিদ এহসান নকশা অনুমোদনে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্যে করে থাকেন। এছাড়া সে নকশার কতটুকু ব্যত্যয় ঘটাবে তার উপর নির্ভর করে মাকিদ এহসানের অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। ফলে মাকিদ এহসানের দায়িত্বশীল এলাকাগুলোতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অসংখ্য ভবন নির্মাণধীন রয়েছে। মেরুল বাড্ডায় নির্মাণাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি কোনরুপ জায়গা না ছেড়ে সরকারী রাস্তা ঘেষে মূলত নির্মাণ করা হচ্ছে। সামান্য জায়গা ছাড়লেও তা ডেবিয়েশন করে পূর্ণ করা হয়েছে। অথচ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও ভবনটির কাজ চলমান রয়েছে। ববং সংবাদ প্রকাশের সময় ভবনটি ৩য় তলার কাজ চলমান ছিল তা বর্তমানে বেড়ে ৭ম তলায় কাজ চলমান রয়েছে। তবে বর্তমানে ভবনটির চারদিকে পাতলা আবরন দিয়ে ঢেকে রেখে কিছুটা গোপনীয়তা রক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড না থাকায় ভবনটি কত তলা হবে তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় মাকিদ এহসানের বাণিজ্যের ফলে তিনি এ ভবনটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তার কিছুটা সত্যতা মেলে তথ্য অধিকার চিঠির আবেদনের ফলে। গত ২৩/০২/২০২২ ইং তারিখে ভবনটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। মাকিদ এহসান কোনরূপ তথ্য প্রদান না করায় ১০/০৫/২০২২ইং তারিখে সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বরাবর আপীল করা হলেও  তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু রাজউকের চেয়ারম্যান পরিবর্তন হওয়ায় ০৮/০৮/২০২২ইং তারিখে তাগিদ দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান মিঞার নিকট পত্র পাঠানো হলেও মাকিদ এহসান এখন পর্যন্ত ভবনটির বিষয়ে তথ্য প্রদান করেননি। ফলে কোন উপায় না পেয়ে মাকিদ এহসানের বিরুদ্ধে তথ্য কমিশনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তথ্য না দেওয়ার  বিষয়টি পর্যালোচনা করলে মাকিদ এহসানের লাভ লোকসানের হিসাব বেড়িয়ে আসবে। তথ্য সংকলিত সাইনবোর্ড না থাকায় ভবন মালিকের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সংবাদ প্রকাশের পর কিভাবে ৩য় তলা থেকে ৭ম তলার কাজ চলমান ? অর্থের বিনিময়ে নকশা? ব্যত্যয়ের বিনিময়ে বাণিজ্যের অভিযোগ? ইত্যাদি বিষয়ে মাকিদ এহসানের মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি পরিচয় দিয়ে এসএমএস করে আবারও ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।