ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- আপডেট টাইম : ০২:৫০:২২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৬৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।
বুক ভরা ঢেউ আর প্রাণ ভরা উচ্ছ্বাসে তিতাস বিধৌত সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচকে ঘিরে জেলা জুড়ে উৎসব ও আমেজ বিরাজ করছে। বাইচ দেখতে তিতাস নদীর দুই পাড়ে লক্ষাধিক উৎসুক নারী পুরুষ ভিড় করেন। প্রতিবছর এই নৌকা বাইচ চালু রাখার দাবি এলাকাবাসীর। পাশাপাশি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে নৌকা বাইচের এই আয়োজন চালু রাখার কথা জানালেন আয়োজকরা। যদিও গত দুই বছর করোনার কারণে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।
সরেজমিনে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার তিতাস নদীতে গিয়ে দেখা যায়, ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝির বৈঠা গর্জে উঠার সাথে সাথে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে ক্রীড়ামোদীরা। তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের কাছ এক প্রাণের উৎসব। ভরা তিতাসের বুকে বাহারী দৌড়ের নৌকার নাও দৌড়ানী । তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবছর এই আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন।
নৌকা বাইচ দেখার জন্য তিতাসের দুই পাড়ে লাখো দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায়। মাঝিদের বৈঠা চালানোর সাথে সাথে হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা।
নৌকা বাইচ দেখতে এসে উৎসুক জনতাও আনন্দে আত্মহারা। তাদের দাবি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবছর যেন এই আয়োজন অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি নৌকা বাইচের এই আয়োজনের আগে তিতাস নদীকে যেন ময়লা আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখা ও বাইচের সময় অতিরিক্ত নৌকা তিতাস নদীতে প্রবেশ করতে না দেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
নৌকা বাইচকে ঘিরে এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষের মনে উচ্ছ্বাস আর গণজাগরণ তৈরি হয়েছে। এমন সার্বজনীন ও উৎসবপূর্ণ আয়োজন করতে পেরে খুশি আয়োজক তথা জেলা প্রশাসন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।
স্টাফ রিপোর্টার বাবু কাহারুল
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় রবিবারে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচকে ঘিরে জেলা জুড়ে উৎসব ও আমেজ বিরাজ করছে। বাইচ দেখতে তিতাস নদীর দুই পাড়ে লক্ষাধিক উৎসুক নারী পুরুষ ভিড় করেন। প্রতিবছর এই নৌকা বাইচ চালু রাখার দাবি এলাকাবাসীর। পাশাপাশি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে নৌকা বাইচের এই আয়োজন চালু রাখার কথা জানালেন আয়োজকরা। যদিও গত দুই বছর করোনার কারণে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।সরেজমিনে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার তিতাস নদীতে গিয়ে দেখা যায়, ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝির বৈঠা গর্জে উঠার সাথে সাথে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে ক্রীড়ামোদীরা। তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের কাছ এক প্রাণের উৎসব। ভরা তিতাসের বুকে বাহারী দৌড়ের নৌকার নাও দৌড়ানী । তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবছর এই আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন।
নৌকা বাইচ দেখার জন্য তিতাসের দুই পাড়ে লাখো দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায়। মাঝিদের বৈঠা চালানোর সাথে সাথে হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা।নৌকা বাইচ দেখতে এসে উৎসুক জনতাও আনন্দে আত্মহারা। তাদের দাবি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবছর যেন এই আয়োজন অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি নৌকা বাইচের এই আয়োজনের আগে তিতাস নদীকে যেন ময়লা আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখা ও বাইচের সময় অতিরিক্ত নৌকা তিতাস নদীতে প্রবেশ করতে না দেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
নৌকা বাইচকে ঘিরে এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষের মনে উচ্ছ্বাস আর গণজাগরণ তৈরি হয়েছে। এমন সার্বজনীন ও উৎসবপূর্ণ আয়োজন করতে পেরে খুশি আয়োজক তথা জেলা প্রশাসন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এই আয়োজন। আমরা এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।প্রতিবছরই নৌকা বাইচ আয়োজনের কথা জানালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য,যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযুদ্ধা র.আ.ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বলেন একটি সময় মৌলবাধীদের কারনে এই প্রাণের উৎসবটি অনেক বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বন্ধ ছিল। এখন সকলের সহযোগিতায় আমরা আবারো এই বাইচ চালু করতে পেরেছি। লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমান করে এই বাইচ সবায় চায়। বাঙালির প্রাণের এই উৎসব প্রতি বছর চালু রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাব।নৌকা বাইচে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ১৩ টি নৌকা অংশগ্রহণ করেন। নৌকা বাইচ শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।শাহগীর আলম বলেন, গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এই আয়োজন। আমরা এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।প্রতিবছরই নৌকা বাইচ আয়োজনের কথা জানালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য,যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযুদ্ধা র.আ.ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বলেন একটি সময় মৌলবাধীদের কারনে এই প্রাণের উৎসবটি অনেক বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বন্ধ ছিল। এখন সকলের সহযোগিতায় আমরা আবারো এই বাইচ চালু করতে পেরেছি। লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমান করে এই বাইচ সবায় চায়। বাঙালির প্রাণের এই উৎসব প্রতি বছর চালু রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাব।নৌকা বাইচে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ১৩ টি নৌকা অংশগ্রহণ করেন। নৌকা বাইচ শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।