পিরোজপুরে মহিউদ্দিন মহারাজ কে চাই
- আপডেট টাইম : ০৭:২১:২২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৩৩১ ৫০০০.০ বার পাঠক
আজ ০৩/০৯/২০২২ইং শনিবার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় হরিনপালা ইকো পার্কে মহিউদ্দিন মহারাজের সভাপতিত্বে জেলার সকল ধরনের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সংসদ সদস্য পিরোজপুর -২
আগামী ১৭ অক্টোবর দেশের ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যেই প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ জেলাতেই বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক, যারা এর আগে গত পাঁচ বছর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারাই দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন।
মো. মহিউদ্দিন মহারাজ তেমনি একজন। ১৭ এপ্রিল থেকে তিনি পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যিনি আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন পিরোজপুর জেলার সব জনপ্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নেন মহিউদ্দিন মহারাজ। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের তিনি উন্নয়নমূলক কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত করায় পিরোজপুরের গ্রামপর্যায়ে জেলা পরিষদের উন্নয়ন পৌঁছে গেছে।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাঝে মহিউদ্দিন মহারাজের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় আগামী নির্বাচন ঘিরে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন পিরোজপুর জেলা পরিষদের ভোটাররা। সাত উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর জেলা। যেখানে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৭৪৭ জন। এরমধ্যে ৭০৪ জন ভোটারই জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্বাক্ষরসংবলিত একটি বই পাঠিয়েছেন।
আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটেই নির্বাচিত হন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
পিরোজপুর-১ সদর আসনের নাজিরপুর উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি আছেন ১২০ জন। এই উপজেলার সব ভোটার তার পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। নেছারাবাদ উপজেলায় ইউনিয়ন ১০টি ও পৌরসভা ১টি। যেখানে মোট ভোটার ১৪৬। যার মধ্যে মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ১৪০ জন। পিরোজপুর সদর উপজেলায় সাত ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০৭ জন ভোটারের মধ্যে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন করেছেন ৭৯ জন। পিরোজপুর-২ আসনের ভান্ডারিয়া সদর উপজেলায় ছয় ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৯২ জন ভোটারের সবাই সমর্থন করেছেন তাকে।
কাউখালী এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় ৫টি করে ইউনিয়নের ৬৮ জন করে ভোটারের সবাই স্বাক্ষর দিয়ে মহিউদ্দিন মহারাজকে সমর্থন জানিয়েছেন। এ ছাড়া পিরোজপুর-৩ আসনের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের ১৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৩৭ জনই স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন মহারাজকে। মঠবাড়িয়া পৌরসভা থাকলেও সর্বশেষ সংশোধনী আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক পৌর পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখানকার ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় আনা হয়নি।
লিখিত সমর্থন দেওয়া বইটিতে দেখা যায়, পিরোজপুর সদর উপজেলার ২৮ জন, নাজিরপুরের ছয়জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার ৯ জন ছাড়া বাকি ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোটারই মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে অগ্রিম সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে লিখিতভাবে সমর্থনের পাশাপাশি মহিউদ্দিন মহারাজকে পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই এমন প্রত্যাশা জানিয়ে বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা তার পক্ষে ব্যানার, পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
কেন লিখিতভাবে আগেই সমর্থন জানালেন এ প্রশ্ন করা হলে নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অমূল রঞ্জন হালদার জেলা পরিষদের প্রশাসক মহিউদ্দিন মহারাজকে জেলা আওয়ামী লীগের আগামীর কাণ্ডারি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, শুধু জনপ্রতিনিধি না, যে কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে মহারাজ তা সমাধান করে দেন। তাই তাকে সমর্থন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন তারা।
কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আবু সাঈদ মিয়া মনু বলেন, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যেকোনো বরাদ্দ বা উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব এ বিষয়টিই তারা মহিউদ্দিন মহারাজ চেয়ারম্যান হওয়ার আগে জানতেন না।
পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেন বলেন, মহিউদ্দিন মহারাজের কোনো বিকল্প না থাকায় তারা অগ্রিম তাকে লিখিতভাবে সমর্থন দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বর এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ তারিকুল ইসলাম সিন্টু সদস্য ৮ নং শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ নাজিরপুর, বলেন দেশের অবহেলিত প্রায় ৫৫০০০ মেম্বরদের অবিভাবকের দায়িত্ব যে যে প্রতিনিধি পালন করবে আমরা তার পক্ষেই রায় দেবো মহিউদ্দিন মহারাজ সেইরকম ই একজন কর্মী বান্ধব নেতা।
নাজিরপুর উপজেলার দির্ঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী বলেন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর জনপ্রতিনিধিদের বিভক্তি দূর করে এক ছাতার নিচে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই মহিউদ্দিন মহারাজকে দলীয় সমর্থন দেওয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আধুনিক পিরোজপুরের রুপকার হিসেবে মহিউদ্দিন মহারাজের অবদান অনেক আগামী নির্বাচনে তৃনমূলের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে আবার নির্বাচিত হবেন।
অগ্রিম সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পাওয়া নিশ্চয়ই সৌভাগ্যের। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি সবসময়ই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন।