ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপু বিশ্বাসকে যা বলেন শাকিব খান পাথরঘাটায় জামায়াতের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত বিধ্বস্তের আগে সাহায্য চেয়ে পাইলটের বার্তা, এরপর সব নিস্তব্ধ ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলল ইসলামী আন্দোলন ১৪৫ বছরে যা হয়নি, লর্ডস দেখেছে সেই কীর্তি কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন

ভোলায় ওসিকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত আবদুর রহিমের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০২:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪৩৬ ১৫০.০০০ বার পাঠক

বিদ্যুৎখাতে লুটপাট, ব্যাপক দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে ভোলা সদর থানার ওসি তদন্তসহ ৩৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় ওসি আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম হত্যার ঘটনায় থানায় রক্ষিত মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আগামী ৮ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার কামাল। আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর অধিকতর শুনানি শেষে মামলার বাকি আদেশ দেয়া হবে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।

ভোলায় বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিলের শুরুতেই পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ার শ্যাল ও গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আরো অনেকে আহত হন গুলিবিদ্ধ হয়ে। পুলিশের গুলিতে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ঢাকায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ আগস্ট শাহাদাত বরণ করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত আরো ২০ জন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।

পুলিশের গুলিতে নিহত এবং আহত হলেও উল্টা পুলিশ বাদী হয়ে ৪ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। বৃহস্পতিবার ভোলা সদর থানার ওসিকে প্রধান আসামী করে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছেন নিহত আবদুর রহিমের স্ত্রী।

আব্দুর রহিমের স্ত্রী গনমাধ্যমে বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রীয় বেতনভুক্ত পুলিশকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করছে। পুলিশ ফ্যাসিবাদের সহায়ক হিসাবে বেপরোয়া আচরণ করছে দেশের মানুষের সাথে। সরকারি দলের লোকদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেও পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গুলি চালাচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভোলায় ওসিকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত আবদুর রহিমের স্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

বিদ্যুৎখাতে লুটপাট, ব্যাপক দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে ভোলা সদর থানার ওসি তদন্তসহ ৩৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় ওসি আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম হত্যার ঘটনায় থানায় রক্ষিত মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আগামী ৮ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার কামাল। আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর অধিকতর শুনানি শেষে মামলার বাকি আদেশ দেয়া হবে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।

ভোলায় বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিলের শুরুতেই পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ার শ্যাল ও গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আরো অনেকে আহত হন গুলিবিদ্ধ হয়ে। পুলিশের গুলিতে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ঢাকায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ আগস্ট শাহাদাত বরণ করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত আরো ২০ জন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।

পুলিশের গুলিতে নিহত এবং আহত হলেও উল্টা পুলিশ বাদী হয়ে ৪ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। বৃহস্পতিবার ভোলা সদর থানার ওসিকে প্রধান আসামী করে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছেন নিহত আবদুর রহিমের স্ত্রী।

আব্দুর রহিমের স্ত্রী গনমাধ্যমে বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রীয় বেতনভুক্ত পুলিশকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করছে। পুলিশ ফ্যাসিবাদের সহায়ক হিসাবে বেপরোয়া আচরণ করছে দেশের মানুষের সাথে। সরকারি দলের লোকদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেও পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গুলি চালাচ্ছে।