ভোলায় ওসিকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত আবদুর রহিমের স্ত্রী
- আপডেট টাইম : ০২:২৮:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট ২০২২
- / ৩৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
বিদ্যুৎখাতে লুটপাট, ব্যাপক দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে ভোলা সদর থানার ওসি তদন্তসহ ৩৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় ওসি আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম হত্যার ঘটনায় থানায় রক্ষিত মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আগামী ৮ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার কামাল। আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর অধিকতর শুনানি শেষে মামলার বাকি আদেশ দেয়া হবে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
ভোলায় বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিলের শুরুতেই পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ার শ্যাল ও গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আরো অনেকে আহত হন গুলিবিদ্ধ হয়ে। পুলিশের গুলিতে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ঢাকায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ আগস্ট শাহাদাত বরণ করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত আরো ২০ জন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।
পুলিশের গুলিতে নিহত এবং আহত হলেও উল্টা পুলিশ বাদী হয়ে ৪ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। বৃহস্পতিবার ভোলা সদর থানার ওসিকে প্রধান আসামী করে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছেন নিহত আবদুর রহিমের স্ত্রী।
আব্দুর রহিমের স্ত্রী গনমাধ্যমে বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রীয় বেতনভুক্ত পুলিশকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করছে। পুলিশ ফ্যাসিবাদের সহায়ক হিসাবে বেপরোয়া আচরণ করছে দেশের মানুষের সাথে। সরকারি দলের লোকদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেও পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গুলি চালাচ্ছে।