ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

পটুয়াখালীতে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজে অনিয়ম, দুদকের তদন্ত

মো.উজ্জল পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:১২:৩৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • / ১৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মধুখালী শাখা নদীতে ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মোঃ রাসেল রনি, মোঃ মাইনউদ্দীন ও উপ-সহকারী পরিচালক সমীরন কুমার মন্ডলের সমন্বয়ে একটি এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হয়।

এনফোর্সমেন্ট চলাকালে টিম সরেজমিনে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী শাখা নদীতে নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজটি পরিদর্শন করে।

রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কাজের টেন্ডার ও কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। মেসার্স কাসেম কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স পল্লী স্টোর্স (জেভি) ৩,২৭,৩৩,৯৭৫/৭৪ (তিন কোটি সাতাশ লক্ষ তেত্রিশ হাজার নয়শত পচাত্তর টাকা চুয়াত্তর পয়সা) টাকায় কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১৭/১০/২০১৯ খ্রি. তারিখে প্রকল্পটি সমাপ্ত করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০/০৮/২০২১ তারিখ পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনগণ ব্রিজের কাজের জন্য মরিচা পরা রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে জানায়। তার প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনগণ ও প্রকৌশলীগণের উপস্থিতিতে ঠিকাদারের সাইট রুমে প্রবেশ করে মরিচাপরা রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট দেখা যায়।

এ বিষয়ে এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মহর আলী ও উপ-সহকারী

প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

সরেজমিনে ব্রিজের কাজের অনেক ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। ব্রিজের মূল অংশের কাজ সমাপ্ত হলেও দুই পার্শ্বের রেলিং ও অন্যান্য কাজ শেষ করা হয়নি। এছাড়াও ব্রিজের মূল স্লাভের কাজ হলেও দুই পার্শ্বের এপ্রোচ সড়কের কোনো কাজই করা হয়নি। প্রকল্পের কাজ প্রায় ৫০% বাকি থাকলেও ২১/১১/২০২১ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৩,০৪,৮১,৭২৪/- (তিন কোটি চার লক্ষ একাশি হাজার সাতশত চব্বিশ) টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। অভিযান শেষ করে দুদকের সমন্বিত এনফোর্সমেন্ট টিম পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ফিরে যায় এবং কর্তৃপক্ষকে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের নিকট প্রেরণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম। এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পটুয়াখালীতে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজে অনিয়ম, দুদকের তদন্ত

আপডেট টাইম : ০৪:১২:৩৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মধুখালী শাখা নদীতে ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মোঃ রাসেল রনি, মোঃ মাইনউদ্দীন ও উপ-সহকারী পরিচালক সমীরন কুমার মন্ডলের সমন্বয়ে একটি এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হয়।

এনফোর্সমেন্ট চলাকালে টিম সরেজমিনে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী শাখা নদীতে নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজটি পরিদর্শন করে।

রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কাজের টেন্ডার ও কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। মেসার্স কাসেম কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স পল্লী স্টোর্স (জেভি) ৩,২৭,৩৩,৯৭৫/৭৪ (তিন কোটি সাতাশ লক্ষ তেত্রিশ হাজার নয়শত পচাত্তর টাকা চুয়াত্তর পয়সা) টাকায় কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১৭/১০/২০১৯ খ্রি. তারিখে প্রকল্পটি সমাপ্ত করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০/০৮/২০২১ তারিখ পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনগণ ব্রিজের কাজের জন্য মরিচা পরা রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে জানায়। তার প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনগণ ও প্রকৌশলীগণের উপস্থিতিতে ঠিকাদারের সাইট রুমে প্রবেশ করে মরিচাপরা রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট দেখা যায়।

এ বিষয়ে এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মহর আলী ও উপ-সহকারী

প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

সরেজমিনে ব্রিজের কাজের অনেক ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। ব্রিজের মূল অংশের কাজ সমাপ্ত হলেও দুই পার্শ্বের রেলিং ও অন্যান্য কাজ শেষ করা হয়নি। এছাড়াও ব্রিজের মূল স্লাভের কাজ হলেও দুই পার্শ্বের এপ্রোচ সড়কের কোনো কাজই করা হয়নি। প্রকল্পের কাজ প্রায় ৫০% বাকি থাকলেও ২১/১১/২০২১ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৩,০৪,৮১,৭২৪/- (তিন কোটি চার লক্ষ একাশি হাজার সাতশত চব্বিশ) টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। অভিযান শেষ করে দুদকের সমন্বিত এনফোর্সমেন্ট টিম পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ফিরে যায় এবং কর্তৃপক্ষকে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের নিকট প্রেরণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম। এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।