রায়পুরে পৌর শহরে হচ্ছেনা মডেল মসজিদ!
- আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
- / ২৪০ ৫০০০.০ বার পাঠক
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পৌরশহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে দেবীপুরে জমি অধিগ্রহণের জন্য এরই মধ্যে অর্থও বরাদ্দ এসেছে। এ নিয়ে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
এদিকে দেবীপুরে মসজিদটি নির্মাণ করা হলে সরকারের বৃহৎ উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে।
রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল সম্প্রতি জেলা মাসিক উন্নয়ন সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকাসহ গণমুখী স্থানে মডেল মসজিদটি নির্মাণ করার জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্ট ১৪টি কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও ডিসি আনোয়ার হোছাইন আকন্দ দেবীপুর মৌজার প্রস্তাবিত জমিটি পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণানুযায়ী রায়পুরে মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য দেবীপুর গ্রামে ৪৪ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। জমিটি শহরের উপকণ্ঠ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকাটি অনেকটা জনশূন্য ও নিরিবিলি। সেখানে আশানুরূপ মানুষের যাতায়াত নেই। স্বার্থান্বেষী মহল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভুল তথ্য দিয়ে ওই এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেয়। প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করলেও পর্যাপ্তসংখ্যক মুসল্লি সমাগমের সম্ভাবনা নেই।
দেনায়েতপুর এলাকার মিজানুর রহমান বলেন, ‘সরকার সারা দেশে মডেল মসজিদ করছে। এ খবর আমাদের জন্য আনন্দের। কিন্তু রায়পুরে যেখানে মসজিদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেখানে খুব বেশি মুসল্লি যাবে না। বড় বাজেটের দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি শহরের উপকণ্ঠে করতে হবে। ’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি আলী হায়দার রাসেল পাঠান বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় নয়, গণমুখী স্থানে মডেল মসজিদ করা প্রয়োজন। কারো ব্যক্তি স্বার্থে দেবীপুরে মসজিদটি করা হলে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না। এ জন্য আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি। ’
রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যেখানে নিয়মিত লোকজনের সমাগম সেখানেই মডেল মসজিদ করার নিয়ম। অথচ রায়পুরে তার উল্টো হচ্ছে। জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। দেবীপুরের প্রস্তাবনা বাতিল করে বাস টার্মিনালসহ প্রধান সড়কের পাশে জমি অধিগ্রহণ করে মসজিদটি করলে কাজে আসবে। ’
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমপি ও ডিসি মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অধিগ্রহণের অর্ধ বরাদ্দ এসেছে। বাস্তবতার ভিত্তিতে ডিসি মহোদয় এটি বাতিলও করতে পারবেন।